আজকাল ওয়েবডেস্ক: সমুদ্রের জলের নিচে তাকে সামনে দেখলেই সকলের চোখ কপালে ওঠার যোগাড়। নাম তার গ্রেট হোয়াইট শার্ক। যাকে সমুদ্রের নিচের সবথেকে বড় শিকারি হিসাবে সকলে মেনে নিয়ে থাকেন। তার সামনে যদি কেউ এসে পড়ে তাহলে তার মৃত্যু প্রায় নিশ্চিত। সহজেই নিজের প্রতিপক্ষকে কাবু করে তাকে সাবাড় করতে একেবারে সিদ্ধহস্ত গ্রেট হোয়াইট। 


তবে এখানেই টুইস্ট। অস্ট্রেলিয়ার সমুদ্রে এসে হাজির হয়েছে নতুন ঘাতক। তাকে সামনে দেখলেই পালিয়ে যেতে পথ পাচ্ছে না গ্রেট হোয়াইট। যদি এই ঘাতকের সামনে ভুল করে সে চলে আসে তাহলে কোনদিক থেকে পালাবে সেটা ভাবতে গিয়েই প্রাণ হারাচ্ছে গ্রেট হোয়াইট। নতুন এই ঘাতক নিয়ে খানিকটা চিন্তায় ছিলেন সমুদ্র বিশেষজ্ঞরা। তবে এবার তারা একে নিয়ে গবেষণা শুরু করে দিলেন।


নতুন এই ঘাতকের নাম অরকাস। এটি একটি ঘাতক তিমি। আকারে ছোটো হওয়ার ফলে দ্রুত জলের মধ্যে নড়াচড়া করতে পারে সে। সেখান থেকে দ্রুত গ্রেট হোয়াইটকে কাবু করা এর কাছে বেশ সহজ। এদের আরও একটি সুবিধা হল এরা একা ঘোরে না, দল বেঁধে জলের নিচে থাকে বলে সেখান থেকে অতি সহজেই গ্রেট হোয়াইটকে কাবু করতে পারছে। 

 


অস্ট্রেলিয়ার বিজ্ঞানীরা মনে করছেন বহুকাল ধরে জলের নিচে নিজের রাজত্ব চালিয়ে এসেছে গ্রেট হোয়াইট শার্ক। একে অতি ক্ষিপ্র একটি প্রাণী বলে সকলে জানেন। তবে হঠাৎ করে তার রাজত্বে এসে থাবা বসিয়েছে অরকাস। দ্রুত গতির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে লড়াই করার ক্ষমতা অনেক বেশি তার কাছে। ফলে সেখান থেকে একে কাবু করা গ্রেট হোয়াইটের পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না। 


গ্রেট হোয়াইট সমুদ্রের নিচে বহু প্রাণীকে সাবাড় করে জলের নিচের ভারসাম্য বজায় রাখে। যদি এরা দ্রুত হারিয়ে যেতে থাকে তাহলে সমুদ্রের নিচের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যাবে। কবে কীভাবে অরকাসকে থামানো যাবে সেটা নিয়ে কোনও পথই খুঁজে পাচ্ছে না কেউ। জলের নিচে এদের গতির কাছে হার মেনেছে গ্রেট হোয়াইটও।