রবিবার ২০ এপ্রিল ২০২৫

সম্পূর্ণ খবর

রাজ্য | ছোটবেলার শখ বিক্রি করেই হয় দিন গুজরান, ব্যক্তির সংগ্রহ দেখলে চমকে যাবেন

Riya Patra | ০৭ মার্চ ২০২৫ ১৯ : ৪৪Riya Patra


মিল্টন সেন,হুগলি: কিশোর অবস্থার শখ বয়সকালে হয়ে দাঁড়াল অবলম্বন। শখ বিক্রি করার মধ্যেই মানসিক স্বস্তি খুঁজে পেয়েছেন শ্রীরামপুরের অমল ভট্টাচার্য্য। পেশায় একসময় তিনি ডাক বিভাগের কর্মী ছিলেন। কৈশোরেই তিনি কাজে যোগ দিয়েছিলেন ভারতীয় ডাক বিভাগে। কুড়ি বছর বয়েস থেকেই তিনি পুরোদমে চাকরি করেছেন শ্রীরামপুর পোস্ট অফিসে। ডাক বিভাগে চাকরি করার সুবাদে তখনই তাঁকে পেয়ে বসেছিল এক অদ্ভুত শখ। নানা রকমের মুদ্রা জমানোর শখ।

সংগ্রহ করে রাখা এক টাকা, দু' টাকা থেকে পাঁচ টাকা দশ টাকার নতুন নোট। এক পয়সা, দু' পয়সা, এক আনা, চার আনা দশ, পাঁচ পয়সা থেকে আরও প্রাচীন মুদ্রা জমানো। মূলত তাঁর শখ ছিল পুরনো ও বিভিন্ন দেশীয় মুদ্রা সঞ্চয় করা। এভাবেই দীর্ঘ চাকরি জীবনে ধীরে ধীরে অমলের সংগ্রহে এসেছে বহু মুদ্রা। এসেছে পরাধীন ভারতবর্ষে প্রচলিত নানান মুদ্রা। কর্মরত অবস্থায় দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে তিনি বিভিন্ন সময়ের দেশীয় মুদ্রা সঞ্চয় করেছেন। ৬০ বছর বয়েসে চাকরি জীবন থেকে অবসর নিয়েছেন। তার পরই কর্মহীন অমলের অবলম্বন হয়ে দাঁড়ায় কৈশোরের তাঁর শখের সংগৃহীত নোট এবং পয়সা। বর্তমানে সেই সঞ্চয় বিক্রয়ের মধ্য দিয়েই দিন কেটে যাচ্ছে বৃদ্ধ অমল ভট্টাচার্য্যর। 


আজও হুগলির শ্রীরামপুরের জি টি রোড সংলগ্ন বটগাছের তলায় তাঁর দেখা মেলে। শীত গ্রীষ্ম প্রতিদিন সকাল দশটা থেকে দুপুর দুটো পর্যন্ত পসরা নিয়ে পাওয়া যায়। ফুটপাতের উপর সাজিয়ে বসেন কৈশোর থেকে টানা ৪০ বছর চাকরি জীবনের তাঁর সঞ্চিত সংগ্রহ। সেখানে রয়েছে দেশে বিভিন্ন সময়ে প্রচলিত থাকা নানান মুদ্রা। পরাধীন এবং স্বাধীন ভারতবর্ষের দুর্লভ নানান টাকা পয়সা। যে মুদ্রা বর্তমানে অচল। আর কোনও আইনি বা বৈধ মূল্য নেই। অথচ পুরনো সেই সমস্ত মুদ্রা নিয়ে যথেষ্টই কৌতূহল রয়েছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। তাই এক আনা থেকে পাঁচ টাকা সবই বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন দামে।

