নিজস্ব সংবাদদাতা | | Editor: শ্যামশ্রী সাহা ২৯ জানুয়ারী ২০২৪ ১৮ : ১০

কোনটা বড় খবর? বিজ্ঞাপনী ছবির চিত্রনাট্য, সংলাপ রচনার মাধ্যমে তিনি জীবনের দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করছেন? নাকি এক বাবা মেয়েকে আরও এগিয়ে দিতে শারীরিক অসুস্থতা উপেক্ষা করে কাঁধে কাঁধ মিলিয়েছেন? এবং এভাবেই তিনি আবারও জীবনমুখী? ইন্ডাস্ট্রি বলছে, প্রভাত রায়ের ক্ষেত্রে সব ক’টাই এক্সক্লুসিভ। গত বছরের শুরুতেও পরিচালক ভাবতে পারেননি, তিনি আবারও কলম ধরবেন। সেটে উপস্থিত থেকে মনিটরে চোখ রাখবেন। সেটাই করলেন রবিবার। এদিন একতা ক্রিয়েটিভ টেলসের একটি বিজ্ঞাপনী ছবির শুটিং উপলক্ষে সেটে তিনি। দেদার আড্ডা দিয়েছেন বন্ধু দীপঙ্কর দে, অনসূয়া মজুমদারের সঙ্গে। 



এখানেই শেষ নয়। তিনি মেয়ে একতা ভট্টাচার্যের প্রযোজনার এই ছবির চিত্রনাট্যকার এবং সংলাপ রচয়িতাও। হাসপাতাল পরিষেবার উপরে তৈরি এই ছবিতে অভিনয় করেছেন দীপঙ্কর-অনসূয়া। একদিনে একবুক টাটকা অক্সিজেন নিয়ে চাঙা প্রভাত রায়। ঠিক আগের মতোই চনমনে কণ্ঠস্বরে আজকাল ডট ইনকে বলেছেন, ‘‘এত বছর পরে আবারও ক্যামেরার কাছাকাছি। পুরনো বন্ধুদের সঙ্গে অনেকটা সময় কাটানো। কী যে ভাল লাগছে।’’ তাঁর হাত দিয়ে প্রচুর হিট ছবি বেরিয়েছে। অনেক নতুন জুটির জন্ম দিয়েছেন। বিজ্ঞাপনী ছবির চিত্রনাট্য, সংলাপ লিখে কেমন লাগছে? প্রশ্ন রাখতেই স্বতঃস্ফূর্ত জবাব, এই প্রথম তিনি বিজ্ঞাপনী ছবির দুনিয়ার সঙ্গে যুক্ত হলেন। নতুন অভিজ্ঞতা। ভাল লাগছে। খুবই ভাল লাগছে। সেটে বসে জিতের পরিচালনা খুঁটিয়ে দেখেছেন। দাবি, বেশ ভাল পরিচালনা। মন দিয়ে কাজ করলে জিৎ পরিচালক হিসেবে অনেক দূর এগোবেন।

স্ত্রী চলে গিয়েছেন ২০২২-এ। টলিউড তাঁকে ভুলেই গিয়েছিল। তিনিও অভিমানে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিলেন সবার থেকে, জীবন থেকে। সেই মানুষ ৩৬০ ডিগ্রি ঘুরে কী করে এতটা জীবনমুখী?

এই কৌতূহলের জবাব দিয়েছেন একতা ভট্টাচার্য। তাঁর কথায়, ‘‘বাবিকে তিলে তিলে ফুরিয়ে যেতে দেখেছিলাম। মেনে নিতে পারিনি। ভালবাসার বাঁধনে বাঁধার চেষ্টা করতেই দেখলাম, মানুষটা যত বড় তারকা পরিচালক ততটাই স্নেহের কাঙাল। বলতে পারেন, ভালবাসার ডাকে সাড়া দিয়েই এক বাবা তাঁর মেয়ের পাশে। গল্প আমার। কিন্তু চিত্রনাট্য, সংলাপ বাবির মতো ভাল কে লিখতে পারবে? একটু কিন্তু কিন্তু করে অবশেষে রাজি।’’ একই ভাবে তিনি আত্মজীবনী ‘ক্ল্যাপস্টিক’ নিয়েও ব্যস্ত। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও খুশি তাঁদের ছবির কাজে প্রভাত রায় জড়িয়ে থাকায়। একতার মতে, তাঁর ‘বাবি’ পাশে থাকায় প্রযোজনায় একবারে পাশ করে গিয়েছেন।



বড় ছবি কবে পরিচালনা করবেন? নিজের গল্প বলবে না সাহিত্যনির্ভর গল্পে ফিরবেন? জানতে চাইতেই পরিচালক বললেন, ‘‘আগের মতো পরিশ্রম তো করতে পারি না। বইয়ের কাজ শেষ হোক। তারপর হয়তো ছবির কাজে হাত দেব। নিজের গল্পও আছে। ভাল উপন্যাস পেলে তার থেকেও ছবি বানাতে পারি। সবটাই সময় বলবে।’’