বৃহস্পতিবার ০৩ এপ্রিল ২০২৫

সম্পূর্ণ খবর

রাজ্য | যক্ষ্মা নির্মূলে অভিনব উদ্যোগ, রোগী দত্তক নেওয়ার আহ্বান জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের

Pallabi Ghosh | ২৫ মার্চ ২০২৫ ১৯ : ৪৬Pallabi Ghosh


মিল্টন সেন, হুগলি: যক্ষ্মা নির্মূল করতে জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের অভিনব উদ্যোগ। পথ্য জোগাতে যক্ষ্মা রোগীদের দত্তক নেওয়ার আহ্বান জানাল জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর। লক্ষ্য চলতি বছরে জেলা থেকে যক্ষা সম্পূর্ণ নির্মূল করে ফেলা। তাই চলছে সচেতনতার প্রচার। পাশাপাশি গ্রহণ করা হয়েছে হুগলি জেলা জুড়ে একাধিক কর্মসূচী। 

মঙ্গলবার হুগলি সার্কিট হাউসে জেলা টিবি ফোরামের উদ্যোগে বৈঠক হয়। জাতীয় যক্ষ্মা নির্মূল প্রোগ্রামের অন্তর্গত এই কর্মসূচীতে হুগলি জেলায় একশো দিন টানা বিশেষ কর্মসূচী গ্রহণ করা হয়েছে। যক্ষ্মা উপসর্গ আছে এমন ব্যাক্তিদের চিহ্নিত করার কাজ চলছে। একইসঙ্গে পরীক্ষা করার পর আক্রান্তদের চিকিৎসাও শুরু করে দেওয়া হচ্ছে মাত্রই ২৪ ঘণ্টার মধ্যে। 

এই প্রসঙ্গে হুগলি জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক মৃগাঙ্ক মৌলি কর জানিয়েছেন, শুরু থেকেই হুগলি জেলায় টিবির প্রবনতা বেশি। কারণ, হুগলি জেলার বিস্তীর্ণ গঙ্গার পার জুড়ে রয়েছে শিল্পাঞ্চল। গড়ে উঠেছে বিভিন্ন কলকারখানা। বিশেষ করে জুটমিল এলাকায় শ্রমিকরা যে ভাবে থাকেন, তা খুবই অস্বাস্থ্যকর। টিবি সঠিক সময়ে ধরা না পরলেও চিকিৎসা শুরু হওয়ার পর তা নিয়মিত না করা, ইত্যাদি কারণে মৃত্যু হয়ে থাকে। মানুষকে সচেতন করতে পারলে তবেই কাজ হবে। মানুষ নিজে থেকে সচেতন হলেই এই টিবি নির্মূল করা যাবে। 

টিবির উপসর্গ দেখা দিলে স্বাস্থ্য কেন্দ্রে গিয়ে পরীক্ষা করাতে হবে। সেক্ষেত্রে কফ পরীক্ষা, ন্যাট পরীক্ষা, বুকের এক্স-রে ইত্যাদি করে যক্ষ্মা ধরা পড়ে। তারপর দ্রুত চিকিৎসা শুরু হয়। মাত্র ছ'মাস টানা ওষুধ খেলে রোগ একেবারেই সেরে যায়। যক্ষ্মা রোগীর পুষ্টিকর খাবার প্রয়োজন হয়। সরকারি তরফে প্রত্যেক রোগীর পথ্যের জন্য মাসিক এক হাজার টাকা বরাদ্দ আছে। ভাল খাবার না খেলে আবার রোগীদের সাধারণ ওষুধ কাজ করে না। সেক্ষেত্রে রোগীদের ভাল খাবার, পুষ্টিকর খাবার প্রয়োজন। 

হুগলি জেলায় মৃত্যুর হার অনেক বেশি ছিল। সেটা কমিয়ে আনা গেছে। গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে যক্ষ্মা আক্রান্ত রোগী মৃত্যুর সংখ্যা অনেকটাই কমেছে। বর্তমানে সাড়ে তিন হাজার যক্ষ্মা রোগী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক আরও বলেছেন, গত তিন মাস ধরে টানা যক্ষ্মা চিহ্নিতকরণের লক্ষ্যে স্পেশাল ড্রাইভ চলেছে। স্ক্রিনিং করা হয়েছে। আগে টিবির চারটি উপসর্গের কথা বলা হতো। এখন টেন এস, বা দশটি উপসর্গের কথা বলা হয়। ফলে সামান্য উপসর্গ থাকলেও কেউ যেন চিকিৎসার বাইরে না থাকে। 

