রবিবার ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪
সম্পূর্ণ খবর
Riya Patra | ১৪ এপ্রিল ২০২৪ ১৯ : ০৫Riya Patra
সমীর ধর, আগরতলা: ত্রিপুরার দুই লোকসভা এবং রামনগর বিধানসভা আসনের ভোটে ২০১৯-এর পুনরাবৃত্তির আশঙ্কা করছেন বিরোধীরা। বিজেপি-র দাবি, প্রতিটি ক্ষেত্রে জামানত জব্দ হবে বুঝেই বিরোধীরা এসব বলছেন। প্রতিদ্বন্দ্বী দলগুলির প্রচার জমানোর সব চেষ্টা সত্ত্বেও ভোটারদের মধ্যে তেমন সাড়া লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। এই অবস্থায় সোমবার পূর্ব ত্রিপুরা আসনে বিজেপি-র প্রচারে কুমারঘাটে জনসভা করবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ্ । সেখানে ভোট ২৬ এপ্রিল। পশ্চিম আসনে ১৯ এপ্রিল। ১৭ই পশ্চিমের শেষ প্রচারের প্রাক মুহূর্তে আগরতলায় সভা করবেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তার আগের দিনই আগরতলায় পশ্চিম আসনে ইন্ডিয়া ব্লকের কংগ্রেস প্রার্থী আশিসকুমার সাহা-র সমর্থনে রোড-শো করতে আসছেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী।
এদিকে, পশ্চিম আসনে সম্প্রতি দিব্যাঙ্গ ও ৮৫ বছর বা তার বেশি বয়সের ভোটারদের ৯৫ শতাংশই বাড়িতে বসে ভোট দিতে পেরেছেন বলে রিটার্নিং অফিসার বিশাল কুমার জানালেও তাকে "প্রহসন" বলে চিহ্নিত করল সিপিএম। রবিবার সাংবাদিক সম্মেলনে এই কেন্দ্রের প্রাক্তন সাংসদ শংকরপ্রসাদ দত্ত এবং রামনগরে ইন্ডিয়া ব্লকের সিপিএম প্রার্থী রতন দাস অভিযোগ করেন, প্রায় সর্বত্র বিজেপি সমর্থক দুষ্কৃতীদের উপস্থিতিতে এই ভোটারদের ভোট নেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, অনেক ক্ষেত্রে তারাই ভোট দিয়ে দিয়েছে। নির্দিষ্ট দৃষ্টান্ত দিয়ে তাঁরা জানান, রামনগর বিধানসভা কেন্দ্রের ২১ নম্বর বুথে ৮৫ বছরের বৃদ্ধা শ্রীমতী চৌধুরির ভোট তাঁর মেয়ের প্রবল বাধা অগ্রাহ্য করে বিজেপি কর্মীরা নিজেরা দিয়ে দিয়েছে । চিফ ইলেকশন অবজারভার-কে রবিবার তাঁরা সব জানিয়ে বলে এসেছেন। অভিযোগ, শাসক দলের জন্য কোনও নির্বাচনী আচরণবিধি নেই। বিরোধীদের সমস্ত পতাকা ফেস্টুন প্রচারসজ্জা ছিঁড়ে ফেলা হচ্ছে, পুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। অবজারভার-কে ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের অভিজ্ঞতা মনে করান তাঁরা। শাসক দল বিজেপি-র বিরুদ্ধে ব্যাপক রিগিং-এর অভিযোগের মধ্যেই সে বার কেবল পশ্চিম ত্রিপুরা লোকসভা কেন্দ্রেই রেকর্ড সংখ্যক ৪৬১টি বুথে ফের ভোট করাতে হয়েছিল কমিশনকে। পূর্ব ত্রিপুরা কেন্দ্রেও ভোট পিছিয়ে দিতে হয়েছিল। ভারতের মুখ্য নির্বাচন কমিশনারকেও সব জানানো হয়েছে বলে তাঁরা জানান।
অন্যদিকে, পূর্ব ত্রিপুরা উপজাতি সংরক্ষিত আসনের বিজেপি প্রার্থী কৃতি সিং দেববর্মা-কে কড়া ভাষায় সতর্ক করেছে নির্বাচন কমিশন। সম্প্রতি ফটিকরায়ে একটি সভায় তিপ্রা মথা সুপ্রিমো প্রদ্যোতকিশোরের দিদি, ছত্তিসগড়ের এক রাজ পরিবারের বধূ কৃতি দেবী "সিপিএম খুনিদের পার্টি" বলে মন্তব্য করেন। প্রতিবাদে অভিযোগ পেশ করেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক জিতেন চৌধুরি। কমিশনের তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হয়। জিতেনবাবু পাল্টা অভিযোগে সংবাদপত্রের কাটিং জমা দিয়ে জানান, কৃতি সিং নিজে একটি খুনের মামলায় অন্যতম প্রধান অভিযুক্ত এবং ছত্তিসগড় হাইকোর্ট এই খুনের সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। এই তথ্য তিনি প্রার্থী হওয়ার সময় নির্বাচন কমিশনের কাছে ইচ্ছাকৃত গোপন করেছেন। তিনি দেশের মুখ্য নির্বাচন কমিশনারকে চিঠি দিয়ে জানান, ত্রিপুরায় নির্বাচনের "লেভেল প্লেয়িং গ্রাউন্ড " -এর কোনও অস্তিত্ব নেই।