বুধবার ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

সম্পূর্ণ খবর

লাইফস্টাইল | সন্তান সারাদিন একা থাকে? কীভাবে স্বাবলম্বী হয়ে উঠতে শেখাবেন, জানুন বিশিষ্ট সাইকিয়াট্রিস্টের পরামর্শ

Soma Majumdar | | Editor: শ্যামশ্রী সাহা ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪ ২৩ : ৩০Soma Majumder


সোমা মজুমদার: দিনভর ব্যস্ত মা-বাবা। অফিস-বাড়ি সামলিয়ে সন্তানের সঙ্গে কাটানোর সময় কই! মনখারাপকে সঙ্গী নিয়ে একা একাই বড় হয়ে উঠছে খুদে। ক্রমশ বাড়ছে সম্পর্কে দূরত্ব, শিশুমনের জটিলতা। কীভাবে সন্তানকে একা থাকাতে, সাবলম্বী হয়ে উঠতে শেখাবেন? জানালেন সাইকিয়াট্রিস্ট ডা. দেবাঞ্জন পান। 

সময়ের সঙ্গে বদলেছে পারিবারিক ব্যবস্থা। যৌথ পরিবার ভেঙে ছোট হতে হতে এখন বড়ই ক্ষুদ্র। আজকাল কাজের জগতে ব্যস্ত থাকেন মায়েরাও। দিনভর পরিচারিকার কাছেই যত আবদার! খুদের বড় হয়ে ওঠার সঙ্গী মনখারাপ, একা থাকার বিরক্তি, বাঁধা গতের জীবনে শৈশবকে গ্রাস করছে একঘেয়েমি। হতাশা দানা বাঁধছে শিশুমনে। যার ভয়ঙ্কর পরিণাম থেকে যাচ্ছে পরবর্তী জীবনেও। কিন্তু উপায়ও তো নেই, বর্তমান আর্থিক পরিস্থিতিতে একজনের রোজগারে যে সংসার চালানো মুশকিল। তাই ছোট বয়স থেকেই সন্তানকে একা থাকতে শোখানো জরুরি। তবে শুধু মুখে বলা কিংবা কড়া নির্দেশই নয়, দিনভর বাবা-মায়ের অনুপস্থিতিতে শিশুর কী কী সমস্যা হতে পারে তা জানা যেমন প্রয়োজন, তেমনই সঠিক উপায়ে শৈশব করে তুলতে হবে আনন্দের।।  

কী কী সমস্যা

বাবা-মায়েদের থেকেই সন্তানের প্রথম ‘বিশ্বাস’ করার ক্ষমতা তৈরি হয়। কিন্তু ছোটবেলায় মা-বাবার  সঙ্গে সময় কাটাতে না পারলে মনের উপর প্রভাব পড়ে। যা ভবিষ্যতের উদ্বেগ-উৎকন্ঠার রাস্তা প্রশস্ত করে। বয়:সন্ধিকালে কিংবা পরবর্তী জীবনে পরীক্ষার সময়ে ভয়, ইন্টারভিউয়ে ভীতি, সমাজে মিশতে না পারা কিংবা ব্যক্তিগত জীবনে সমস্যা তৈরি হয়। তাই  সন্তানের কী কী  সমস্যা হচ্ছে তা বোঝা জরুরি। 

প্ল্যানিংয়ের প্রয়োজন

বাস্তব পরিস্থিতিতে কাজ সামলিয়ে সন্তানকে কতটা সময় দিতে পারবেন তা সম্পূর্ণ প্ল্যানিংয়ের উপর নির্ভর করে। কারণ সীমিত সময়ের মধ্যে সন্তানকে ‘কোয়ালিটি টাইম’ দেওয়া জরুরি।  আর সেই ‘কোয়ালিটি টাইম’-এর মধ্যেও ব্যস্ত হয়ে পড়লে চলবে না।  

