শনিবার ০৫ এপ্রিল ২০২৫
সম্পূর্ণ খবর
Pallabi Ghosh | ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৬ : ০৩Pallabi Ghosh
আজকাল ওয়েবডেস্ক: প্রায় ৩০০ বছর আগে মুর্শিদাবাদের কাঞ্চনতলা জমিদার বাড়িতে শুরু হওয়া ২২ পুতুলের দুর্গাপুজো আজও মুর্শিদাবাদের দুর্গাপুজোর মানচিত্রে অন্যতম আকর্ষণ। প্রায় ৩০০ বছর আগে ঢাকার বিক্রমপুরের মারুচি গ্রামে 'বসু' পরিবারে এই পুজোর সূচনা করেছিলেন রাঘবেন্দ্র রায়। পরবর্তীকালে এই পুজো স্থানান্তরিত হয় মুর্শিদাবাদের কাঞ্চনতলা গ্রামে।
বসু পরিবারের ইতিহাস ঘাঁটলে জানা যায় -তাদের পরিবারের সদস্যরা ঢাকার নবাবের দেওয়ান হিসেবে কাজ করতেন। নিজেদের ভাল কাজের জন্য নবাবের কাছ থেকে 'বসু' পরিবার পেয়েছিল 'রায়' উপাধি। তবে ঢাকা থেকে মুর্শিদাবাদ জেলাতে নবাবী স্থানান্তরিত হওয়ার পর নবাবের দেওয়ানরাও মুর্শিদাবাদে চলে আসেন। তৎকালীন মালদা-মুর্শিদাবাদ এবং রাজশাহী জেলার সংযোগস্থলে অবস্থিত দাওনাপুর নামে একটি স্থানে নিজেদের বাড়ি তৈরি করেন।
সেই সময়ে বাণিজ্যের জন্য গঙ্গার উপর দিয়ে যে সমস্ত নৌকা যেত তাদের থেকে খাজনা আদায় করা এবং নিরাপত্তা প্রদান করে সেই টাকা বাংলার নবাবকে নাজরানা হিসেবে জমা দিয়ে জমিদারি পেয়েছিল এই পরিবার।
তবে প্রত্যেক বছর বন্যার সময় দেওনাপুরের বিস্তীর্ণ অংশ প্লাবিত হওয়ায় পরিবারের সদস্যরা অন্যত্র নিরাপদ স্থানে তাঁদের জমিদার বাড়ি নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। সেই সময়ে নৌকা করে উঁচু জায়গা খুঁজতে গিয়ে তাঁরা কাঞ্চনতলার খোঁজ পান। জমিদার পরিবারের সদস্যরা যখন এলাকাটি দেখেন সেই সময়ে গোটা গ্রাম কাঞ্চন ফুলে ভরেছিল। সেই থেকে তাঁরা গ্রামের নামকরণ করেন কাঞ্চনতলা এবং সেখানেই নতুন জমিদার বাড়ি তৈরি করেন।
জমিদার পরিবারের দুই সদস্য জগবন্ধু রায় এবং ভগবতী রায়, নীল বিদ্রোহের পর ব্রিটিশরা দেশ ছেড়ে চলে যেতে শুরু করলে তাদের কাছ থেকে সাতটি নীল কুঠি কিনে নেন এবং জমিদারি আরও বৃদ্ধি করেন। যদিও ব্রিটিশরা এই পরিবারকে কখনই 'জমিদার' হিসেবে স্বীকার করতে রাজি ছিল না। সাঁওতাল বিদ্রোহের সময়ে বর্তমান ঝাড়খণ্ডের পাকুড়কে রক্ষা করে 'রায়' পরিবারের প্রতিপত্তি আরও বাড়ে। পরিবারের ইতিহাস বলে- ব্রিটিশদের সাথে এই জমিদার পরিবারের অহিনুকুল সম্পর্ক থাকলেও পরে দিল্লির দরবার থেকে তাঁরা নিজেদের 'জমিদারি' খেতাব ফিরে পেয়েছিলেন।
জমিদার পরিবারের বর্তমান সদস্য সুদীপ রায় বলেন, 'প্রায় ৩০০ বছর ধরে আমাদের পরিবারের দুর্গাপুজো হয়ে আসছে। পরিবারের সদস্যরা দেশ বিদেশে যেখানেই থাকুক না কেন পুজোর দিনগুলোতে তারা মুর্শিদাবাদের কাঞ্চনতলার বাড়িতে অবশ্যই উপস্থিত হবেন।'
তিনি বলেন, 'শাক্ত মতে জমিদার বাড়িতে আজও দেবী দুর্গাকে পুজো করা হয়। আমরা দেবীপুরান মতে মা দুর্গার আরাধনা করি। এখানে দুর্গা প্রতিমার সাথে মোট ২২ জন বিভিন্ন দেবদেবী থাকেন। সেই কারণে অনেকের কাছে এই পুজো ২২ পুতুলের পুজো নামে পরিচিত।'
জমিদার বাড়ির এই পুজোতে দুর্গা মূর্তির সবথেকে উপরে দেখতে পাওয়া যায়, মকরবাহিনী গঙ্গা দেবীকে। তাঁর সাথে মহাদেব নিজের দুই সহচর নন্দী এবং ভৃঙ্গীকে নিয়ে উপস্থিত থাকেন। এছাড়াও দেবীর অকালবোধনকে স্মরণ করে মূর্তির সাথেই থাকেন রাম-লক্ষণ। দেবী মূর্তির পাশে দেখতে পাওয়া যায় মা তারা, নরসিংহ, জয়া বিজয়া সহ আরও একাধিক দেব-দেবীকে।
সুদীপবাবু বলেন, 'শাক্ত মতে অনুষ্ঠিত আমাদের পুজোতে সপ্তমী, সন্ধিপুজো এবং নবমীতে পাঁঠা বলিদান প্রথা আজও চালু রয়েছে। পুজোর দিনগুলোতে আমরা দেবীর উদ্দেশ্যে অন্ন ভোগ দিই না। তার পরিবর্তে মা দুর্গাকে ফল এবং অন্যান্য জিনিস ভোগ হিসেবে নিবেদন করা হয়। প্রাচীন প্রথা মেনে আজও শতবর্ষ প্রাচীন কাঠামোতে দেবী নির্মাণ হয় বাড়ির ঠাকুর দালানেই।'
তবে কাঞ্চনতলা জমিদার বাড়ির দুর্গা পুজোর অনন্য বৈশিষ্ট্য এখানে মন্ত্র ও স্তোত্র পাঠের মধ্যে দিয়ে পুজো শুরু হয় দুর্গাপুজোর আগের নবমী থেকে (এবছর এই পুজো আগামী মঙ্গলবার থেকে শুরু হবে)। তবে প্রতিমাকে বেদীতে বসানো হয় পঞ্চমী অথবা ষষ্ঠীর দিন কোনও এক শুভ মুহূর্তে। জমিদার পরিবারের এই পুজোতে প্রজাদের জন্য সর্বদাই থাকত অবারিত দ্বার। জগদ্ধাত্রী পুজোর সময় 'রাজা-প্রজা' একসাথে বসেই প্রসাদ খেতেন। তবে এখন আশেপাশের গ্রামে দুর্গা পুজোর সংখ্যা বেড়ে যাওয়াতে জমিদার বাড়ির পুজোতে সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণের সংখ্যা অনেক কমে গেছে।
সুদীপবাব আরও বলেন, 'বহু বছরের রীতি মেনে দশমীর দিন আজও বেহারাদের কাঁধে চাপিয়েই দেবী প্রতিমাকে গঙ্গা নদীতে বিসর্জনের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়।'
নানান খবর
নানান খবর

