Reporter: নিজস্ব সংবাদদাতা | লেখক: Rahul Majumder | Editor: শ্যামশ্রী সাহা ২০ আগস্ট ২০২৪ ১৭ : ০৯Rahul Majumder

সংবাদ সংস্থা মুম্বই : রুপোলি পর্দার মতো বাস্তবেও বলিউডের 'হি ম্যান' ছিলেন ধর্মেন্দ্র। যৌবনে এই তারকা-অভিনেতার মাথা গরম ও রাগের নানা কিসসা প্রায়শই শোনা যায় সেই প্রজন্ম কিংবা ধর্মেন্দ্র-পরবর্তী প্রজন্মের অভিনেতা-অভিনেত্রীর মুখে। তবে জানেন কি একবার রেগে গিয়ে সবার সামনে হৃতিক রোশনের প্রাক্তন শ্বশুর তথা বলি-অভিনেতা সঞ্জয় খানকে সপাটে চড় মেরে দিয়েছিলেন 'শোলে' ছবির 'বীরু'?

তখন বলিপাড়ায় খুব বেশিদিন হয়নি সঞ্জয় খানের। উঠতি নায়ক হিসাবে তাঁর নাম ছড়াচ্ছে অল্প অল্প করে। ১৯৬৪ সালে ধর্মেন্দ্রর সঙ্গে 'হকিকত' নামে ততদিনে একটি ছবিতে শুটিং শুরু করে ফেলেছেন হৃতিকের প্রাক্তন শ্বশুর। ধর্মেন্দ্র বরাবরই মজলিশি মানুষ। হইচই করে পার্টি করতে ভালবাসেন। 'হকিকত' ছবির কলাকুশলীদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়াতে একটি বড়সড় পার্টির আয়োজন করে ফেললেন। প্রচুর অতিথি অভ্যগতরা এল। তৎকালীন বলিপাড়ার অনেক ছোট-বড়রাও এলেন। জমিয়ে শুরু হল পার্টি। সমস্যার সূত্রপাত যখন সঞ্জয় খানকে মদ্যপান করতে ডাকলেন ধর্মেন্দ্র। প্রথমে রাজি না হলেও ধর্মেন্দ্রর কথায় মদ্যপান শুরু করেন তিনি।

এরপরেই বাধে গন্ডগোল। মদ্যপ অবস্থায় ইন্ডাস্ট্রির বিভিন্ন অভিনেতা-অভিনেত্রীদের গালমন্দ করতে শুরু করেন সঞ্জয়। অভিনেতাকে প্রথমে সামলানোর চেষ্টা করেছিলেন ধর্মেন্দ্র। নরম স্বরে নানাভাবে বোঝানোর চেষ্টাও করেছিলেন। কিন্তু উন্মত্ত হয়ে আরও বেশি করে গালাগালি দিতে শুরু করে সঞ্জয়। এরপর যখন সদা হাসিমুখের বর্ষীয়ান অভিনেতা ওম প্রকাশের সম্পর্কে বাজে কথা চিৎকার করে বলতে শুরু করেন সঞ্জয়, নিজেকে আর সামলাতে পারেননি 'গরম ধরম'। ঠাটিয়ে চড় মেরে বসেন সঞ্জয়কে! মুহূর্তে থেমে যায় পার্টি।

পরে এই চড়-কাণ্ডের জন্য অপরাধভোগে ভুগেছিলেন ধর্মেন্দ্র নিজেও। শেষমেশ থাকতে না পেরে সঞ্জয় খানের দাদা তথা জনপ্রিয় বলি-তারকা ফিরোজ খানের সঙ্গে দেখা করেন ধর্মেন্দ্র। এই ঘটনার জন্য ক্ষমা চাইতে উদ্যত হলে তাঁকে নিরস্ত করেন ফিরোজ। জানান, ধর্মেন্দ্র যা করেছেন বেশ করেছেন।  সেদিন চিৎকার করে ওম প্রকাশকে গালিগালাজ করে অত্যন্ত গর্হিত কাজ করেছেন তাঁর ভাই। তাই সঞ্জয়ের জায়গায় যদি সেদিন পার্টিতে ফিরোজ নিজে উপস্থিত থাকতেন, তাহলে তিনিও চড় মারতেন তাঁর ভাইকে।

প্রসঙ্গত, পরবর্তী সময়ে ধর্মেন্দ্রও অত্যন্ত প্রিয় বন্ধুর তালিকায় ঢুকে পড়েছিলেন সঞ্জয়।