আজকাল অফিসের পরও যেন শেষ হয় না অফিস! সারক্ষণ টার্গেট, টার্গেট আর টার্গেট। তাই অফিস থেকে ফিরে সোফায় খানিকটা আরাম করে বসতে না বসতেই ফের ল্যাপটপে মুখ গুঁজে বসে পড়েন অনেকে। এদিকে কর্মক্ষেত্রের চাপ সামলাতে গিয়ে বাড়ির খুদে সদস্যের সঙ্গে ক্রমশ বাড়ছে দূরত্ব। যার ব্যবধান বেশি হলে পূরণ হওয়া মুশকিল।  কিন্তু কাজকে গুরত্ব দিয়ে বাড়িতে এসেও বাচ্চার সঙ্গে সময় না কাটালে সন্তানের সঙ্গে বাবা-মায়ের গড়ে ওঠা সম্পর্কে অনেকটাই প্রভাব পড়বে। 

সমাধান কী

মা-বাবার কাজে বাইরে যাওয়াটা যে সন্তানের সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যের জন্য জরুরি, তা প্রথম থেকেই শিশুকে বোঝাতে হবে। বাবা-মায়ের থেকেই সন্তানেরা মূল্যবোধ শেখে। তাই যতটুকু সময় পাবেন, শিশুকে ভাল-খারাপের পার্থক্য বোঝানোর চেষ্টা করুন।


অফিস থেকে ফিরে কাজ নিয়ে বসলে চলবে না৷ সারা দিনে মিনিট দশেক হলেও সন্তানের সঙ্গে খেলুন, গল্প করুন। সেটুকুই ওর মনের খোরাক। সন্তানের সঙ্গে যেটুকু সময় কাটাচ্ছেন তা যেন একান্তই শিশুর জন্য থাকে৷ কোয়ালিটি টাইমের সঙ্গে আপোষ নয়। সেই সময়ে মোবাইল, সোশ্যাল মিডিয়াকেও দূরে রাখুন। 

শিশুমনে কৌতূহলের শেষ নেই। আর সেই কৌতূহল মেটানোর প্রাথমিক দায়িত্ব থাকে বাবা-মায়ের৷ কিন্তু বড়রা অনেক সময়ে শিশুদের প্রশ্নকে গুরুত্ব দেন না। যা খুদের মনের উপর প্রভাব ফেলে। তাই সন্তানের প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করুন। কোনওভাবে শিশু যেন নিজেকে অবহেলিত মনে না করে। 

সন্তানকে যে সময়টা দিতে পারছেন না, তা পরোক্ষভাবে তাকে সাবলম্বী করতে সাহায্য করছে, এই বিষয়টি প্রথম থেকেই শিশুকে বোঝাতে হবে। প্রাথমিকভাবে শিশুর একা কোনও বড় কাজ করতে অসুবিধা হতে পারে। সেক্ষেত্রে ছোট ছোট ভাগে ভাগ করে কাজ করা শেখাতে হবে। এতে বাড়বে আত্মবিশ্বাসও। 

বাবা-মায়ের অনুপস্থিতিতে সন্তান যেন উশৃঙ্খল হয়ে না পড়ে! পরিচারক-পরিচারিকার কাছে শৃঙ্খলাবদ্ধ থাকে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। 

বাড়ি ফিরে শিশুর সারাদিনের খবর নিন, সঙ্গে নিজের গল্পও বলুন। এর ফলে একা থাকাকালীন শিশুর কোনও কারণে ভয়, আতঙ্ক, উদ্বেগ তৈরি হলে তা প্রথমেই প্রকাশ করতে পারবে। 

একা থাকার সময়ে শিশুর হাতের কাছে ইলেকট্রিসিটি, ফায়ার ব্রিগেড, আপৎকালীন চিকিৎসার জন্য জরুরি নম্বর রেখে দিন। 

নিজে সময় দিতে পারছেন না বলে সন্তানকে প্রয়োজনের বেশি খেলনা কিংবা উপহার দেবেন না। অল্পেতেই আনন্দ খুঁজতে শেখান। বরং শিশুকে যে কোনও সৃজনশীল কাজে যুক্ত রাখুন৷ 

