রবিবার ২০ এপ্রিল ২০২৫

সম্পূর্ণ খবর

বাণিজ্য | নিয়োগকর্তা যেকোনও পরিস্থিতিতে গ্র্যাচুইটি দেওয়া অস্বীকার করতে পারেন? জেনে নিন বিস্তারিত...

RD | ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ ২১ : ৫১Rajit Das


আজকাল ওয়েবডেস্ক: ২০২৫ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি এক ঐতিহাসিক রায়ে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে যে, 'নৈতিক স্খলনের' কারণে একজন কর্মচারীর গ্র্যাচুইটি বন্ধ করা যেতে পারে। এর অর্থ হল, ১৯৭২ সালের পেমেন্ট অফ গ্র্যাচুইটি আইনের অধীনে গ্র্যাচুইটি বন্ধ করার জন্য ফৌজদারি দোষী সাব্যস্ত হওয়ার আর প্রয়োজন নেই। এমনই তাদের প্রতিবেদনে তুলে ধরেছে 'দ্য ইকোনমিক টাইমস'।

এর আগে, ২০১৮ সালে ভারত সরকার বনাম অজয় ​​বাবু মামলায় সুপ্রিম কোর্ট রায় দিয়েছিল যে, কোনও কর্মচারীর গ্র্যাচুইটি বন্ধ বা দিতে অস্বীকার করার আগে নিয়োগকর্তাকে সংশ্লিষ্ট কর্মচারীর 'নৈতিক স্খলনের' অধীনে অসদাচরণ প্রমাণ করতে হবে। তবে, সর্বশেষ রায়ের মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে যে, যদি কোনও নিয়োগকর্তা জালিয়াতি-সহ নানা অন্য়ায্য ও অনৈতিকতার কারণে কোনও কর্মচারীর গ্র্যাচুইটি বন্ধ করেন, তাহলে আদালতের রায়ের অপেক্ষার দরকার নেই।

উল্লেখিত মামলাটি একজন পাবলিক সেক্টর আন্ডারটেকিং (PSU) সংস্থার কর্মচারীর সঙ্গে জড়িত ছিল। সেই কর্মচারীর জন্ম ১৯৫৩ সালে হলেও সে চাকরির নিয়োগ নিশ্চিত করার জন্য সরকারকে জানিয়েছিল যে, তাঁর জন্ম হয়েচে ১৯৬০ সালে। তিনি প্রায় ২২ বছর ধরে PSU-তে কর্মরত ছিলেন। কিন্তু বেনিয়ম ধরা পরতেই, PSU-এর শৃঙ্খলা কমিটি নৈতিক স্খলনের কারণ দেখিয়ে ওই কর্মচারীকে চাকরি বরখাস্ত করে এবং গ্র্যাচুইটি দিতে অস্বীকার করে। 

সুপ্রিম কোর্ট কী বলেছে?
সুপ্রিম কোর্ট PSU-এর সিদ্ধান্ত বহাল রেখেছে এবং রায়ে বলেছে যে, ওই মামলায়, এটি প্রমাণিত হয়েছে যে আবেদনকারী তাঁর প্রকৃত জন্ম তারিখ গোপন করেছেন। নিয়োগের উদ্দেশ্যে তিনি জাল শংসাপত্র তৈরি করেছিল। ফলে বিষয়টি প্রমাণিত অসদাচরণ ও নৈতিক স্খলনের সঙ্গে জড়িত একটি অপরা হিসাবে গণ্য হয়। ফলে ওই ব্যক্তির গ্রাচুইটি বন্ধ করে PSU কোনও ভুল করেনি। এক্ষেত্রে ফৌজদারি মামলায় ওই ব্যক্তির দোষী সাব্যস্ত হওয়ারও কোনও প্রয়োজন নেই। 

তবে শীর্ষ আদালত জানিয়েছে যে, চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের আগে অভিযুক্ত কর্মী বা কর্মীদের যুক্তি উপস্থাপনের সুযোগ দিতে হবে। সুপ্রিম কোর্ট বলেছে যে, 
"অবশ্যই, চাকরিচ্যুত কর্মচারীর কাছে একটি নোটিশ জারি করা উচিত। তাঁর ব্যাখ্যা শোনা ও খতিয়ে দেকা প্রয়োজন।"  

