Reporter: নিজস্ব সংবাদদাতা | লেখক: Rahul Majumder | Editor: শ্যামশ্রী সাহা ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১০ : ৪১Rahul Majumder

সংবাদ সংস্থা মুম্বই: বরাবরই নিজস্ব ছন্দে চলেন পরিচালক রোহিত শেঠি। সে ছবি তৈরির ক্ষেত্রেই হোক অথবা সময়ে সময়ে নিজের মতামত পেশ করার ব্যাপারে। সদ্য যেমন এক সাক্ষাৎকারে সোজাসাপ্টা, নির্মেদ, কাটা কাটা ভাষায় বলিউডের নয়া প্রজন্মের অভিনেতা-অভিনেত্রীদের তুলোধনা করলেন তিনি। সোজাসুজি বলেই দিলেন, "ওঁরা সবাই সাংঘাতিক নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন!"

 রোহিতের কথায়, " নয়া প্রজন্মের তারকা, অভিনেতারা কী পরিমাণ নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন তা না দেখলে বিশ্বাস শক্ত। কেন ভোগেন? এই সমাজমাধ্যমের জন্য...রিলস্ তৈরি করছে...এই করছে, সেই করছে। মানেজার নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন, বারফট্টাই করছেন। অজয় দেবগণ, সলমন খানদের কেউ কোনওদিনও শুনেছেন নিজেদের ছবির সাফল্যর কথা তাঁরা বলে বেড়াচ্ছেন? অজয়ের 'দৃশ্যম'-এর মারাত্মক সাফল্য নিয়ে একটা কথা খরচ করেছে কোনওদিন? করবেও না, কারণ ছবির সাফল্য অথবা ব্যর্থতায় কিছু যায় আসে না অজয় দেবগণের। নিজেকে নিয়ে এতটাই কনফিডেন্ট ও। কোনও বাড়তি কথা নয়, পরের ছবিগুলো কীভাবে আরও ভাল করা যায় বরং তাতে সময় খরচ করবে অজয়"।

"আর আজকালকার অভিনেতা-অভিনেত্রীরা? ও বাবা! ওঁদের ম্যানেজাররা এক কাঠি বেশি সরেস। পরিচালকদের মাথা খারাপ করে দেয়। নিজেদের সীমানা ছাড়িয়ে যায়। আরে, অভিনেতার ম্যানেজারের কাজ হল শুটিংয়ে তাঁর মক্কেলের খাওয়াদাওয়ার খোঁজ রাখা, সমাজমাধ্যমের অ্যাকাউন্টের উপর নজর রাখা... পরিচালক প্রযোজকদের ওপর খবরদারি করা নয়। আর এই প্রজন্মের তারকারাও তেমনি! একজন কেউ কিছু চেয়ে বসল তো অন্যজন তাঁর থেকে বেশি কিছু দাবি করবে! মাল্টাস্টারার ছবিতে কাজ করবে না, ইত্যাদি ইত্যাদি। আর এদের মধ্যে কারও যদি কোন ছবি একবার জনপ্রিয় হয়ে যায় তাহলে সে তো পুরো বাওয়াল দিয়ে দেয়। নিজেকে বাঘ মনে করা শুরু করে দেয়!"

এসব কেন করেন তাঁরা? জনমানসে নিজেদের ' তারকাসুলভ ইমেজ'-এর জন্য? চাঁচাছোলা ভাষায় 'সিংহম' ছবির পরিচালকের উত্তর, " এসব ওরা করে কারণ তারা প্রত্যেকে সাংঘাতিক নিরাপত্তাহীনতায় ভোগে। আর কিসের ইমেজ? সমাজমাধ্যমে যা করে তাতে কোনও তারকাসুলভ ইমেজ আছে নাকি এদের? প্রত্যেকে একই রেস্তরাঁ থেকে বেরোচ্ছে, একই জায়গায় সবাই ছুটি কাটাতে যাচ্ছে...ধুর! কীসের ইমেজ?"