আজকাল খুদে বয়স থেকেই হাতের নাগালে মোবাইল। ইন্টারনেট, সোশ্যাল মিডিয়ার হাতছানি যেন শিশুমনকে প্রভাবিত না করে সেদিকে খেয়াল রাখুন। মোবাইলের জন্য সময় বেঁধে দিন। বাড়িতে সিসিটিভি রেখে বাইরে থেকে বাবা-মায়েরা নজরদারি চালাতে পারবেন। 

গুড টাচ-ব্যাড টাচ

শৈশব থেকে ‘গুড টাচ ব্যাড টাচ’-এর বিষয়ে শেখান। ৪-৫ বছর বয়সেই শিশুকে প্রতিটি শারীরিক অঙ্গ চিহ্নিতকরণ এবং নামকরণ শেখানো জরুরি। কোনও স্পর্শে অস্বস্তি হলে দ্রুত মা-বাবাকে জানানোর বিষয়ে সন্তানকে বোঝাতে হবে।  অনুমতি ছাড়া যেন কেউ আদর না করে, শিশুর মধ্যে সেই বোধ তৈরি করা জরুরি। বাবা-মাকেও সন্তানের সমস্যা গুরুত্ব সহকারে শুনতে হবে।


#ParentingTips#Parenting#Howtolearnyourchildtoselfdependent



বিশেষ খবর

নানান খবর

নানান খবর

সোলো ট্রিপ প্ল্যান করছেন? নির্ভাবনায় ঘুরতে মেনে চলুন সহজ ৫ টিপস...

ঋণে জর্জরিত? হাতে টাকা আসলেই বেরিয়ে যায়? ৫ নিয়ম মানলেই মাসের শেষেও পকেট থাকবে ভারী...

গ্যাসের দামে মাথায় হাত? ঘরোয়া টোটকা মেনে চললেই বাড়বে সিলিন্ডারের আয়ু...

বয়স অনুযায়ী ব্লাড সুগার কত হলে আপনি ফিট? জানুন ডায়াবেটিসের বিপদ এড়াতে কখন সতর্ক হওয়া জরুরি...

বাঙালির নিত্যসঙ্গী গ্যাস-অম্বল! হজমশক্তি বাড়াতে রোজের অভ্যাসে কী কী বদল আনতে পারেন? ...

মরশুম বদলে সর্দি-কাশিতে ভুগছেন? রোজ রাতে দুধে মিশিয়ে খান একটি মাত্র জিনিস, রাতারাতি দেখুন ম্যাজিক...

কর্মব্যস্ততায় নিজের জন্য সময় নেই? সারাদিনে মাত্র ১০ মিনিট এইভাবে যত্ন নিলেই থাকবে ত্বকের জেল্লা...

অল্প গরম পড়তেই শরীরে দুর্গন্ধ? খাদ্যাভ্যাসে বদল আনলেই কমবে সমস্যা ...

চটজলদি ওজন কমাতে চান? ভাত-রুটির বদলে ডিনারে খান ৫ সুস্বাদু পদ...

রাতে আর এপাশ-ওপাশ নয়, শুলেই আসবে ঘুম! মাত্র দুটি কৌশলে চিরতরে কাটবে অনিদ্রার সমস্যা...

নতুন রঙেই কাটুক না বসন্তপঞ্চমী! সরস্বতী পুজোর থিমে হোক রংবদল, হদিশ দিলেন রূপসা, গীতশ্রী, অনামিকা, পায়েল...

শরীরে বাসা বেঁধেছে কোন রোগ? বলে দেবে জিভের রং! বিপদ আসার আগে বুঝুন ৫ লক্ষণ...

কিছুতেই আত্মীয়ের নাম মনে করতে পারছেন না? অ্যালঝাইমার্সের লক্ষণ নয়তো? কী দেখে সতর্ক হবেন?...

হাজার যত্নেও অকালে উঁকি দিচ্ছে টাক? রোজের এই সব অভ্যাসই চুল পড়ার জন্য দায়ী নয় তো!...

কথায় কথায় মিথ্যে বলেন কোন রাশির মানুষেরা? উত্তর জানলে আর ঠকবেন না ...



সোশ্যাল মিডিয়া



12 24