শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

সম্পূর্ণ খবর

লোকসভা নির্বাচন ২০২৪ | Thakurnagar: ক্যা নিয়ে মমতার সতর্কবাণী হাওয়া ঘোরাতে পারে মতুয়া ভোটের

Pallabi Ghosh | ০৫ এপ্রিল ২০২৪ ১৯ : ১৩Pallabi Ghosh


পল্লবী ঘোষ, ঠাকুরনগর: ঠাকুরনগরের মতুয়া ধর্ম মহামেলার প্রথমদিনে একসঙ্গে উপস্থিত থাকবেন বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী শান্তনু ঠাকুর এবং তৃণমূল প্রার্থী বিশ্বজিৎ দাস। শনিবার ভোরবেলা হরিচাঁদ ঠাকুরের জন্মতিথিতে মধুকৃষ্ণ ত্রয়োদশী তিথিতে ঠাকুরনগরের "কামনাসাগরে" পুণ্যস্নানে অংশ নেবেন কয়েক লক্ষ ভক্ত। মতুয়া সম্প্রদায়ের ভক্তদের সেই ভিড়েই ‘কামনাসাগরে’ স্নান সারবেন শান্তনু ও বিশ্বজিৎ।
শুক্রবার শান্তনু ঠাকুরের কথায়, "প্রতিবারই কামনাসাগরে পুণ্যস্নান সারি। তবে এবছরটা বিশেষ আমার কাছে। কয়েকটি জায়গায় ইতিমধ্যেই প্রচার করেছি। কিন্তু আগামিকাল পুণ্যস্নান সেরে জোরকদমে, নতুন উদ্যমে প্রচার শুরু করব।"
অন্যদিকে তৃণমূল প্রার্থী বিশ্বজিৎ দাস জানালেন, "ধর্মীয় জায়গায় রাজনীতির বিপক্ষে আমি। ছোট থেকে কামনাসাগরে স্নান করি। রাজনীতিতে আসার পর অন্তরালে থেকেই করি। এবছর লোকসভা নির্বাচনের প্রচার শুরুর আগেই ঠাকুরবাড়িতে গিয়ে আশীর্বাদ নিতে চাই।"
তবে শনিবার একসঙ্গে দুই প্রার্থীকে দেখা যাবে না। ভোরে বাড়ির সামনে "কামনাসাগরের" ঘাটে উপস্থিত থাকবেন শান্তনু। তার কিছুক্ষণ পর সেখানে পৌঁছবেন বিশ্বজিৎ। মহামেলার প্রথমদিনে দুই প্রার্থীর উপস্থিতি যে ঠাকুরবাড়ির প্রাঙ্গণে উত্তেজনার পারদ চড়াবে, তা বলাই বাহুল্য।
চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনেও মতুয়াদের মন পেতে মরিয়া রাজ্যের এবং কেন্দ্রের শাসক দল। ২০১৯ -এর আগে পর্যন্ত বনগাঁ লোকসভার সাতটি বিধানসভা কেন্দ্রই ছিল তৃণমূলের শক্ত ঘাঁটি। কিন্তু ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের সময় থেকেই খেলা ঘুরে যায়। তৃণমূলের হাত ছেড়ে মতুয়াদের বড় অংশ ঘুরে যান বিজেপির দিকে। সেবারের নির্বাচনে ১,০৯,৮৫৫ ভোটের ব্যবধানে জিতেছিলেন শান্তনু ঠাকুর। তবে এর পিছনে বিরাট অবদান ছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। ২০১৯ সালে ভোটের আবহে ঠাকুরনগরে এসে ঠাকুরবাড়ির মাঠে সভায় দাঁড়িয়ে মোদি মতুয়াদের নাগরিকত্ব দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। উদ্বাস্তু, শরণার্থী তকমা ছেড়ে, ভারতের নাগরিকত্ব পাওয়ার আশায় বিজেপির শান্তনুকে জিতিয়েছিলেন মতুয়ারা। এবার লোকসভা ভোটের আগে সিএএ কার্যকর হতেই প্রথমে ব্যাপক উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছিলেন মতুয়াদের একাংশ। তবে কেন্দ্রের তরফে যে নথিপত্র চাওয়া হয়েছে, তা ঘিরেই আতঙ্কও ছড়িয়েছে সকলের মধ্যে। আবেদন করলেই যদি বাংলাদেশী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়, সেই উদ্বেগে অনেকেই দরখাস্ত করা থেকে বিরত রয়েছেন। নিঃশর্ত নাগরিকত্বের জন্য আন্দোলনও করছে মতুয়াদের বিরাট অংশ। ইতিমধ্যেই ভোটের প্রচারে বেরিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি বারবার সিএএ নিয়ে সতর্ক করছেন। রাজ্যে সিএএ চালু এবং ডিটেনশন ক্যাম্প করতে দেবেন না বলেও সরব হচ্ছেন। রাজনৈতিক মহলে কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে, যেভাবে মুখ্যমন্ত্রী মতুয়াদের ভরসা জোগাচ্ছেন, এবং নিঃশর্ত নাগরিকত্বের দাবি উঠেছে, তার জেরে বনগাঁয় এবার খেলা ঘোরার সম্ভাবনাও তৈরি হয়েছে। ঠাকুরনগরের মহামেলাতেও তার আঁচ পাওয়া যাচ্ছে।




বিশেষ খবর

নানান খবর

শীঘ্রই আসছে...

নানান খবর



সোশ্যাল মিডিয়া



04 24