বৃহস্পতিবার ০৩ এপ্রিল ২০২৫

সম্পূর্ণ খবর

লাইফস্টাইল | পারিবারিক হিংসার শিকার? কীভাবে বাঁচার পথের দিশা পাবেন? হদিশ দিলেন আইনজীবী

নিজস্ব সংবাদদাতা | | Editor: শ্যামশ্রী সাহা ০১ এপ্রিল ২০২৫ ১৭ : ৫০Soma Majumder


আজকাল ওয়েবডেস্ক: অভিযোগের সংখ্যা ২৫৭৪৩। তার মধ্যে ২৪ শতাংশই গার্হস্থ্য হিংসার। ২০২৪ সালের হিসেবের খাতায় এমনই তথ্য রয়েছে জাতীয় মহিলা কমিশনের দফতরে। গত ডিসেম্বরের ওই রিপোর্ট অনুযায়ী সবচেয়ে বেশি অভিযোগ (৫৪ শতাংশ) এসেছে উত্তর প্রদেশ থেকে। 

পুলিশ প্রশাসন থেকে আইনজীবী, সমাজকর্মী থেকে মনোবিদ, সকলেই জানেন পরিস্থিতি আসলে আরও অনেকটাই গুরুতর। খাতায়কলমে জমা পড়া অভিযোগের চেয়ে বাস্তবে এমন পরিস্থিতির শিকার মানুষের সংখ্যাটা অনেক অনেক বেশি। আর তার মধ্যে মহিলা কিংবা পুরুষ, দু’পক্ষই আছেন। ঘাবড়ে যাচ্ছেন? যাওয়ারই কথা। কিন্তু কেন এই হাল, সেটাও তো জানতে হবে। জানতে হবে, কী করে এই পরিস্থিতিতে বাঁচার পথ খুলবে। তা নিয়েই আইনজীবী রম্যানী ঘোষালের মুখোমুখি আজকাল ঘরোয়া। বিয়ে-ডিভোর্স-পারিবারিক হিংসা সংক্রান্ত আইনি সাহায্যের পাশাপাশি রম্যানীর সংগঠন ‘একাকী নয়’-এ এই ঘরনের পরিস্থিতিতে মানসিক সহায়তাও দেওয়া হয়। 

ঘরের ভিতর আঁধার

বিয়ে করেছেন। অনেকটা স্বপ্ন আর আলো-আলো একটা জীবনের প্রত্যাশায় এসেছেন নতুন একটা পরিবারে। কিন্তু সেখানেই যদি অপেক্ষায় থাকে অনেকটা অন্ধকার। তথাকথিত কাছের মানুষদের কাছ থেকেই জোটে অত্যাচার? সে শারীরিক, মানসিক বা ইমোশনাল, যে পথেই সে অভিজ্ঞতা হোক না কেন, নির্যাতন তো নির্যাতনই।

কিন্তু কেন এমন হয়?

