নিজস্ব সংবাদদাতা | | Editor: শ্যামশ্রী সাহা ১৩ মে ২০২৪ ২৩ : ১৬

কয়েকটা বছর আগের কথা। একটি ঘটনা সেই সময় বাংলা বিনোদন দুনিয়ায় তোলপাড় ফেলে দিয়েছিল।

এক অজানা যুবকের দাবি, অরুণিমা ঘোষকে তিনি বিয়ে করতে চলেছেন। যদিও বয়সে নায়িকার থেকে অনেকটাই ছোট। তাতে কী? সারাক্ষণ সামাজিক মাধ্যমে বার্তা পাঠাতেন। ফোনে উত্যক্ত করতেন। হাত কেটে রক্ত দিয়ে অনেক কিছু লিখে পাঠাতেন। মাথা ঠাণ্ডা থাকলে বলতেন, ‘‘অরুণিমাদি সিঁদুরকৌটো নিয়ে তৈরি থেকো। বিয়ে করতে যাব।’’ রেগে গেলে চূড়ান্ত। সরাসরি হুমকি দিতেন, অরুণিমাকে তিনিই বিয়ে করবেন। অন্য কেউ যেন তাঁর প্রেমিকাকে না স্পর্শ করে! হুবহু না হলেও প্রায় এরকমই কিছু অরুণিমাকে ঘিরে খুব শিগগিরি ঘটতে চলেছে। অনিন্দ্য সেনগুপ্তর মনে বয়সে অল্প বড় নায়িকার জন্য নাকি ‘ব্যথা’ তৈরি হয়েছে। তিনি আপাতত মুম্বইয়ে আইপিএল লিগের ধারাভাষ্যকার হিসেবে। সেখান থেকেই আজকাল ডট ইনকে বলেছেন, ‘‘আমার পরান ইহা চায়!’’ 

নায়কের কথা নায়িকার কানে দায়িত্ব নিয়ে পৌঁছে দিতেই অরুণিমা হইহই করে উঠেছেন। মনে করিয়ে দিয়েছেন তাঁর সঙ্গে ঘটে যাওয়া অঘটনের কথা। তারপরেই ফাঁস করেছেন আসল তথ্য, ‘‘সবটাই হচ্ছে। তবে পর্দায়। পাভেল পরিচালিত আগামী ছবি ‘পরান যাহা চায়’ ছবিতে। সন্তানদের মানুষ করতে করতে মা-বাবারা অজান্তেই ফুরিয়ে যান। অনেক সাধ, ইচ্ছে, আহ্লাদ পূরণ বাকি থেকে যায়। সেই মা-বাবাদের রেখে যাওয়া স্বপ্নপূরণের দায়িত্ব নিয়ে তাঁদের শেষকৃত্য করে ‘ভিক্টোরিয়া’ সংস্থা। সেখানেই আমার আর অনিন্দ্যর দেখা।’’ অভিনয়ে এঁরা ছাড়াও পরান বন্দ্যোপাধ্যায়, অনির্বাণ চক্রবর্তী, ইন্দ্রনীল সেনগুপ্ত এবং আরও অনেকে। প্রযোজনায় ক্যামেলিয়া প্রোডাকশনস।

অরুণিমা যতই প্রেমের গুঞ্জন ঘুরিয়ে দিন, অনিন্দ্য কিন্তু এখন থেকে অরুণিমাতেই মুগ্ধ। সাংবাদিক, অভিনেতা, ধারাভাষ্যকারের পর কেবল প্রেমের খাতিরে তিনি নাকি পুলিশ হতে চলেছেন! তাঁর কথায়, ‘‘পাভেলদা দুর্দান্ত একটা চরিত্র দিয়েছেন। ছবির খাতিরে পাগলপ্রেমী, গুণ্ডা হয়েছি। উত্তমকুমারের সঙ্গে অভিনয়ও করে ফেললাম। এবার প্রশাসনিক চরিত্রে। আর অরুণিমাদির সঙ্গে অভিনয়। ভাল আলাপ নেই। দূর থেকে দেখেছি। শহরের ফেরার পরের দিন থেকে শুট শুরু। ফলে, আগাম আলাপের সময়ও পাব না। তাই মুম্বইয়ে বসে নিজেকে ঘষামাজা করছি। চিত্রনাট্য পড়ছি। সরাসরি সেটে নায়িিকার সঙ্গে প্রেম করব।’’ 

অনিন্দ্যর রসিকতা নায়িকা উপভোগ করেছেন। আফসোস, বাস্তবে প্রেমিক জুটছে না। তাই পর্দাতেই প্রেম করে সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে। বহু যুবক, নানা পেশার পুরুষের থেকে প্রেমপ্রস্তাব পেয়েছেন। পুলিশ প্রেমিক নিয়ে কোনও দিন ভেবেছেন? অরুণিমার জবাব, ‘‘আইএএস অফিসারদের দারুণ লাগে। যথেষ্ট বুদ্ধিদীপ্ত, শিক্ষিত। আইপিএস অফিসাররাও ভাল। কিন্তু পুলিশ তো। আমার পক্ষে একটু কর্কশ!’’ একটু থেমে যোগ, একজন প্রশাসনিক প্রেমিক থাকলে আখেরে লাভ। কেউ আর উত্যক্ত করার সাহস পাবে না। ছবিজুড়ে শেষবয়সের গল্প। অরুণিমা তাঁর শেষবয়স নিয়ে কী পরিকল্পনা করেছেন? প্রশ্ন শুনে গলায় কি অল্প বিষণ্ণতা? অল্প থেমে থেমে বললেন, ‘‘বাবাকে সদ্য হারিয়েছি। মা রয়েছে। মাকে ছেড়ে, শহর ছেড়ে পাশের পাড়ায় যাওয়ার কথাও ভাবতে পারি না। যতদিন মা আছে, আমি লেপ্টে থাকব। তারপরের কথা তারপরে। সত্যিই এখনও কিছু ভাবিনি।’’