রবিবার ২৪ নভেম্বর ২০২৪
সম্পূর্ণ খবর
Sumit | ০৫ এপ্রিল ২০২৪ ১৮ : ৩৩Sumit Chakraborty
আজকাল ওয়েবডেস্ক: মুর্শিদাবাদ জেলার কান্দি মহকুমাকে বন্যার হাত থেকে বাঁচানোর জন্য লোকসভা নির্বাচনে আগে আন্দোলনের নামার হুঁশিয়ারি দিলেন বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রে কংগ্রেস প্রার্থী তথা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। সম্প্রতি মুর্শিদাবাদ জেলার বড়ঞা এবং ভরতপুর থানার উপর দিয়ে প্রবাহিত ময়ূরাক্ষী এবং কুঁয়ে নদীসহ আরও কয়েকটি নদী থেকে বেআইনিভাবে বালি তুলে নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ওই এলাকায় স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ পুলিশ প্রশাসনের একাংশের মদতে কেবলমাত্র নদী থেকে অবৈধভাবে বালি উত্তোলন করা হচ্ছে তা নয় এর পাশাপাশি বন্যা প্রতিরোধ করার জন্য ওই এলাকাতে নদীর পাড় বরাবর যে বাঁধ দেওয়া হয়েছে সেখান থেকেও মাটি এবং বালি তুলে নিচ্ছে বালি মাফিয়ারা।
অভিযোগ এই সমস্ত বালি মাফিয়াদের মাথায় পুলিশ প্রশাসনের একাংশ এবং কয়েকজন তৃণমূল নেতার হাত থাকায় অবৈধভাবে বালি উত্তোলনের ফলে ক্ষতিগ্রস্থ চাষী এবং জমির মালিকরা কোথাও লিখিত অভিযোগ দায়ের করতে পারছেন না।
এবার এই অবৈধ ব্যবসার বিরুদ্ধে সোচ্চার হলেন বহরমপুরের কংগ্রেস প্রার্থী অধীর চৌধুরী। শুক্রবার বহরমপুরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন,"প্রায় ৪৩৯ কোটি টাকা ব্যয়ে আমরা কান্দি "মাস্টার প্ল্যান" তৈরি করেছিলাম কান্দি মহকুমাকে বন্যার হাত থেকে বাঁচানোর জন্য।"
অধীর চৌধুরীর অভিযোগ, শুখা মরসুমে বাঁধ কেটে মাটি বিক্রি করবে আর বর্ষার সময় নতুন করে বাঁধ তৈরি করে সেখান থেকে টাকা নিয়ে দুর্নীতি করবে। এটাই এখন এই রাজ্যের পরিচয়। অধীরবাবু হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন,তবে আমি তা হতে দেব না । আমি আগামীকাল থেকেই বিষয়টি দেখব। প্রয়োজনে আমি আন্দোলন করব। আমি বসে থাকব না।
অন্যদিকে অধীর চৌধুরীর অভিযোগের উত্তর দিতে গিয়ে ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর বলেন," কোথাও কোনও বাঁধ কাটা হয়নি। ২০১৮ সালে "কান্দি মাস্টার প্ল্যানের" কাজ শেষ হয়েছে। মাটির কাজের "গ্যারান্টি " কেবলমাত্র এক বছর থাকে। কেন্দ্র সরকারের আর্থিক আনুকূল্যে ২০১৪ সালে এই কাজ শুরু হয়েছিল। ২০২৪ সালে ভোটের মুখে এখন অধীর চৌধুরীর "কান্দি মাস্টার প্ল্যানের" কথা মনে পড়ছে। এসব ভিত্তিহীন অভিযোগ করে উনি সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করতে চাইছেন। "