শুক্রবার ২২ নভেম্বর ২০২৪
সম্পূর্ণ খবর
Pallabi Ghosh | ০১ জুন ২০২৪ ১৫ : ৪০Pallabi Ghosh
পল্লবী ঘোষ: অভিমান নয়, মন খারাপ। লোকসভা নির্বাচনে টিকিট না পেয়ে এমন অভিব্যক্তিই প্রকাশ করেছিলেন অভিনেতা- রাজনীতিক রুদ্রনীল ঘোষ। তবে সেই খারাপ-লাগা কেটে গেছে দু-চারদিনের মধ্যেই। বিজেপির তারকা প্রচারকদের তালিকায় থাকতে পেরে আদতেই বেজায় খুশি তিনি। জানালেন, বাংলার প্রত্যন্ত এলাকায় ঘুরে ঘুরে প্রচার সেরেছেন। নিজেকে 'সক্রিয় রাজনীতিক' বলে দাবি করলেও সেই ছবিটা কিন্তু মিডিয়াতে দেখা যায়নি।
আজকাল ডট ইনকে রুদ্রনীল জানালেন, 'গত দুমাসে মাত্র ৫ দিন বিশ্রাম নিয়েছি। উত্তরবঙ্গের কয়েকটি কেন্দ্র ছাড়া বাকি দিনগুলোতে রাজ্যের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ছুটে বেড়িয়েছি। শেষ হল বসিরহাটে প্রচার করে। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই জোরকদমে প্রচারের প্রতিফলন নেই বললেই চলে। আমিও বিশেষ পোস্ট করিনি। কারণ প্রচারে ব্যস্ত ছিলাম। সত্যি বলতে, এমন সুযোগ পেয়ে আর মন খারাপ করার সময় পাইনি। আর তারকা প্রচারকদের তালিকা দেখলে বোঝা যাবে, আমাকে দল কত বড় দায়িত্ব দিয়েছে। সারা পশ্চিমবঙ্গে আমাকে কাজের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। আর কী চাইতে পারি! অন্তরালে থাকিনি। সংবাদমাধ্যম আমার কাজ দেখায়নি। তাই লোকে ভুল বুঝেছে।'
লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি একাধিকবার বাংলায় এসেছেন। দলের একজন 'সক্রিয় কর্মী' হয়েও মোদির কোনও জনসভাতেই দেখা যায়নি রুদ্রনীলকে। সেই প্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, 'প্রধানমন্ত্রী নিজস্ব কর্মসূচি নিয়ে এখানে এসেছেন। সেই সময় দল আমাকে অন্য দায়িত্ব দিয়েছিল। মঞ্চে থাকা না থাকায় আমার বিশেষ মাথাব্যথা ছিল না। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এক মঞ্চে যদি সব নেতারা জড়ো হন, তাহলে কাজের ক্ষতি হবে। নির্বাচনের এই কাজের জন্য কাজল, সৃজিতের সঙ্গে সিনেমার কাজ ছেড়ে দিয়েছি। কাজের ব্যপ্তি বেড়েছে। সেটা এড়িয়ে যেতে পারতাম না।'
লোকসভা নির্বাচন মিটতেই ছাব্বিশের বিধানসভা ভোট নিয়ে কাজ শুরু করবে প্রতিটি রাজনৈতিক দল। একুশের বিধানসভায় ভবানীপুর কেন্দ্রে শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের প্রতিপক্ষ হয়ে লড়েছিলেন রুদ্রনীল। যদিও হেরে গিয়েছিলেন। লোকসভার পর এবার কি বিধানসভার টিকিটের জন্য মুখিয়ে আছেন? রুদ্রনীলের কথায়, 'আমি ছাত্র আন্দোলন করে এই জায়গায় পৌঁছেছি। একুশের নির্বাচনে তৃণমূলের আঁতুড়ঘরে আমি প্রার্থী হয়ে লড়েছি, মার খেয়েছি। তখন একটা অগ্নিপরীক্ষায় ফেলেছিল দল। আবারও বলছি, আমার কোনও বাড়তি আশা নেই দলের কাছে। আমার লক্ষ্য একটাই, সমাজে, দলের কাছে রাজনীতি সচেতন, লড়াকু কর্মী হিসেবে আস্থাভাজন হওয়া। তার জন্য যে পরিশ্রম করতে হবে, সেটাই করার সুযোগ দিয়েছে দল।'