Reporter: নিজস্ব সংবাদদাতা | লেখক: Rahul Majumder | Editor: শ্যামশ্রী সাহা ১৯ আগস্ট ২০২৪ ১৮ : ২০Rahul Majumder

সংবাদ সংস্থা মুম্বই : বলিউডে উল্কার গতিতে উত্থান যেমন হয়েছিল তেমন ততোধিক দুর্বার গতিতেই পতনও হয়েছিল রাজেশ খান্নার। শোনা যায় উদ্দামতা, নিয়মনিষ্ঠার অভাব এবং অহংকারের কারণে এই বলি-তারকার থেকে মুখ ফেরাতে শুরু করেছিলেন ছবি-প্রযোজকেরা। এ প্রসঙ্গে রাজেশ বলেছিলেন, "খ্যাতির ওই চূড়া থেকে নিচে পড়ার পর ভিতর থেকে ভেঙেচুরে গিয়েছিলাম। ভিতরটা রক্তাক্ত হয়ে গিয়েছিল আমার"।

টুইঙ্কল খান্নার মা তথা রাজেশের স্ত্রী ডিম্পল কপাডিয়া  জানিয়েছিলেন, রাজেশের সঙ্গে সংসার করার পর্ব তাঁর স্মৃতিতে আজও 'ভীষণ পরিষ্কার'। তারপর আরও জানান বলি-তারকার সঙ্গে ঘর করার সময়টুকু তাঁর জন্য 'আতঙ্কে ঠাসা'। তবে কেন 'বিভীষিকাময়' সেই নিয়ে বিশদে আর কিছু বলেননি 'ববি'র নায়িকা। তবে ভুলে চলবে না, ভারতের চলচ্চিত্রের ইতিহাসে রাজেশ খান্নাই প্রথম 'সুপারস্টার'। এহেন রাজেশের আত্মজীবনী লেখার জন্য তাঁর মেয়ে তথা টুইঙ্কল খান্নাকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি রাজি হননি। সরাসরি বলেছিলেন, "লিখব না"।

একসময় অভিনয়কে কেরিয়ার হিসাবে বেছে নিলেও তা ছাড়তে খুব বেশি দেরি করেননি রাজেশ-কন্যা। বর্তমানে লেখিকে হিসাবে বেশ জনপ্রিয় টুইঙ্কল। 'মিসেস ফানি বোন্স' নাম পত্রিকায় কলামও লেখেন তিনি, যা পাঠকমহলে যথেষ্ট সমাদৃত। বহুবার রাজেশ খান্নার জীবন নিয়ে বই লেখার প্রস্তুতি বিভিন্ন প্রকাশকের তরফে নেওয়া হলেও শেষপর্যন্ত তা রূপ পায়নি বিভিন্ন কারণে। বর্তমানে সমাজমাধ্যমে টুইঙ্কলের একটি পুরনো ভিডিও ভাইরাল হয়েছে যেখানে দেখহ যাচ্ছে তিনি তাঁরা বাবার অর্থাৎ রাজেশ খান্নার জীবনী নির্ভর বই লেখার দায়িত্ব নিতে নারাজ। সরাসরি নিজের অপারগতার কথা জানাচ্ছেন।

'না' বলার কারণ হিসাবে টুইঙ্কল জানিয়েছিলেন- "আমি এমন ধরনের গল্প লিখতে চাই যার মধ্যে বহু স্তর রয়েছে এমন যে গল্পের প্রভাব জনমানসে সুদূরপ্রসারী। আর কোনও ব্যক্তির জীবনী লিখতে গেলেও এই একই কথা মেনে চলবে -ওই ব্যক্তির জীবনে নানা স্তর থাকতে হবে এবং পাঠকমহলে যেন তাঁর গল্প কোনও বার্তা দেয়, কিছু শেখায়..." অর্থাৎ এখানে ইঙ্গিত পরিষ্কার যে রাজেশ খান্নার জীবন খুব নির্ঝঞ্ঝাট ছিল। মশলাহীন ঘটনাযা ভরা ছিল। কিন্তু আদপে সত্যি কি তাই?

স্বয়ং রাজেশ খান্না নিজের আত্মজীবনী না লেখার প্রধান কারণ হিসাবে বলেছিলেন -"আমার জীবন পুরো গল্পের মতো। এত ওঠা নাম। এত রঙিন, অন্ধকার সব মুহূর্তে ভরা। যদি আত্মজীবনীতে সব সত্যি কথা লিখি তাহলে অনেক মানুষ বিপদে পড়ে যাবেন। তাঁদের নিয়ে অনেক প্রশ্ন উঠবে...সুতরাং কাউকে কোনও বিড়ম্বনায় ফেলতে চাই না। আত্মজীবনী লিখব না এই কারণেই"।

এবার প্রশ্ন হচ্ছে সত্যিটা তাহলে কী? সত্যিটা কি রাজেশ বলে গিয়েছিলেন না কি টুইঙ্কল বলছেন?