নিজস্ব সংবাদদাতা | | Editor: শ্যামশ্রী সাহা ১২ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৯ : ১৯

পাঁচ বছর ধরে কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবের চেয়ারপার্সন। উৎসব দোরগোড়ায় এলেই রাতের ঘুম উবে যায়। নাওয়াখাওয়ার হিসেব থাকে না। অথচ প্রত্যেক বছরের উদযাপন আগের বছরের উৎসবকে ছাপিয়ে যায়। আর উৎসবের চেয়ারপার্সন রাজ চক্রবর্তী জয়ের হাসি হাসেন। ২৯তম কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের শেষদিনেও চওড়া হাসি হেসেছেন তিনিই। জানিয়েছেন, আমন্ত্রিতরা আয়োজনে মুগ্ধ। দেশ-বিদেশের তারকাদের দাবি, আগামীতে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করবে বাংলার এই সিনেপ্রেম!

এবছর তারকার ঢল নেমেছিল উৎসব প্রাঙ্গনে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান থেকে যার শুরু। এদিন মঞ্চের শোভা বাড়িয়েছিলেন সলমন খান, অনিল কাপুর, শত্রুঘ্ন সিনহা, সোনাক্ষী সিনহা, মহেশ ভাট। কলকাতার তারকারা তো ছিলেনই। দিন গড়িয়েছে, শহরজুড়ে উৎসবের মরশুম। জাতীয়, আন্তর্জাতিক স্তরের তারার মেলা। এসেছিলেন সাবিন দোরোহোই, লিজ লাবাতো, মাইকেল, কিউসিনস্কি প্রমুখ। ‘মাস্টার ক্লাস’ নিতে এসেছিলেন সৌরভ শুক্লা, মনোজ বাজপায়ী। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছেন সুধীর মিশ্র, অনুরাগ কাশ্যপ, অদিতি রাও হায়দরি। রাজ নিজে তো পরিশ্রম করেইছেন। আয়োজক কমিটির দাবি, ‘‘প্রত্যেকে দায়িত্ব নিয়ে আমন্ত্রিত তারকাদের আপ্যায়ন করেছেন। তাঁরা এসেছেন। ঘুরে দেখেছেন সব। তৃপ্ত হয়েছেন। দিনের শেষে এটাই আমাদের তৃপ্তি।’’

এই মুহূর্তে আলোচনায় দেশের দুটো চলচ্চিত্র উৎসব। একটি কেরল চলচ্চিত্র উৎসব। অন্যটি কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসব। সে কথা উৎসবে এসে স্বীকার করেছেন সুধীর মিশ্র, মনোজ, অনুরাগ, অদিতি। ইতিমধ্যেই নাকি অলিখিত প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে গিয়েছে দুই রাজ্যের উৎসবকে ঘিরে। খবর, কেরল উৎসবের বাজেট ৫০ কোটি। বাংলার মাত্র ৫ কোটি! এই বাজেটে কী করে এত সুষ্ঠু আয়োজন সম্ভব? শোনা যাচ্ছে, এমনই প্রশ্ন তুলেছেন খোদ কেরল উৎসবের কর্মকর্তারা। উৎসব প্রাঙ্গন থেকে শোনা গিয়েছে, ৩০তম কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব নাকি আরও চোখধাঁধানো হতে চলেছে।