এই স্পেশাল ড্রাইভে ১৬৩০ জন আক্রান্তকে খুঁজে পাওয়া গেছে। চেষ্টা করা হচ্ছে যাতে দ্রুত চিহ্নিত করা যায় এবং চিকিৎসা শুরু করা যায়। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা গেছে দেরিতে শনাক্ত হওয়ার কারণে ৪০ শতাংশ টিবি আক্রান্ত রোগীর মৃত্যু হয়েছে। রোগ লুকিয়ে রাখার চেষ্টা করলে রোগীর এবং সমাজের ক্ষতি। বিশেষ করে সমাজে আর্থিকভাবে দুর্বলদের মধ্যেই যক্ষ্মার প্রাদুর্ভাব বেশি। তাই একটি প্রকল্প আছে নিক্সায় মিত্র। সেখানে যে কেউ যক্ষ্মা রোগীকে দত্তক নিতে পারেন। মাসে পাঁচশ টাকা করে দিতে হবে। সেই টাকায় পুষ্টিকর খাবার কিনে ছ'মাস রোগীদের খাওয়ানো হয়। ওষুধের পাশাপাশি পুষ্টিকর খাবার খেয়ে দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠেন রোগী। জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফে আশা করা হচ্ছে, আগামী চলতি বছরের মধ্যেই যক্ষ্মা নির্মূল করার লক্ষ্যে পৌঁছনো সম্ভব হবে। এদিন সার্কিট হাউসে আয়োজিত বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন এডিএম জেলা পরিষদ অনুজ প্রতাপ সিং, সিএমওএইচ মৃগাঙ্ক মৌলি কর, ডেপুটি সিএমওএইচ-২ দেবযানী বসু মল্লিক, হু-এর প্রতিনিধি, সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধি, বিভিন্ন এনজিও, দুর্বার মহিলা সমিতি এবং সদ্য যক্ষ্মা জয়ীরা।
ছবি পার্থ রাহা।


HooghlyHooghly District Health DepartmentTB

নানান খবর

নানান খবর

দাউদাউ করে জ্বলছে চাপড়ামারি জঙ্গল, বিপর্যস্ত বন্যপ্রাণ, উদ্বেগ বাড়ছে স্থানীয়দের মধ্যে

ইঁদুর মারতে সেমাইয়ের সঙ্গে মেশানো হয়েছিল বিষ, খেয়ে ফেলল বাড়ির শিশুরা, ভয়াবহ পরিণতি

ভয়াবহ আগুনে পুড়ে ছাই ১৫টি ঘর, ঝলসে গেল গবাদি পশু-মজুত টাকা, গ্রাম জুড়ে হাহাকার

এবার সিকিম যাওয়া হবে আরো সহজ! পাহাড়ে যাতায়াতে সিকিম ও বাংলার যৌথ উদ্যোগ, জেনে নিন

একই ভুলে হাত হারালেন একই বাসের দুইযাত্রী, নদিয়াতে হাড়হিম করা দুর্ঘটনা

ইদের আনন্দ করতে গিয়ে ভয়াবহ দুর্ঘটনা মুর্শিদাবাদে,মৃত ৪

বন্ধুদের সঙ্গে বিরিয়ানি খেতে গিয়ে রহস্যমৃত্যু নাবালিকার, জঙ্গল থেকে উদ্ধার দেহ

সিঁদুরে মেঘ হল বৃষ্টি, জীবনদায়ী ওষুধের দাম বৃদ্ধিতে মধ্যবিত্তের নাভিশ্বাস ওঠার জোগাড়, কোন স্বার্থ কেন্দ্রের?

চলো ঘুরে আসি, ভিক্ষুক সেজে শিশু চুরি মালদায়

‘এত পরিমাণ বাজি মজুত রাখার কারণ কী?’ পাথরপ্রতিমার ঘটনায় তদন্তে পুলিশ

দক্ষিণ ২৪ পরগণায় পাথরপ্রতিমায় বাজি বানানোর সময় বিস্ফোরণ, চার শিশু সহ সাত জনের মৃত্যু

সমাজে হত্যা ও ধর্ষণের প্রবণতা বৃদ্ধির নেপথ্যে প্রধান কারণ কী, মানসিক অবসাদ না কি সমাজমাধ্যম?

ঈদের ছুটিতে বাড়ি ফেরা হল না, চলন্ত ট্রেন থেকে পড়ে মৃত্যু সেনাকর্মীর

ঈদের আনন্দের মাঝেই শোকের ছায়া মুর্শিদাবাদে, পুড়ে ছাই বিঘের পর বিঘে চাষের জমি

খুশির ঈদে একই সঙ্গে তৃণমূল, সিপিএম, কংগ্রেস, রিষড়ায় সম্প্রীতির বার্তা দিলেন সকলেই

আইপিএল লাইভ স্কোর

সোশ্যাল মিডিয়া