রম্যানীর কথায়, “পরিবার শব্দটার মধ্যেই লুকিয়ে আছে জীবনের সব আনন্দ। একটা আশ্রয়, বাইরের পৃথিবীর সঙ্গে কঠিন লড়াইয়ে সাহস জোগানোর ঠিকানা। আদিম যুগে যখন মানুষ বিজ্ঞানের সন্ধান পায়নি, তখন থেকেই নিজেদের রক্ষার তাগিদে মানুষ দলবদ্ধ হয়েছে, সমাজের সৃষ্টি হয়েছে, আবার তা ভেঙে এসেছে যৌথ পরিবার। ক্রমশ নিজেদের স্বার্থে ও অর্থনৈতিক, মানসিক, সামাজিক নানা কারণে তা-ও ভাঙতে ভাঙতে সেগুলোও প্রায় বিলুপ্ত। শুরু হয়েছে আমি-তুমি-একটা দুটো বাচ্চা নিয়ে ভালভাবে থাকার জন্য বাঁচার লড়াই। আর এর ফলে স্বার্থপর হতে হতে কোথায় যেন তলিয়ে যাচ্ছে সামাজিক মূল্যবোধগুলো। ভাল থাকতে গিয়ে কতটা ভাল থাকছি, তার সংজ্ঞা্টাই আমরা জানি না। এর থেকেই তৈরি হচ্ছে হিংসা, নিষ্ঠুরতা। বাবা মা সন্তানকে সুখী রাখতে পারছে না— এই অজুহাতে সন্তান তাদের দায়িত্ব নিতে অস্বীকার করছে। আবার স্বামী স্ত্রীর বিরুদ্ধে, স্ত্রী স্বামীর বিরুদ্ধে, এমনকি ছোট ছেলে-মেয়েরাও এই পারিবারিক হিংসার কবলে পড়ে যাচ্ছে। বাবা মা সময় না দিতে পারায় বাচ্চাকে ভুলিয়ে রাখার জন্য হাতে তুলে দিচ্ছে নানা দামি উপহার। বাচ্চা ক্রমশ নিঃসঙ্গ হয়ে পড়ছে। তৈরি হচ্ছে ডিপ্রেশন নামক গালভরা নাম। এই একাকীত্বের শিকার কেবল ছোটরাই নয়। পরিসংখ্যান বলছে, সব বয়সের মানুষের মধ্যেই ক্রমশ তা বেড়ে চলেছে। অনেকেই তাদের মানসিক স্থিতি বজায় রাখতে পারছে না। আবার পাছে তাকে কেউ পাগল ভাবে, তাই মনোবিদের কাছে যেতেও ভয় পাচ্ছে। আর পারিবারিক হিংসায় দেখা যাচ্ছে উকিলের পরামর্শ নেওয়া তো দূরের কথা, সম্মানহানির আশঙ্কায় পুলিশের কাছে নালিশ জানাতেও অনেকে অনিচ্ছুক।” 

মনের গভীরে বিপদ

বিপক্ষ যখন পরিবার, তখন কী করবেন, কী ভাবে করবেন, সেটা বুঝে পাননা অনেকেই। লোকে কী বলবে-র ভয়ও তাড়া করে অহরহ। মনের কথা খুলে বলার লোক কিংবা বলে ফেলার সাহস, দুটোর অভাবেই ভোগেন অনেকে। কিন্তু দিনের পরদিন মুখ বুজে সবটা সয়ে যাওয়ার মাসুল গোনে মন। তার গভীরে বাসা বাঁধে অবসাদ, মানসিক চাপ। সমস্যা যখন মাত্রা ছাড়ায়, ধৈর্যের বাঁধ ভাঙে। কিংবা সইতে সইতে মনের সমস্যাও চরমে পৌঁছয়। রম্যানী যেমন বলছেন, “মানুষের জীবনে খাওয়াদাওয়া, জামাকাপড় আর মাথার ছাদের বাসনা ছাড়াও মনের গুরুত্বও কিন্তু কিছু কম নয়। মন চায় মনের মতো সঙ্গী। কিন্তু চাইলেই কি সব পাওয়া যায়। তাই আমরা অন্য অনেক মরীচিকার পেছনে ছুটি। টাকা সব সুখ দেবে, এই আশায় কাজ, কাজ আর কাজ করে চলি। সারা শরীরের যত্ন নিই। কিন্তু মনের আবার কিসের যত্ন? এই তো সিনেমা দেখছি, পার্টিতে নাচছি, গল্পের বই পড়ছি,  আঁকছি...  আর কী চাই এই মনটার? তবু মন ক্লান্ত হয়, কথারা জমে থাকে বুকে। ভাঙছি, তবু আমি কি পাগল যে মনের চিকিৎসা করাব? মনের কথা আগলহীন ভাবে খুলে দেব? অথচ এর থেকেই জন্ম হয় হিংসার। বিশেষত গার্হস্থ্য হিংসায় যারা অত্যাচার করে বা যারা অত্যাচারিত হয়, দু’তরফই এর শিকার। মনের রোগ এখন মহামারী। আর প্রিয়জনকে হত্যা বা আত্মহত্যা এখন জলভাত। তা থেকে বাঁচতে শুরুতেই দরকার মন খুলে কথা বলার আর আইন কীভাবে পাশে থাকতে পারে তা বোঝার।”

