শুক্রবার ১৮ এপ্রিল ২০২৫

সম্পূর্ণ খবর

লাইফস্টাইল | হতাশা-একাকিত্ব নয়, অবসরেও বাঁচুন প্রাণ ভরে! কীভাবে ৬০-এর পরে রঙিন করে তুলবেন জীবন? রইল হদিশ

Soma Majumdar | | Editor: শ্যামশ্রী সাহা ১০ এপ্রিল ২০২৫ ২২ : ০৯Soma Majumder


আজকাল ওয়েবডেস্ক: ঘুম থেকে উঠে বেরনোর তাড়া, হাঁপাতে হাঁপাতে কর্মক্ষেত্রে পৌঁছনো, সারা দিন একনাগাড়ে মিটিং কিংবা কম্পিউটার-ফাইলের স্তূপের মাঝে নিজেকে খুঁজে চলা, সারাদিনের ক্লান্ত শরীরে বাড়িতে আসা, এক নি:শ্বাসে দিন শেষ হতে না হতেই ফের পরের দিনের তোড়জোড়। চোখের পলকে এভাবেই যেন কেটে গেল ৩০-৩৫ বছর! কর্মব্যবস্ততার মাঝে একটু ছুটির জন্য হাঁসফাঁস করে মন। তারপর একদিন চেনা রুটিনের ওলটপালট!এক নিমেষে এলোমেলো হয়ে যায় দৈনন্দিন রুটিন, কাজের চাপ। আসে অবসর জীবন, দীর্ঘ ছুটি। কিন্তু এতদিনের কাঙ্ক্ষিত ছুটি এলেও মন চায় আবার ব্যস্ততা। প্রথম কয়েকটি দিন ছুটি উপভোগ করলেও, অনেকেরই মনে চেপে বসে একাকিত্ব। হঠাৎ অফুরন্ত সময় পেয়ে ভোগেন অস্তিত্ব সঙ্কটেও। কিন্তু অবসর জীবন মানেই হতাশায় বাঁচা নয়, বরং দৈনন্দিন যাপন একটু বদলে নিয়ে বাঁচুন প্রাণভরে। তাহলে কীভাবে অবসর জীবন করে তুলবেন রঙিন, রইল তারই হদিশ।

দৈনন্দিন রুটিন: অবসর জীবনে প্রবেশ করলে ফাঁকা সময়ে অনেকেই হাঁপিয়ে ওঠেন। তাই আগে থেকে নিজের মতো রুটিন তৈরি করে নিন। কর্মব্যস্ততা না থাকলেও অন্তত একটা রুটিন মেনে চললে ফাঁকা সময়েও হতাশা গ্রাস করবে না। বয়সের সঙ্গে শরীরের দিকে নজর দেওয়া সবচেয়ে বেশি জরুরি। তাই ঘড়ি ধরে করুন খাওয়াদাওয়া। বিকেলের দিকে বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে হাঁটাহাঁটি, গল্প করতে পারেন। তবে যাই করুন, সারা দিনে নিজের জন্য সময় রাখুন।

খোশমেজাজে শরীরচর্চা: অবসর জীবনে শুধুই বিশ্রাম নয়, যতটা পারবেন বিভিন্ন ধরনের কাজকর্মে নিজেকে যুক্ত রাখুন। মনের সঙ্গে শরীরের ফিট থাকাও প্রয়োজন। শরীরচর্চায় নজর দিন। সকালে উঠে অল্প হাঁটাহাটি, যোগাভ্যাস, ধ্যান, শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম করা অভ্যাস করে ফেলুন। বিকেলে বা রাতে খাওয়ার পরও খানিকটা হাঁটতে পারেন। এতে হজমের সমস্যা দূরে থাকবে। বাড়িতে কোনও পোষ্য থাকলে তাকে নিয়ে দৌড়াদৌড়ি করেও ফিট রাখতে পারেন। যেতে পারেন ‘লাফিং ক্লাবে’ও।

