সঙ্কর্ষণ বন্দ্যোপাধ্যায় | | Editor: শ্যামশ্রী সাহা ১৩ মার্চ ২০২৪ ১৭ : ৩৭

সদ্য মুক্তি পেয়েছে কিরণ রাও পরিচালিত "লাপতা লেডিজ়"। কলকাতায় এসে সদ্য মুক্তি পাওয়া ছবি, কলকাতার স্মৃতি, ও আগামী কাজ নিয়ে অকপট কিরণ রাও

‘ধোবি ঘাট’ মুক্তির ১৩ বছর পর "লাপাতা লেডিস" ছবির হাত ধরে আবার পরিচালকের আসনে কিরণ রাও। সম্প্রতি সত্যজিৎ রায় ফিল্ম ইনস্টিটিউটে দেখানো হল সদ্য মুক্তি পাওয়া এই ছবি। ছবি প্রদর্শনের আগে তাঁকে সংবর্ধিত করলেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। প্রদর্শনের আগে কিরণ বলেন, “১৩ বছর পর আবার ছবি পরিচালনা করতে এসে ভিতরে ভিতরে একটু নার্ভাসই লাগছিল। কারণ এতদিনে সারা পৃথিবীতেই অনেক বদল ঘটেছে। দর্শকের পছন্দ অনেক পাল্টেছে। তাদের ভালো লাগবে কিনা? কারণ বাণিজ্যিক আঙ্গিক হলেও এই ছবির ট্রিটমেন্ট আলাদা। ছবি মুক্তির পরে এখন নিজেকে অনেকটাই চাপমুক্ত মনে হচ্ছে। এই শহরের ছেলে বিপ্লব গোস্বামীর গল্প "টু ব্রাইডস" নিয়েই আমার ছবি "লাপাতা লেডিস"। ২০১৮ তে আমিরের মুখেই বিপ্লবের এই গল্পের প্রশংসা শুনি। বলেছিল অনেকদিন পরে একটা দারুন গল্প পেলাম। তার পর বিপ্লবের গল্পটা পড়েই ছবি তৈরির কথা মাথায় আসে।’’ 

বিপ্লবের মূল কাহিনি অবলম্বনে ছবির চিত্রনাট্য ও সংলাপ লিখেছেন স্নেহা দেশাই ও দিব্যানিধি শর্মা।কমেডির মোড়কে পুরুষতান্ত্রিক রীতিনীতির বিরুদ্ধে বার্তাও রয়েছে ছবিতে। ছবির শুটিং বছর দেড়েক আগে মধ্যপ্রদেশের ভোপাল এর কাছে। কেবল স্টেশন এবং ট্রেনের দৃশ্য নাসিক এর কাছে করা"। এই ছবিতে অভিনয়ের জন্য আমির খান নিজেও অডিশন দিয়েছিলেন। এই প্রসঙ্গে কিরণ বলেন, “আমরা এমন একটা চরিত্র চাইছিলাম যাতে দর্শক সহজে প্রেডিক্ট করতে না পারে। সেই কারণে অডিশন দারুন দিলেও ইন্সপেক্টরের চরিত্রে আমিরের বদলে রবি কিষানকেই বেছে নেওয়া হয়েছিল।” "লাপাতা লেডিস" ছবিতে নতুনদের উপর ভরসা রাখা প্রসঙ্গে কিরণ বলেন, “শুরুতেই আমি এই ছবি নতুনদের নিয়েই করতে চেয়েছি। রবি কিষেণ, ছায়া কদম ছাড়া এ ছবির বেশির ভাগ চরিত্রেই নতুন মুখ। ওঁদের মতো অভিজ্ঞ অভিনেতার পাশাপাশি নতুন অভিনেতা এবং স্থানীয় সাধারণ মানুষ নিয়ে পুরো টিম তৈরি করেছিলাম। ছবি মুক্তির পর আমির ছবিটি নিয়ে খুবই উচ্ছ্বসিত। সিনেমা হলে মুক্তি পাওয়ার পরে সাধারণ মানুষ থেকে ইন্ডাস্ট্রির লোকেদের যা প্রতিক্রিয়া পাচ্ছি তাতে মন ভরে যাচ্ছে। এই অনুভূতির জন্যই বারবার ছবি তৈরি করতে চাই।” 

আগামী ছবির কথা উঠতেই কিরণ হেসে বলেন, “পরের ছবি আর এত দেরি হবে না। বেশ কিছু ছবি করার কথা মাথায় আছে। যার মধ্যে কলকাতার প্রেক্ষাপটে দুটো ছবি আছে। বাংলার সুন্দর লোকেশনে সেই ছবি করার ইচ্ছে আছে।” শহর কলকাতায় ছোট থেকে বেড়ে ওঠা। এই শহরকে কতটা মিস করেন? প্রশ্নের উত্তরে কিরণ জানান, “একেবারে শিশু বয়স থেকে ১৮-১৯ বছর এই শহরে কেটেছে। আমার বেড়ে ওঠা, পড়াশোনা, সবেতেই এ শহর জড়িয়ে। আমি যেখানেই থাকি এই শহরের মেয়ে। কলকাতার সঙ্গে সঙ্গে উত্তরবঙ্গেরও বেশ কিছু জায়গা আমার খুব প্রিয়।”