শুক্রবার ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪
সম্পূর্ণ খবর
Sampurna Chakraborty | ২০ নভেম্বর ২০২৩ ১৭ : ৩৯Sampurna Chakraborty
সম্পূর্ণা চক্রবর্তী: ২৪ ঘণ্টায় বদলে গিয়েছে আহমেদাবাদের চিত্র। রবিবার দুপুরে যে শহরে জনসমুদ্র, ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে সেই একই শহরকে চেনা দায়। কে বলবে একদিন আগে এই শহরে মহাযজ্ঞ বসেছিল। মোতেরার বাইরে দাঁড়িয়ে খুবই হতাশ লাগল। শুনশান রাস্তা। কারোর কোনও ভ্রুক্ষেপ নেই। রবি দুপুরে থিকথিক করছিল ভিড়। দাঁড়ানোর জায়গা পর্যন্ত ছিল না। জনপ্লাবন নেমেছিল। একদিন যেতে না যেতেই আবার স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় ফিরেছে আহমেদাবাদ। স্টেডিয়ামের বাইরে পুরো শ্মশানপুরি। বিশাল জায়গা নিয়ে দাঁড়িয়ে বিশ্বের বৃহত্তম ক্রিকেট স্টেডিয়াম। কেউ ফিরেও দেখছে না। অথচ মাত্র কয়েকঘন্টা আগেই ভারতের সবচেয়ে ব্যস্ততম এবং মহার্ঘ্য স্পট ছিল এটাই। নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামকে পেছনে রেখে হাজার হাজার সেলফি উঠেছে। কিন্তু আজ সেই স্টেডিয়াম ব্রাত্য। গতকালের ছবির সঙ্গে আজকের চিত্র বড়ই বেমানান। ভারতের বিশ্বকাপ হাতছাড়া হওয়ায় যেন কাঁদছে পুরো শহর। রোহিতদের বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হতে দেখার পাশাপাশি আহমেদাবাদের কয়েকটা দ্রষ্টব্য স্থান দেখার পরিকল্পনা নিয়েই বিভিন্ন শহর থেকে জমায়েত হয়েছিল ক্রিকেট ভক্তরা। অনেকেই আবার দিল্লি, ইন্দোর থেকে সড়কপথে এসেছিল খেলা দেখতে। তাঁদের অনেকেই এদিনই বাড়ির উদ্দেশে রওনা দিয়েছে। অনেকেই আবার ঘুরে দেখছে শহর। দক্ষিণ ২৪ পরগনা থেকে আসা একটি পরিবার হারের হতাশা কাটাতে গান্ধী আশ্রম ঘুরতে বেরিয়ে পড়েছে। সবরমতীর ধারে দাঁড়িয়ে রোহিতদের হারের আফশোস করছিল তাঁরা।
আহমেদাবাদের আরও কয়েকটি দ্রষ্টব্য স্থানে ভিড় চোখে পড়ল। তারমধ্যে সবচেয়ে বেশি রুদাবাই স্টেপওয়েল আদালাজে। যেখানে ফাইনালের আগেরদিন ট্রফি নিয়ে রোহিত শর্মা, প্যাট কামিন্সরা ফটোশুট করেছিল। সেই একই স্থানে দাঁড়িয়ে ফটো তোলার হিড়িক পড়ে গিয়েছে। যেই সিড়িতে বসে ট্রফি নিয়ে ছবি তুলেছিলেন দুই অধিনায়ক, সেখানে ফটোসেশনের জন্য লাইন পড়ে গিয়েছে। সবার মুখেই সেই ফটোশুটের কথা।