অন্ডকোষে যন্ত্রণা? বাংলায় বাড়ছে লিম্ফ্যাটিক ফাইলেরিয়াসিস, মূল দোষী স্ত্রী কিউলেক্স মশা

শুভেন্দুর জেলায় বিজেপি পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েতের দখল নিল তৃণমূল

রামনবমীর আগে বিরাট সম্প্রীতি মিছিলের সাক্ষী জঙ্গিপুর, একসঙ্গে চলার বার্তা জাকির হোসেনের

ভারতসেরা বাংলা! উৎপাদনক্ষমতায় দেশের সেরা রাজ্যের দুই বিদ্যুৎকেন্দ্র

ভারতীয় ন্যায় সংহিতা আইনে রাজ্যে প্রথম খুনের মামলায় সাজা, তিনজনের আমৃত্যু কারাদণ্ড

মা-বাবার ঘরে চুপিসারে ক্যামেরা লাগাল ছেলে! কী ধরা পড়ল ফুটেজে, হাড়হিম হয়ে যাবে

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে হারিয়েছেন চাকরি, তবু মানে না মন, ক্লাস নিতে কলকাতা থেকে হুগলিতে হাজির শিক্ষক

ছবি তোলার জন্য অজগরের লেজ ধরে টানাটানি! বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের ঘটনায় ক্ষোভে ফুঁসছেন পরিবেশপ্রেমীরা

ভুয়ো সিম কার্ড চালু করে অসৎ উদ্দেশ্যে বিক্রি, গাইঘাটা পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার দুই যুবক

বেহাল তারাপুরের বিড়ি শ্রমিকদের হাসপাতাল, ভিন্ন ভিন্ন তথ্য দিচ্ছে কেন্দ্র, অভিযোগ তৃণমূল সাংসদের

দেওরের পুরুষাঙ্গে কোপ মেরে স্বামীকে নিয়ে চম্পট বৌদির

এপ্রিলেই বঙ্গোপসাগরে দু'টি নিম্নচাপ, একটি পরিণত হতে পারে দানবীয় ঘূর্ণিঝড়ে, এল আবহাওয়ার মেগা আপডেট

দাউদাউ করে জ্বলছে চাপড়ামারি জঙ্গল, বিপর্যস্ত বন্যপ্রাণ, উদ্বেগ বাড়ছে স্থানীয়দের মধ্যে

ইঁদুর মারতে সেমাইয়ের সঙ্গে মেশানো হয়েছিল বিষ, খেয়ে ফেলল বাড়ির শিশুরা, ভয়াবহ পরিণতি

ভয়াবহ আগুনে পুড়ে ছাই ১৫টি ঘর, ঝলসে গেল গবাদি পশু-মজুত টাকা, গ্রাম জুড়ে হাহাকার

এবার সিকিম যাওয়া হবে আরো সহজ! পাহাড়ে যাতায়াতে সিকিম ও বাংলার যৌথ উদ্যোগ, জেনে নিন

একই ভুলে হাত হারালেন একই বাসের দুইযাত্রী, নদিয়াতে হাড়হিম করা দুর্ঘটনা