Reporter: নিজস্ব সংবাদদাতা | লেখক: Rahul Majumder | Editor: শ্যামশ্রী সাহা ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৪ : ০৩Rahul Majumder

সংবাদ সংস্থা মুম্বই: ২৩ বছর পর ফের বড়পর্দায় মুক্তি পেল 'রেহনা হ্যায় তেরি দিল মেঁ'। আর মাধবন, দিয়া মির্জা এবং সইফ আলি খান অভিনীত এই ছবি প্রথমবার বড়পর্দায় এসেছিল ২০০১ সালে। বক্সে অফিসে সশব্দে মুখ থুবড়ে পড়ে এই ছবি। কিন্তু বছর দুই তিনেক পর থেকে ধীরে ধীরে উত্তোরত্তর বাড়তে থাকে এই ছবির জনপ্রিয়তা। এবং এতটাই বেড়ে যায় যে ছবির অভিনেতা-অভিনেত্রীদের অভিনত চরিত্রের পাশাপাশি এর প্রতিটি গান, আবহ সঙ্গীত সবকিছু আজও হিন্দি ছবিপ্রেমী দর্শকের মুখে মুখে ফেরে। 

সম্প্রতি এই ছবির দ্বিতীয়বার মুক্তির প্রসঙ্গে ইনস্টাগ্রামে একটি চ্যাট সেশনে মুখোমুখি হয়েছিলেন মাধবন ও দিয়া। সেখানে তাঁরা জানান, এই ছবির বক্স সাফল্য নিয়ে তাঁরা একেবারে নিশ্চিত ছিলেন তাই যখন বক্স অফিসে তা মুখ থুবড়ে পড়েছিল ভীষণ দুঃখ পেয়েছিলেন তাঁরা। দিয়া বলেন, " এই ছবির শুটিং রীতিমতো দৌড়োদৌড়ি করে শেষ করেছিলাম আমরা। কখনও নিউ জিল্যান্ড ছুটছি তো কখনও দক্ষিণ আফ্রিকা। আবার সেসবের মাঝে দেশে থাকলে মুম্বইয়ে 'রেহনা হ্যায় তেরি দিল মেঁ'র বাকি‌ অংশের শুটিং। বলতে গেলে, বিমানে আসা যাওয়ার মাঝেই বিশ্রাম পেতাম আমরা। ঘুমোতোম। গোটা ছবির শুটিং জুড়েই এই ছোটাছুটি চলেছিল। এমনকি শুটিং শেষ হওয়ার আগেই নির্মাতাদের তরফে ঘোষণা করে দেওয়া হল ছবিমুক্তির তারিখ!" 

এখানেই না থেমে দিয়া আরও জানান, ছবি মুক্তির আগে মাধবন তাঁকে জানিয়েছিলেন এই ছবি শুধু বক্স অফিসেই সফল হবে না, পাশাপাশি দর্শকের মন জয় করবে। করবেই। কিন্তু আদতে তা হয়নি। 'রেহনা হ্যায় তেরি দিল মেঁ'র ব্যর্থতার পর এই ছবির সঙ্গে জড়িত সমস্ত কলাকুশলীরা চুপসে গিয়েছিল। তাঁদের সব আশা এভাবে মিথ্যে হয়ে যাবে তা মেনে নিতে কেউ প্রস্তুত ছিলেন না। ওই সেশনে এই প্রসঙ্গ তুলে মাধবনের উদ্দেশে দিয়া বলে ওঠেন, "...তবে এই ছবি নিয়ে তোমার বলা কথা ব্যর্থ হয়নি ম্যাডি। হয়ত সেই সময় এই ছবি প্রেক্ষাগৃহে সফল হয়নি কিন্তু ধীরে ধীরে বছরের পর বছর ধরে সকল মনে যেভাবে জাঁকিয়ে বসেছে, মন জয় করে নিয়েছে, যে পরিমাণ ভালবাসা পেয়েছে তা অবিশ্বাস্য"।

এরপর মুখ খোলেন মাধবন- " দিয়া, তোমার মনে আছে কিনা জানিনা এই ছবি র ব্যর্থতার পর তুমি আমি অর্থাৎ আমরা সবাই নিজেদেরকে দোষ দিচ্ছিলাম। মনে হয়েছিল, ছবির ব্যর্থতার দায় 

 আমাদেরই। আমার যেমন মনে হয়েছিল হয়তো আরও একটু রোগা হলে ভাল হতো কিংবা চরিত্র অনুযায়ী পোশাক বাছাই করায় হয়তো গলদ ছিল। স্রেফ আমাদের দোষ ত্রুটি খুঁজে বার করতে তৎপর হয়ে উঠেছিলাম আমরা। এরপর কেটে গিয়েছে ২৩টা বছর। আজকের সময় দাঁড়িয়ে অবাক হয়ে দেখি এই ২৩ বছরে কীভাবে এই ছবিকে গ্রহণ করেছেন দর্শক ছোট পর্দায় বারবার দেখা থেকে শুরু করে অতিথি প্ল্যাটফর্মেও এই ছবি প্রতিনিয়ত দেখেছেন বিভিন্ন দর্শক। তাই যখন খবর এল দ্বিতীয়বার মুক্তির পরেও প্রেক্ষাগৃহে 'রেহনা হ্যায় তেরি দিল মেঁ' দেখার জন্য ভিড় জমাচ্ছেন দর্শক, তার অর্থ আজও এই ছবি ঘিরে বিভিন্ন বয়সী দর্শকের মনে কতটা ভালোবাসা জমে রয়েছে..."