Reporter: নিজস্ব সংবাদদাতা | লেখক: Rahul Majumder | Editor: শ্যামশ্রী সাহা ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২২ : ৪৭Rahul Majumder

সংবাদ সংস্থা মুম্বই: তাঁর নামের সঙ্গে হাজার বিতর্কের। তাঁর নামের সঙ্গে জুড়ে একাধিক মামলা। তাঁর নামের সঙ্গে জুড়ে বলিউডের বহু বক্স অফিসের রেকর্ড ভাঙা সুপারহিট ছবির নাম। আবার তাঁকে নিয়ে জড়িয়ে বহু মানবদরদী গল্পের অবিশ্বাস্য মিথ। তিনি, সলমন খান।

বলা হয় বলিউডের 'গোল্ডেন হার্ট'-এর অধিকারী যদি কেউ থেকে থাকে, তাহলে তা বহু বছর ধরে গচ্ছিত রয়েছে সলমন খানের কাছে। চেনা-অচেনা, স্বল্প পরিচিত কোনও মানুষ যদি বিপদে পড়ে এবং সেকথা যদি তাঁর কানে আসে সব ভুলে তাঁর দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন এই বলি-তারকা। অর্থের পরিমাণটা সেখানে কোনও আলোচ্য বিষয়ই নয়। এবং নিজের এই বিপুল জনসেবার কথা তিনি সর্বদা আড়াল করে রাখেন। সমাজমাধ্যম কিংবা সংবাদমাধ্যমের নজর থেকে বহুদূরে আড়াল থেকে প্রতিনিয়ত তিনি মানুষের উপকার করে চলেন। সম্প্রতি, এক সম্পূর্ণ অপরিচিত বিমানসেবিকার জন্য তিনি যা করেছেন তা শুনে বিস্ময়ে চোখ কপালে উঠে যেতে পারে আপনারও।

বিমানে করে দুবাই যাচ্ছিলেন সলমন। অনেকক্ষণ ধরে তাঁকে নজরে রাখছিলেন সেই বিমানের এক বিমানসেবিকা। 'ওয়ান্টেড' নায়ক ফাঁকা হতেই একেবারে তাঁর সামনে গিয়ে হাজির‌ যান। খানিক অবাক হয়ে সলমন তাকান তাঁর দিকে। বলি-তারকার নজর এড়ায়নি ওই বিমানসেবিকার চোখেমুখর ত্রস্ত ভাব। এরপর কোনও ভূমিকা না করে আবেগপ্রবণ গলায় সলমনকে ওই মহিলা জানান যে তিনি ভারি বিপদে পড়েছেন। তাঁর অর্থনৈতিক অবস্থা খুব ভাল নয়। সলমনকে দেখে তাঁর মনে হয়েছে তাঁর কাছে একটি সাহায্যের চাইলে তিনি করতে পারেন, তাই সুযোগ পেয়েই ছুটে এসেছেন।‌

'টাইগার' ওই বিমানসেবিকাকে আশ্বাস দিয়ে বলেন," ভয় পাবেন না, উত্তেজিত হবেন না। ধীরে ধীরে বলুন। আমি শুনছি

আপনার কথা। কোনও ভয় নেই, যতটা পারব আমার সাধ্য মতো আপনাকে সাহায্য করব"। এরপর ওই মহিলা সলমনকে জানান তাঁর মা অত্যন্ত অসুস্থ। যেকোনও মুহূর্তে হয়ত কোনও দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। ডাক্তাররা জানিয়েছেন অস্ত্রোপচার করতে হবে কিন্তু তা অত্যন্ত ব্যয়বহুল। খরচ প্রায় ২ কোটি টাকা। কিন্তু এত টাকা তাঁর কাছে নেই অথচ মায়ের চিকিৎসা অবিলম্বে করানো প্রয়োজন। শোনামাত্রই ওই বিমানসেবিকার মায়ের বাড়ির ঠিকানা ও নম্বর নেন সলমন। নিজের লোকজনদের নির্দেশ দেন, তাঁর ব্যক্তিগত হাসপাতালে যেন সত্বর ওই প্রৌঢ়াকে ভর্তি করানোর ব্যবস্থা করা হয় ও ডাক্তারদের সঙ্গে আলোচনা করে সেই অস্ত্রোপচার করা হয় যত দ্রুত সম্ভব। 

সামনে দাঁড়িয়ে থাকা সেই বিমানসেবিকাকে 'ভাইজান' জানান, তিনি যেন আর এই বিষয়ে চিন্তা না করেন। কারণ তাঁর মায়ের চিকিৎসার সমস্ত দায়িত্ব এখন সলমনের। চিকিৎসার সমস্ত ব্যয়ভার বহন করবেন বলি-তারকা। ওই বিমানকর্মীকে আশ্বাস দেন ঠিক হয়ে যাবে তাঁর মা। 

শোনা যায়, গোটা বিষয়টি ঘুরতে লেগেছিল ঠিক কয়েক মুহূর্ত। সাহায্যপ্রার্থী ওই বিমান ছবি কার নিজের কানে ও চোখেও বিশ্বাস হচ্ছিল না যা তাঁর সঙ্গে হল। মাত্র একটিবার সাহায্যপ্রার্থনা করাতেই সলমন যে এভাবে এগিয়ে আসবেন তা ছিল তাঁর কল্পনাতীত। আনন্দে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। এরপর তাঁকে শান্ত করেন খোদ সলমন। বারবার আশ্বাস দেন, ঠিক সময়ে অস্ত্রোপচারও হবে তাঁর মায়ের এবং দ্রুত ঠিক হয়ে যাবেন তিনি। আর গোটা বিষয়টি যেন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয় তার দিকে নজর থাকবে খোদ সলমনের।