Reporter: নিজস্ব সংবাদদাতা | লেখক: Rahul Majumder | Editor: Syamasri Saha ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৪ : ১১Rahul Majumder

সংবাদ সংস্থা মুম্বই: প্রায় ছয় বছর সম্পর্কে ছিলেন ক্যাটরিনা কইফ এবং সলমন খান। ২০০৫ সালে ‘ম্যায়নে প্যায়ার কিঁউ কিয়া’ ছবির শুটিংয়ের আগে থেকেই জমিয়ে প্রেমপর্ব শুরু হয়েছিল তাঁদের। পর্দার পাশাপাশি বাস্তবেও জুটি হিসাবে সলমন-ক্যাটকে দেখতে চেয়েছিলেন তাঁদের অনুরাগীরা। চেয়েছিলেন খোদ আমির খানও। তা সত্যি করতে আপ্রাণ চেষ্টাও করেছিলেন তিনি। এতটাই দারুণ রসায়ন ছিল তাঁদের। শোনা যায়, বিয়ের কথা পর্যন্ত নাকি গড়িয়েওছিল সেই সম্পর্ক। ‘ক্যাট’কে জীবনসঙ্গিনী হিসাবে ভীষণভাবে চেয়েওছিলেন নাকি সলমন। তবে সবাইকে চমকে দিয়ে আচমকা বিচ্ছেদ হয়ে যায় এই দু’জনের।

সেটা ২০১৩ সাল। রণবীর কাপুরের সঙ্গে ইতিউতি জায়গায় দেখা যাচ্ছে ক্যাটরিনা কইফকে। বলিউডের বাতাসে উড়ছে তাঁদের প্রেমের গুঞ্জন। এর মাঝেই ‘ধুম ৩’ ছবির প্রচারমূলক এক সাংবাদিক সম্মেলনে বসা আমির বলেন যে তিনি বহু চেষ্টা করেছেন সলমনের বিয়ের জন্য। অনেক অনুরোধ করেছেন ‘ভাইজান’কে। কিন্তু ‘টাইগার’ শুনছে না সে কথা। পাশে বসা ক্যাটরিনা তখন চুপ। এরপর এক সাংবাদিক ক্যাটরিনাকে জিজ্ঞেস করে বসেন, সলমনের বিয়ে না করা নিয়ে তাঁর কী মন্তব্য? সেকথা শুনে স্পষ্টতই অস্বস্তি শুরু হয়ে যায় অভিনেত্রীর। একপেশে হেসে কোনওরকমে জানান, তাঁর এ বিষয়ে কোনও বক্তব্য নেই। আমতা আমতা করে বলে ওঠেন, “আমি সত্যিই জানি না কী নবলব এ বিষয়ে...কিছু বলতে পারলে ভাল হত কিন্তু এ প্রশ্নের কোনও জবাব নেই আমার কাছে”। পাশ থেকে আমির আবেগঘন গলায় ক্যাটরিনাকে জিজ্ঞেস করে বসেন, “আদৌ কখনও সলমনকে জিজ্ঞেস করেছ ও বিয়ে করতে চায় কি না?” দৃশ্যতই লজ্জায় আরও কুঁকড়ে যান ‘ক্যাট’।  অভিনেত্রী জবাবে জানান, “আমি বাকরুদ্ধ। এ বিষয়ে কিচ্ছুটি বলার নেই আমার!”

এরপর আমির সর্বসমক্ষে ওই প্রথম ও শেষবার খানিক ধরা গলায় জানান তিনি নিজেও বাস্তবে চেয়েছেন, আজও চান সলমন-ক্যাটরিনাকে স্বামী-স্ত্রী হিসাবে দেখতে- “পর্দার মত বাস্তবেও ওঁদের একসঙ্গে দেখতে চাই। একসঙ্গে থাকছে এটা দেখতে চাই”।  পাশে বসা ক্যাটরিনা তখন চুপ। প্রশ্ন ওঠে আমিরের মতো ক্যাটরিনাও কি তাই চান? সেদিন এই প্রশ্নেরও কোনও জবাব দিতে পারেননি বলি-অভিনেত্রী।

প্রসঙ্গত, ২০১২ সালে মুক্তি পাওয়া ‘এক থা টাইগার’ ছবিতে জুটি বেঁধেছিলেন সলমন-ক্যাটরিনা। টাইগার-জোয়া জুটিকে পছন্দ করেছিলেন দর্শক। কিন্তু পর্দার রসায়নের নেপথ্যে শুটিংয়ের সময়ে দু’জনের মধ্যে ছিল একরাশ অস্বস্তি ও টানাপড়েন। কারণ ছবির শুটিং শুরুর আগেই ২০১০ সাল নাগাদ ভেঙে যায় সম্পর্ক। ঘটনাটি প্রকশ্যে এনেছেন ছবির পরিচালক কবীর। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এই ছবির অভিনেতা নির্বাচন প্রসঙ্গে কবীর বলেছেন, ‘‘তখন ওঁদের বিচ্ছেদ হয়েছে এবং একে অপরের সঙ্গে ওঁরা খুব বেশি স্বচ্ছন্দ ছিলেন না।’’