গ্র্যাচুইটি কী, কত বছর কাজ করলে পাবেন? 
চাকরি থেকে অবসর নেওয়ার সময় প্রভিডেন্ট ফান্ড এবং পেনশন ফান্ড ছাড়াও অন্য একটি ফান্ড থেকে অর্থ হাতে আসে, যাকে গ্র্যাচুইটি বলা হয়। যাঁরা কমপক্ষে পাঁচ বছর ধরে একটি সংস্থায় কাজ করেছেন তাঁদের গ্র্যাচুইটি দেওয়া হয়। গ্র্যাচুইটি আসলে একটি উপহার, যা আপনার নিয়োগকর্তা আপনার বহু বছরের পরিষেবার বিনিময়ে আপনার চাকরি ছাড়ার সময় দেন। গ্র্যাচুইটি হল একটি বেনিফিট প্ল্যান, যা অবসরকালীন সুবিধার একটি অংশ এবং নিয়োগকর্তা পরিষেবা ছেড়ে দেওয়ার বা সম্পূর্ণ করার সময় কর্মচারীকে দেন। চাকরি ছাড়ার বা অবসর নেওয়ার আগে ৪ বছর ১০ মাস এবং ১১ দিন ধরে একটানা কাজ করেছেন এমন প্রত্যেক কর্মচারীকে গ্র্যাচুইটি দেওয়া হয়। এক বা দুই বছরের মধ্যে চাকরি ছাড়লে গ্র্যাচুইটি মেলে না। 


gratuity

নানান খবর

নানান খবর

রেকর্ড, চড়চড়িয়ে বাড়ল আরবিআই-এর মজুত সোনার মূল্য

ফিক্সড ডিপোজিটে কমল সুদের হার, জেনে নিন বিস্তারিত

একইসঙ্গে খুলতে পারবেন দুটি পিপিএফ অ্যাকাউন্ট, মানতে হবে এই সহজ নিয়ম

বিনিয়োগ করতে চান, দেখে নিন সেরা পাঁচটি মিউচুয়াল ফান্ডের ঠিকানা

অনলাইনে নিজের এসবিআই অ্যাকাউন্টের শাখা পরিবর্তন করতে চান, রইল বিস্তারিত তথ্য

মাসে ৩ হাজার টাকা বিনিয়োগ করলেই হতে পারেন কোটিপতি, কীভাবে দেখে নিন এখনই

কেন্দ্রীয় এই প্রকল্পে বিনিয়োগ করলেই মিলবে ৫০০০ টাকা পর্যন্ত মাসিক পেনশন! সুরক্ষিত করুন নিজের ভবিষ্যৎ

অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারীদের জন্য সুখবর, এবার বিলম্বিত পেনশনের উপর মিলবে ৮ শতাংশ সুদ

ওষুধ খেয়েই ওজন কমিয়ে এমন পাল্টে গেলেন? করণ জোহরের বিস্ফোরক জবাবে হাঁ নেটপাড়া

কমে গেল সুদের হার, এই ব্যাঙ্কে ফিক্সড ডিপোজিট এবং সেভিংসে বড় বদল, জেনে নিন এখনই

মাসে ১০ হাজার টাকা বিনিয়োগ করেই হতে পারেন কোটিপতি, জেনে নিন কীভাবে

দরিদ্রদের জীবনে আশার আলো, জানুন কেন্দ্রীয় এই ৯ প্রকল্প সমন্ধে

সম্পত্তি রেজিস্ট্রেশনের সময় স্ট্যাম্প ডিউটির খরচ কীভাবে কমানো যায়? জেনে নিন এই আইনি উপায়গুলি

রেপো রেট কমায় সুদের হার কমেছে, এবার আপনি কীভাবে ইএমআই কমাবেন? জেনে নিন

পাঁচ শতাংশ সুদে মিলবে তিন লক্ষ টাকা ঋণ, জানুন এই সরকারি প্রকল্প সমন্ধে

সোশ্যাল মিডিয়া