এই প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, বছর দুয়েক ধরে রাস্তার ধারে বসে তিনি তাঁর সঞ্চিত সংগ্রহ বিক্রি করে চলেছেন। যত দিন যাচ্ছে, ধীরে ধীরে সেই সঞ্চিত সংগ্রহের ঝুলি খালি হচ্ছে। গত দুবছরে সংগ্রহ অনেকটাই কমেছে। তবে এখনও অনেক আছে। তবে বিক্রি হওয়ার থেকেও বড় বিষয় প্রতিদিন দূরদূরান্ত থেকে বহু মানুষ তাঁর সংগ্রহের মুদ্রা দেখতে খোঁজ নিয়ে শ্রীরামপুরে আসেন। তাঁর সঙ্গে দেখা করেন। মুদ্রা নিয়ে নানান প্রশ্ন করেন। তিনি উত্তর দেন। উত্তর দিতে পছন্দ করেন। বিশেষ করে যারা পুরাতন মুদ্রা জমানোর শখ রাখেন, তারা যখন আসেন। অনেকেই আবার মুদ্রা বা নোট কিনেও নিয়ে যান। এভাবেই তাঁর সময় কেটে যায়। পাশাপাশি তাঁর সঞ্চিত সংগ্রহ স্থান পায় অন্য কোনও মানুষের সংগ্রহে। এই কাজ করতে তাঁর বেশ ভালো লাগে।ইতিমধ্যেই হাওড়া, হুগলী, দুই ২৪ পরগনা সহ একাধিক জেলা থেকে বহু মানুষ তাঁর কাছ থেকে মুদ্রা ক্রয় করে নিয়ে গেছেন। অমল ভট্টাচার্য্য মনে করেন, সংগ্রহের পরিবর্তে টাকা জমিয়ে রাখলে হয়তো অনেক আগেই সেই সঞ্চয় শেষ হয়ে যেত। তিনি গর্বিত, তাঁর কৈশোরের শখের সংগ্রহ বর্তমানে তাঁরই জীবন যাপনের অবলম্বন হয়ে দাঁড়িয়েছে।


Childhood hobbiesEarnHooghly

নানান খবর

নানান খবর

প্রীতিভোজের আসরে পুলিশ পৌঁছতেই বেপাত্তা বরের বাড়ির লোকজন, কনে গেল 'হোম'-এ, কারণ কী?

কড়া হাতে পরিস্থিতির মোকাবিলা, স্বাভাবিক হচ্ছে ধুলিয়ান, খুলছে দোকানপাট, গ্রেপ্তার ২৮৯

সাতসকালে লোকালয়ে একাধিক বাইসন, হামলায় গুরুতর জখম গ্রামবাসী, আতঙ্ক এলাকায়

উত্তরে দুর্যোগ, দক্ষিণে ফিরছে তাপপ্রবাহ! একধাক্কায় ৫ ডিগ্রি বাড়বে পারদ, বড় অ্যালার্ট হাওয়া অফিসের

উদ্ধার হাড়, মাথার খুলি, জামার টুকরো, এগুলি কি নিখোঁজ দুই যমজ বোনের? উঠেছে প্রশ্ন

ছাগল নিয়ে ঝগড়া, দু'পক্ষের মারপিট, পুলিশ সুপারের অফিসের সামনে ধর্না

এবার লেডিস স্পেশালেও উঠতে পারবেন পুরুষ যাত্রীরা, বড় সিদ্ধান্ত শিয়ালদহ ডিভিশনের

মুরগি কেন ওই বাড়িতে গেল!‌ তা নিয়ে দু’‌পক্ষের মারামারি, আহত কমপক্ষে ১০

সপ্তসিন্ধু জয় করার লক্ষ্যে বড় পদক্ষেপ, জিব্রাল্টার প্রণালী পার করল কালনার সায়নী

মুর্শিদাবাদে স্বাভাবিক হচ্ছে পরিস্থিতি, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় প্রশাসনের শীর্ষকর্তারা

'সকালে উঠে স্ত্রীকে যেন না বলেন, চলো রামমন্দিরে যাই', দিলীপ ঘোষকে পরামর্শ মদন মিত্রের

চোলাই মদের বিরুদ্ধে বড়সড় অভিযান পুলিশ ও আবগারি বিভাগের, বাজেয়াপ্ত কাঁচামাল, গ্রেপ্তার এক

ভাড়াটিয়ার বিদ্যুতের বিল বকেয়া ছিল, তাগাদা করেছিলেন বাড়ির মালিক, রাগে তাঁর স্ত্রীকে খুন

টর্নেডোর দাপটে উড়ল ঘরের চাল, পড়ল গাছ, লণ্ডভণ্ড দাদপুর-ধনেখালির বিস্তীর্ণ এলাকা

চলন্ত অবস্থায় পুরুলিয়াগামী বাসে আগুন, দ্বিতীয় হুগলি সেতুতে ভয়াবহ দুর্ঘটনা

সাতসকালে ফালাকাটায় বাইসনের তাণ্ডব, গুরুতর জখম কৃষক, এক বাইসনের মৃত্যু

গরম পড়তেই ওরা আক্রমণ করে চা গাছে, বাগান বাঁচাতে কী উপায়? বলছেন বিশেষজ্ঞরা

‘এবার যোগ্যতা প্রমাণের পালা’, সুপ্রিম রায়ে স্বস্তির পর জানাচ্ছেন প্রধান শিক্ষকরা

'আমি কি বিয়ে করতে পারি না!', বিয়ের খবর প্রচার হতেই আর কী বললেন দিলীপ ঘোষ?

সোশ্যাল মিডিয়া