নতুন কিছু শেখায় মন দিন: বই পড়া, রান্না করা, ছবি আঁকার মতো বিষয়ে সময় পাচ্ছেন না বলে এতদিন যে আফশোস ছিল, এবার তা মিটিয়ে নিন। নিজের শখ, পছন্দের বিষয়ে মন দিন। নতুন কিছু শিখতে পারেন। নতুন ভাষা, ছবি তোলা কিংবা কোনও বাদ্যযন্ত্র শিখতে পারেন।

পরিবারের সঙ্গে সময় কাটান: কাজের চাপে পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতে পারেননি? স্বামী-স্ত্রী কিংবা সন্তানের সেই অভিমানের বরফ গলার পালা এবার! বয়সের ঘড়ির শেষের দিকে দম্পতিরা একসঙ্গে সময় কাটান। খুদে নাতি-নাতনিদের সারাদিনের বিভিন্ন কাজে যুক্ত থাকলেও মন ভাল থাকবে। যেমন খুদেকে স্কুল, সাঁতার, নাচ, গান, আঁকা শেখাতে নিয়ে যাওয়া। এতে শুধু সময়ই কাটবে না, পরিবারের সঙ্গে সম্পর্কও মজবুত হবে। অবিবাহিত হলে নিজের মতো বন্ধুবান্ধব তৈরি করে সময় কাটান। 

নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা: বয়স শুধুই সংখ্যা মাত্র, আর শরীর যেন অন্য কথা না বলে! অর্থাৎ শরীরে জটিল কোনও রোগ বাসা বাঁধছে কিনা সেবিষয়ে সজাগ থাকুন। তাই স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া, শরীরচর্চা, মানসিক চাপ মুক্ত থাকার সঙ্গেই নিয়মিত স্বাস্থ্যপরীক্ষা খুব জরুরি। বিশেষত রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরল কিংবা কিডনির সমস্যা থাকলে পরীক্ষা করে দেখে নেওয়া উচিত। নিজের দায়িত্বেই নিজের শরীরের খেয়াল রাখুন। 

বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখুন: অবসর নেওয়া মানে কর্মক্ষেত্র থেকে ছুটি মিললেও বাকি জগতের থেকে নিজেকে গুটিয়ে নেওয়া নয়। তাই কাজের চাপে এতদিন যে স্কুল-কলেজের বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পেতেন না, এবার তাঁদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখুন, আড্ডা মারুন। স্কুলের টিফিন ভাগ করে খাওয়া থেকে, কলেজে না গিয়ে প্রিয় অভিনেতার ফার্স্ট ডে ফার্স্ট শো দেখার সেই হাসি-মজার স্মৃতিতে ঢুঁ মারুন। দেখবেন এক নিমেষেই বয়স কত কমে যাবে! বন্ধুদের সঙ্গে বসে কোনও বিষয় আলোচনা করা, বই পড়া বা সিনেমা দেখার মতো কাজে নিজেকে ব্যস্ত রাখতে পারেন।

ঘুরে আসুন: ছুটির আবেদন, মঞ্জুর হওয়ার চাপ নেই, তাই এবার জমানো টাকায় ঘুরতে বেরিয়ে পড়ুন। ভ্রমণপিপাসু মানুষের জীবনে সবচেয়ে উপভোগ্য মনে হবে এটাই। পরিবার কিংবা বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে সাধ্যের মধ্যে ঘোরার প্ল্যান করুন। এতেই ভাল থাকবে শরীর-মন। চাইলে একা কিংবা ভ্রমণ সংস্থার সঙ্গে বেরিয়ে পড়তে পারেন।

আর্থিক পরিকল্পনা: অনেক সময়ে অবসর পরিকল্পনায় গলদ থেকে যায়। ফলে খরচে টান পড়ে। আসলে শুধু তো দৈনন্দিন খরচ নয়, শখ আহ্লাদ সহ বয়সের সঙ্গে বাড়ে চিকিৎসা ব্যয়ও। তাই আগাম পরিকল্পনা না করলে মুশকিল। কিন্তু অল্প বয়সে অনেকেই স্বল্পমেয়াদি লাভের উপরই বেশি জোর দেন। তবে অবসর জীবন স্বাচ্ছন্দ্যে কাটাতে অন্তত ২০ বছর আগে থেকে সঠিক পরিকল্পনা ছকে রাখতে হবে। অল্প বয়সে সঞ্চয় করুন। বিনিয়োগ বা সঞ্চয়ে ‘সময়’ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর। সময় যত বেশি পাওয়া যাবে ততই হাতে আসবে রিটার্ন বা নগদ টাকা হাতে আসবে। মনে রাখবেন, সময়ের সঙ্গে মুদ্রাস্ফীতি অবশ্যম্ভাবী। জিনিসপত্রের দাম বাড়বে। তাই যত বেশি রিটার্ন হাতে থাকবে ততই লাভ।

