সোমবার ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
সম্পূর্ণ খবর
Riya Patra | ২২ মে ২০২৪ ২০ : ০১Riya Patra
বিভাস ভট্টাচার্য
বিশ্বাসটা আলাদা। তাই রাজনৈতিক পথটাও আলাদা। গত ২০ মে পর্যন্ত তাঁদের মধ্যে অব্যাহত ছিল রাজনৈতিক যুদ্ধ। এই যুদ্ধে কখনও এসেছে মি.ইন্ডিয়া বা মিস ইউনিভার্স-এর মতো 'ভূষণ'ও। আপাতত বিরতি। কারণ রাজ্যের আরও বেশ কয়েকটি কেন্দ্রের মতো শ্রীরামপুর লোকসভা কেন্দ্রের নির্বাচন হয়ে গিয়েছে।
যে দুই প্রার্থীকে নিয়ে এত আলোচনা তাঁদের মধ্যে একজন তৃণমূলের কল্যাণ ব্যানার্জি এবং সিপিএমের দীপ্সিতা ধর। অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনে এই দুই প্রার্থীকে নিয়ে সংবাদ মাধ্যমে বহু আলোচনা হয়েছে। দু'জনের মধ্যে কল্যাণ পোড় খাওয়া রাজনীতিবিদ এবং সেইসঙ্গে ডাকসাইটে আইনজীবী। তিনবারের সাংসদ। এবার তাঁর লক্ষ্য 'বাউন্ডারি' মারা। অন্যদিকে জেএনইউ'র প্রাক্তনী দীপ্সিতার এটাই প্রথম লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা। স্বভাবে বা হাবভাবে দু'জন সম্পূর্ণই বিপরীতে।
কিন্তু এত কিছুর পরও তাঁদের মধ্যে যে বিষয়টি নিয়ে মিল পাওয়া গিয়েছে তা হল তাঁদের দু'জনের মন খারাপের দিকটি নিয়ে। কলকাতার বাসিন্দা কল্যাণ ভীষণ স্নেহ করেন তাঁর নাতি ও দুই নাতনিকে। নাতি নাবালক এবং নাতনিরা একেবারেই শিশু। নির্বাচনের জন্য তিনি দীর্ঘদিন ধরে পড়ে আছেন শ্রীরামপুরে। ভোরে উঠেই তাঁকে ছুটতে হয়েছে প্রচারের কাজে। দুপুরে একটু বিশ্রাম নিয়ে আবার বিকেল থেকেই ফের শুরু প্রচার। সোমবার ভোট হয়ে যাওয়ার পরেও বাড়ি ফিরতে পারেননি। মঙ্গলবার দুপুরেই তাঁকে বেরিয়ে যেতে হয়েছে দলের হয়ে প্রচারের কাজে। ফলে শ্রীরামপুরে যে আবাসনে তিনি ছিলেন সেখানেই থেকে যেতে হয়েছে তাঁকে। যদিও মঙ্গলবার একটু বেলা করেই ঘুম থেকে উঠেছেন কল্যাণ। এরপর অন্যান্য কাজ সেরে রওনা দিয়েছেন মেদিনীপুরের দিকে। দলীয় প্রার্থী জুন মালিয়ার হয়ে প্রচারে। নাতি, নাতনিদের প্রসঙ্গ তুলতেই নিখাঁদ স্নেহ ঝড়ে পড়ল কল্যাণের গলায়। তিনি বলেন, 'হ্যাঁ, অবশ্যই 'মিস' করছি নাতি, নাতনিদের। অনেকদিন দেখিনা।' মমতা ব্যানার্জির লড়াকু সৈনিক এখানে একেবারেই স্নেহপরায়ণ দাদু। ভিডিও কল করে কি দেখেছিলেন? কল্যাণ জানিয়েছেন, তিনি দেখেননি। ২৩ মে তাদের সঙ্গে আবার দেখা হবে জানিয়েছেন কল্যাণ। ওইদিন তিনি কলকাতার বাড়িতে ফিরবেন।
অন্যদিকে দীপ্সিতারও মন পড়ে ছিল তাঁর খুড়তুতো ছোট্ট বোনের দিকে। দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্রী তাঁর বোন সময় অসময় মানত না তার দিদির কাছে আসার জন্য। কিন্তু দিদি সময় পায়নি দেখে এতদিন সে দিদিকে হাতের কাছে পায়নি। মঙ্গলবার দুপুরে দীপ্সিতা বাড়িতেই ছিলেন। ব্যস আর তাকে পায় কে! সোজা এসে দিদির কাছে। কী জিজ্ঞেস করল? দীপ্সিতার কথায়, 'অনেক প্রশ্ন করেছে। আমায় সেগুলো উত্তর দিতে হয়েছে।' এবার দলের হয়ে প্রচারে যাবেন দীপ্সিতা। অপেক্ষা করে থাকবে তার ছোট্ট বোন। কখন আসবে দিদি?