নিজস্ব সংবাদদাতা | | Editor: শ্যামশ্রী সাহা ০১ জানুয়ারী ২০২৪ ০৬ : ৫২

বছরের শুরুতেই বিপত্তি! তাঁর প্রথম প্রযোজনা "মির্জা"য় স্টান্ট করতে গিয়ে বেশ বেকাদায় অঙ্কুশ হাজরা। সে কথা তিনি বছরের প্রথম দিন সামাজিক মাধ্যমে জানিয়েছেন। সবিস্তার জানতে আজকাল ডট ইন যোগাযোগ করেছিল প্রযোজক-অভিনেতার সঙ্গে। অঙ্কুশের কথায়, ‘‘ছোট থেকেই আমার সমস্যা, হাঁটুতে জল জমে যায়। একটু বেকাদায় লাগলেই সমস্যা ফিরে ফিরে আসে। সেটাই হয়েছে। স্টান্ট করতে গিয়ে চোট পেয়েছি। তার থেকে এই সমস্যা আবারও ফিরে এসেছে। হাঁটু ফুলে গিয়েছে। ভালই যন্ত্রণা। আপাতত বিশ্রামে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন চিকিৎসক।’’

কথায় কথায় তিনি আরও জানিয়েছেন, সুস্থ থাকলে অবশ্যই দিনটি হইহই করে উদযাপন করতেন। কিন্তু সেটা হওয়ার নয়। বিশ্রামের পাশাপাশি হাল্কা ফিজিওথেরাপি আর অল্প শরীরচর্চা। এই তাঁর আগামী দিন দশেকের রোজনামচা। সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে ওষুধ নেওয়া আছেই। কবে থেকে আবার শুটিং শুরু করবেন? আপাতত টানা দিন দশেক বিশ্রাম নিতে হবে, বক্তব্য অভিনেতার। তবে এত কষ্টও হাসিমুখে মেনে নিচ্ছেন, কারণ ২০২৪-এ তিনি নতুন ভূমিকায়। অভিনেতার পাশাপাশি তিনি প্রযোজকও। তাঁরই প্রযোজনা সংস্থার প্রথম ছবি "মির্জা"। মুক্তি পাবে ইদে। অঙ্কুশ জানিয়েছেন, ছবি নিয়ে প্রচুর পরিকল্পনা আছে তাঁর। তাই অন্য ছবি নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছেন না। ‘মির্জা’ মুক্তি পাওয়ার পরে অন্য বিষয়ে মাথা ঘামাবেন।

টলিউড বলছে, প্রযোজক অঙ্কুশ নাকি জিৎ-দেবের পথে হাঁটবেন। নিজের প্রযোজনা সংস্থার নায়ক কেবল তিনিই। কথা শেষের আগেই প্রযোজক-নায়কের দাবি, ‘‘একেবারেই তা নয়। হ্যাঁ, প্রযোজনা সংস্থাকে দাঁড় করাতে হলে শুরুতে হয়তো আমাকেই বেশি অভিনয় করতে হবে। তার মানে এই নয়, অন্যদের ছবিতে অভিনয় করব না। দুর্দান্ত বিষয় বা চরিত্র পেলে কখনও না বলব না। আবার এও হতে পারে, আগামীতে নিজের প্রযোজনা সংস্থাতেই পারিশ্রমিক নিয়ে কাজ করলাম।’’ নতুনরাও তাঁর প্রযোজনা সংস্থার মাধ্যমে অভিনয় দুনিয়ায় আসার সুযোগ পাবেন, আশ্বাস নব্য প্রযোজকের গলায়।

বছরের প্রথম দিন। অঙ্কুশ উৎসাহে ফুটছেন। তথাকথিত ‘শত্রু’দের উদ্দেশ্যে কিছু বার্তা দেবেন?

View this post on Instagram

A post shared by Ankush (@ankush.official)

প্রশ্ন শুনে হেসে ফেলেছেন। জবাবে বলেছেন, ‘‘আমি তো এরকম কাউকে মনে করি না। তবু বলব, সত্যিই যদি পেশাজীবনে কেউ থেকে থাকেন, তাঁরা আদতে আমার উপকার করেন। তাঁদের ভুল প্রমাণ করতে জেদ চেপে যায়। তাতে কাজের প্রতি আরও বেশি মনোযোগী হয়ে উঠি। ওঁরাই আমার প্রকৃত পথনির্দেশক।’’