সমাজের জন্য ভাবনা: আপনার অবসর সময়টি কোনও সামাজিক কাজেও দিতে পারেন। দুঃস্থ শিশুদের পড়ানো বা তাদের আঁকা শেখানো, সামাজিক উন্নয়নে কাজ করা, কোনও সেচ্ছাসেবী সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত হতে পারেন। আবার পত্রিকা প্রকাশ, নাটক ও সাংস্কৃতিক দলের সঙ্গে যুক্ত হয়ে সেই কলেজ জীবনের দিনগুলিকেও ঝালিয়ে নিতে পারেন।


how to rebuild your life after retirement life after retirement

নানান খবর

নানান খবর

প্রেমিকার বয়স জানতেন ২৭, আসল বয়স ৪৮! ভিরমি খাওয়ার উপক্রম প্রেমিক প্রবরের

কম বয়সিদের মধ্যে বাড়ছে টাইপ ৫ ডায়াবেটিস, কী এই অসুখ? কাদের ঝুঁকি বেশি, কোন লক্ষণ দেখলে সতর্ক হবেন?

ঠান্ডা না ঈষদুষ্ণ? কোন ধরনের জলে স্নান করলে বেশি উপকৃত হয় শরীর?

উঠতে-বসতে মিথ্যে বলে সন্তান? কীভাবে কমাবেন মিথ্যা বলার প্রবণতা? মেনে চলুন পাঁচটি পদ্ধতি

যতই খান বাড়বে না ওজন! মেদ ঝরাতে মনের ইচ্ছায় খেতে পারেন এই কটি খাবার

মহিলারা কোন কোন স্কিমে বিনিয়োগ করতে পারেন? রইল হদিশ

কিছুতেই কমছে না মুখ ভর্তি ব্রণ-দাগ? বয়স ১৫ হোক বা ৩৫, ঘরোয়া প্যাকের জাদুতেই হবে ছুমন্তর

গরমে এই ৩ রোগে ভুগতে পারে আপনার সন্তান! কীভাবে শিশুর খেয়াল রাখবেন?

রোজকার এই পাঁচটি কাজ শান্তি ফেরায় মনে, নিয়ম করে করলে দূর হবে উদ্বেগ, মানসিক চাপ

ফেটে চৌচির পায়ের গোড়ালি? তুলতুলে নরম হবে চামড়া, দূর হবে ফাটা চামড়া, কেবল মেনে চলুন এই তিনটি পদ্ধতি

কোরিয়ানদের মতো জেল্লাদার ত্বক পেতে চান? নামীদামি প্রসাধনী নয়, শুধু এই ১০টি ধাপে ত্বকের যত্ন নিন

কিডনির জন্য 'বিষ' পরিচিত এই ৫ খাবার! নিয়মিত খেলেই বড়সড় বিপদ অবধারিত, আপনি খাচ্ছেন না তো?

ইঁদুরের দৌরাত্ম্যে নাজেহাল? খাঁচা-বিষ ছাড়ুন, এই সব ঘরোয়া উপায়েই পালাবার পথ পাবে না ইদুঁরের দল

সারাক্ষণই ক্লান্তি, আচমকা মেদ জমছে শরীরে? ফ্যাটি লিভার নয় তো! ৫ লক্ষণে বুঝুন 'নীরব ঘাতক' ডেকে আনছে সর্বনাশ

রোজ শ্যাম্পু করলে কি চুল শুষ্ক হয়ে যায়? জানেন সপ্তাহে কতদিন অন্তর শ্যাম্পু করা উচিত?

সোশ্যাল মিডিয়া