আলোর পথ

সমস্যা যখন আছে, সমাধানও নিশ্চয়ই আছে। অন্ধকার সুড়ঙ্গের ওপারটায় যেমন আলো থাকে। গার্হস্থ্য হিংসা থেকে বাঁচতে বা পারিবারিক জটিলতার জেরে মনের সমস্যা এড়াতে তবে কী করবেন? “এই সমস্ত ক্ষেত্রে দরকার মানসিক আশ্রয়। প্রয়োজন বিশ্বস্ত বন্ধুর। বিশেষ করে প্রিয়জনদের কাছে যারা অত্যাচারিত হয় বা তাদের অত্যাচার করে, তাদের এই ভরসাটার খুব দরকার। এমন মানুষদের মনের যন্ত্রণা খুলে বলার সুযোগ করে দিতে আছে মনোবিদ বা নানা ধরনের সংস্থা বা সংগঠন। আইনি পরামর্শ দিতে আছেন আইনজীবীরা। দরকার শুধু সাহস করে এগিয়ে আসা, মনের কথা খুলে বলা এবং নিজের উপর ভরসা রাখা।


Domestic Violence

নানান খবর

নানান খবর

নামীদামি প্রসাধনী নয়, চুলের ভোলবদলে এই প্রোটিন লাড্ডু একাই একশো! বাড়িতে সহজে কীভাবে বানাবেন?

একদিনে ১ কেজি! ম্যাজিকের মতো ওজন কমায় রান্নাঘরের এই মশলা, নিয়মিত কীভাবে খেলে মিলবে সুফল?

চুপিসারে বারোটা বাজচ্ছে লিভারের? রাতের এই সব লক্ষণে বুঝুন বিপদ সংকেত

বেতন মিলবে তিন কোটি! তবুও কেউ করতে চান না এই চাকরি, কারণ জানলে অবাক হবেন

নাভিতে কয়েক ফোঁটা তেলেই লুকিয়ে হাজার রোগের সমাধান! জানেন কোন অসুখে কোন তেল লাগালে মিলবে উপকার?

লাল–নীল–হলুদ–সবুজের সমাহার!‌ জানেন প্যাকেটের গায়ে কেন ব্যবহার করা হয় এধরণের সঙ্কেত?

হেয়ার স্পা-সিরামে কাজ হচ্ছে না? এই সব বীজ ব্যবহার করে দেখুন তো! রাতারাতি বাড়বে চুলের জেল্লা

নিয়মিত যৌন মিলনে কমে মহিলাদের মৃত্যুর ঝুঁকি! জানেন সপ্তাহে কত বার সঙ্গমে লিপ্ত হলে বাড়ে আয়ু?

জানলে অবাক হবেন, রাতে বিমান উড়ান-অবতরণের সময় কেবিনের আলো কমিয়ে দেওয়া হয় কেন?

এক মাসে ৫ কেজি ওজন কমাতে চান? এই কটি টিপসের ম্যাজিকেই বরফের মতো গলবে মেদ

রান্নাঘরেই ম্যাজিক! কীভাবে চটজলদি বন্ধ হবে চুল পড়া, গজাবে নতুন চুল? টিপস দিলেন খোদ জাভেদ হাবিব

সন্তানের সুঅভ্যাস কীভাবে গড়ে তুলবেন? রইল বিশেষজ্ঞের পরামর্শ

কমবে ভুঁড়ি, কাছে ঘেঁষবে না রোগভোগ! টানা তিন সপ্তাহ এই চেনা সবজির রস খেয়ে দেখুন তো!

'জিবলি'-তে মজে গোটা বিশ্ব, কতটা নিরাপদ চ্যাটজ্পিটির এই ফিল্টার, আপনার তথ্য সুরক্ষিত থাকছে তো?

ভুলেও ফ্রিজে রাখবেন না এই সব খাবার, টাটকা থাকার বদলে হয়ে উঠবে ‘বিষ’!

আইপিএল লাইভ স্কোর

সোশ্যাল মিডিয়া