নিজস্ব সংবাদদাতা | | Editor: শ্যামশ্রী সাহা ২৩ মার্চ ২০২৪ ১৩ : ০৩

শনিবার EIMPA-র নির্বাচনের ফল প্রকাশ্যে। সংগঠনে পুনর্নিবাচিত সভাপতি পিয়া সেনগুপ্ত। আজকাল ডট ইনকে পিয়া নিজে এই খবর দিয়েছেন। একই ভাবে নির্বাচনে জয়ী যশ দাশগুপ্ত। এই প্রথম তিনি EIMPA-র এক্সিকিউটিভ বডির সদস্য হিসেবে নির্বাচনে দাঁড়িয়েছিলেন। সে বিষয়ে আজকাল ডট ইনকে তিনি বলেছিলেন, সংগঠনের সভাপতি পিয়া সেনগুপ্ত তাঁকে একাধিক বার নির্বাচনে লড়ার অনুরোধ জানিয়েছিলেন। এক্সিকিউটিভ বডির সদস্য হিসেবে এবার তাঁর পদক্ষেপ কী? প্রযোজক-অভিনেতাকে ফোনে পাওয়া যায়নি। বদলে কথা বলেছেন পিয়া সেনগুপ্ত। তিনি আজকাল ডট ইনকে জানিয়েছেন, যে ২২ জন নির্বাচনে দাঁড়িয়েছিলেন প্রত্যেকে জিতেছেন। এক্সিকিউটিভ বডির সদস্য হিসেবে যশকে এবার থেকে সমস্ত বৈঠকে অংশ নিতে হবে। তাঁর গুরুত্বপূর্ণ মতামত দেবেন। সংগঠনের যা যা কর্মসূচী তাতেও অংশ নিতে হবে তাঁকে।

আজকাল ডট ইনের সঙ্গে কথায় পিয়া জানান, ‘‘দায়িত্ব আরও বাড়ল। সভাপতি হিসেবে সমস্তটাই আমায় সামলাতে হয়। আগে যেভাবে কাজ করেছি এবার চাইব সেই কাজ আরও সংঘবদ্ধ ভাবে দ্রুত শেষ করতে। আরও বেশি করে কাজ করতে হবে।’’ বাড়তি আর কী কী করতে চলেছেন? পিয়া জানালেন, এই মুহূর্তে সিঙ্গল স্ক্রিনের সংখ্যা দ্রুত কমছে। এতে বাংলা বিনোদন দুনিয়ার ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। সবার আগে তিনি এই দিকটি দেখবেন। গ্রামে-শহরতলিতে স্ক্রিনের সংখ্যা বাড়ানোই তাঁর প্রথম এবং প্রধান লক্ষ্য।

নির্বাচনে জয়ের আগে যশ অকপটে জানিয়েছিলেন, EIMPA-র খুঁটিনাটি সম্বন্ধে খুব ওয়াকিবহাল নন। কিন্তু সভাপতির মতে, সংগঠনে নতুন ভাবনা, টাটকা অক্সিজেন আসা দরকার। যেটা আনতে পারে এই প্রজন্ম। কথাটা যশকে ছুঁয়ে গিয়েছে। এই কারণে তিনি প্রার্থী হন। পিয়ার সুর তাঁর কথাতেও। তিনি বলেছিলেন, ‘‘আমাদের এখানে সিনেমা হল তেমন বেশি নেই। যে ক’টা আছে তার অবস্থাও খুব খারাপ। বিশেষ করে গ্রাম-বাংলার হলগুলোর দুর্দশার কথা বলার মতো নয়। সবার আগে সিঙ্গল স্ক্রিনের সংখ্যা বাড়াতে হবে।’’ কারণ, সব জায়গায় মাল্টিপ্লেক্স নেই। এবং বাংলা ছবি শুধুই শহরের জন্য বানানো হয় না। এই নিয়ে পরিবেশকদের সঙ্গে একাধিক বার কথা বলেছেন তিনি। প্রেক্ষাগৃহ বাড়ানোর পাশাপাশি ভাল ছবি উপহার দিতে পারলে টলিউডেও স্বর্ণযুগ ফিরবে।