নিজস্ব সংবাদদাতা | | Editor: শ্যামশ্রী সাহা ৩০ জানুয়ারী ২০২৪ ১৪ : ৩৩

দুই অভিনেতারই মনে ‘ছোট প্রাণ ছোট ব্যথা, ছোট ছোট দুঃখ-কথা’ জমে। শুধু প্রকাশের অপেক্ষা। একজন নিজেই ভাল কলমচি। অন্য জন সুবক্তা। দু’জনেরই খুব ইচ্ছে, নিজেদের কথা তুলে ধরবেন। চলতি বছরের কলকাতা বইমেলা সেই ইচ্ছে পূরণ করেছে। দীপঙ্কর দে এবং রাহুল অরুণোদয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের দুটো বই এবারের বইমেলার অন্যতম আকর্ষণ। নাম যথাক্রমে ‘দীপঙ্করের কথা’ এবং ‘কলকাতা ক্যাকোফোনি’। প্রবীণ অভিনেতার আত্মজীবনীকে দুই মলাটে বন্দি করেছেন বিশিষ্ট সাংবাদিক বাল্মিকী চট্টোপাধ্যায়। রাহুল বরাবর ‘কালি, কলম মন, লেখে তিনজন’-এ বিশ্বাসী। তাই বইয়ে নিজেই নিজের কথা সহজ ভাষায় তুলে ধরেছেন।



মঙ্গলবার প্রকাশ্যে আসে দুই প্রজন্মের অভিনেতার দুটো বই। রাহুল নিজের বই থেকে পাঠ করেছেন কিছু অংশ। যা তাঁকে নতুন করে তুলে ধরেছে দর্শক-পাঠকদের কাছে। দে’জ প্রকাশনা সংস্থা প্রকাশ করেছে দীপঙ্কর দের বই। বইপ্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রকাশনার তরফ থেকে উপস্থিত সুধাংশুশেখর দে, অপূর্ব দে। ছিলেন দুই অভিনেতা, লেখক এবং দীপঙ্কর-পত্নী দোলন রায়। দোলন বইয়ের জন্মকথা সম্বন্ধে বলেন, ‘‘করোনার সময় বারেবারে মনে হত, এমন কিছু করতে হবে যেটা আজীবন থেকে যাবে। যার মধ্যে আমি বেঁচে থাকব। তখনই মনে হয়েছিল, ওঁর বর্ণময় জীবন সম্পর্কে লিখতে পারলে খুব ভাল হয়। প্রথমে ভেবেছিলাম, আমি সাক্ষাৎকার নেব। তারপর সেটা তুলে দেব ভাল লেখকের হাতে। কিন্তু পাকেচক্রে সেটা হয়নি। তখন আমার প্রিয় সাংবাদিক বাল্মীকির উপরে এই ভার ছেড়ে দিই।’’ অভিনেত্রী ছোটবেলায় শুনেছেন বই, গাছ আর সন্তানের মধ্যেই মানুষ বেঁচে থাকে। দোলন খুশি, তিনি সেই অনুযায়ী বইকে বেছে নিয়েছেন।



দীপঙ্করের কথায়, ‘‘দোলন অনেক দিন ধরেই বলছিল, তোমার কর্মজীবন নিয়ে লেখ। কিন্তু আমার তো ওসব আসে না। তাই দায়িত্ব দেওয়া হল পরিচিত সাংবাদিককে। রোজ সকালে তিনি আমাদের বাড়িতে আসতেন। শুনতেন। প্রশ্ন করতেন। কিছু প্রশ্ন আমায় বিব্রত করত। কিছু প্রশ্ন শুনে খুশিও হয়েছি। সে সব মিলেমিশে তৈরি ‘দীপঙ্করের কথা’।’’ অভিনেতার দাবি, অনুলেখক হিসেবে তাঁর ৮০ বছরের জীবনকে তুলে ধরেছেন বাল্মীকি। যেখানে ব্যক্তিজীবন আর কর্মজীবনের অনায়াস সহাবস্থান।