শনিবার ২৭ জুলাই ২০২৪

সম্পূর্ণ খবর

Women's Day Exclusive: নারী দি বস হলেই কি নারীদিবসের সার্থকতা? নাকি লিঙ্গবৈষম্য মুছে সমানে সমানে সম্মান পাওয়ার আর এক নাম নারীদিবস? অকপট লীনা গঙ্গোপাধ্যায় ও জলি চন্দ

শ্যামশ্রী সাহা | ০৮ মার্চ ২০২৪ ১৬ : ৪৫


শ্যামশ্রী সাহা : নারী মানেই হোম মিনিস্টার। সংসারের সব কাজের দায়িত্ব তাদের। সকালে বাচ্চাকে স্কুলে পাঠানো, স্বামীর টিফিন তৈরি, বাড়িতে কী রান্না হবে, শ্বশুর-শাশুড়ির দেখভাল—সব একা হাতে সামলানোর দায় তার। এ কাজের ভাগ হয় না। একুশ শতকেও অনেক নারী এই দায়িত্ব নিয়েই হাসিমুখে জীবন কাটিয়ে দিচ্ছেন। ব্যতিক্রমও আছে। ঘরের চার দেওয়াল ছেড়ে মেয়েদের বেরনোর লড়াইয়ের ইতিহাস বর্তমানেও প্রাসঙ্গিক। সংসার তো বটেই, কর্মক্ষেত্রেও নেতৃত্বে সফল মহিলারা। তবুও কর্মক্ষেত্রে উচ্চপদে পুরুষদের এখনও একচেটিয়া অধিকার। শিক্ষা, রাজনীতি, খেলা, বিনোদন সব ক্ষেত্রেই মহিলাদের উপস্থিতি উজ্জ্বল। তবে এই অধিকার তাদের জয় করে নিতে হয়েছে। দুঃখের বিষয়, প্রগতির পথে চলা নারীকে একুশ শতকেও গার্হস্থ্য হিংসার শিকার হতে হচ্ছে। অ্যাসিড ছুড়ে মারা হচ্ছে, লালসার শিকার হতে হচ্ছে। এখানেও বিভাজন স্পষ্ট। কোথাও নারী সমাজের আয়না, কোথাও লাঞ্ছনার শিকার। তাই প্রতি বছর নারীদিবস একটা প্রশ্নের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দেয়, নারী কি বুঝে নিতে পেরেছে তার অধিকার? একুশ শতকের নারী কতটা স্বাধীন? নারী দিবস উদযাপনের মানেটাই বা কী?

বাড়ুক সচেতনতা

একাধিক ধারাবাহিকের চিত্রনাট্যে সমাজ ও সংসারে নারীর লড়াই, নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা লীনা গঙ্গোপাধ্যাযের লেখায় প্রাণ পেয়েছে। তাঁর আরও একটি পরিচয়, তিনি রাজ্য মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন। লীনাদির কাছে প্রশ্ন ছিল, নারী এখনও সব থেকে বেশি কোন সমস্যার সম্মুখিন হন? তাঁরা কি বুঝে নিতে পেরেছেন তাঁদের অধিকার? নারীদিবসের উদযাপন কীভাবে হওয়া উচিত?

জবাবে লীনার কথা, ‘‘আজ আমি গাড়িতে যাতায়াত করি। কিন্তু একটা সময় বাসে-ট্রামে রাত-বিরেতে বাড়ি ফিরতে হয়েছে। আমাকে বা আমার সহকর্মীদের কোনও রকম অসম্মানের মুখোমুখি হতে হয়নি। এটা নগরজীবনের কথা। বদলে গিয়েছে গ্রামের চিত্রও। প্রত্যেক জেলাতেই এখন উইনার্স টিম আছে। মেয়েদের একটা টিম বাইকে চেপে চারপাশে মনিটরিং করে। বিচ্ছিন্ন ঘটনাও আছে। তার মধ্যে সাইবার ক্রাইম, ইভটিজিংও আছে। তার সংখ্যা হাতেগোনা। পশ্চিমবঙ্গে মেয়েদের প্রতিবাদ করার অধিকার আছে। তাঁরা থানায় গিয়ে অভিযোগ জানাতে পারেন। মহিলা কমিশনে আসতে পারেন। মেয়েরা এখন বিভিন্ন ক্ষেত্রে কাজ করছেন। আবার এটাও সত্যি, এখনও গার্হস্থ্য হিংসার অভিযোগ সবথেকে বেশি আসে মহিলাদের থেকে। তাঁরা এখনও নিজের পরিবারেই সবথেকে বেশি লাঞ্ছনার শিকার হন। সমস্যা হচ্ছে, পরিবারের ভিতরের সমস্যা বাইরে থেকে পুলিশ পাঠিয়ে মেটানো সম্ভব নয়। এর জন্য সচেতন হতে হবে নারীকেই। আশার বিষয়, পরিসংখ্যান অনুযায়ী অন্য রাজ্যের তুলনায় পশ্চিমবঙ্গে এই ধরনের ঘটনা অনেক কম।

আমার গল্পেও তাই বারবার এই সমস্যার কথা তুলে ধরি। একটি মেয়ে যদি বাড়িতেই নিরাপদ না থাকে তা হলে তার জীবনটাই নড়বড়ে হয়ে যায়। সারাদিন কাজ সেরে বাড়িতে ফিরতে হয়। সেখানে যদি তাদের সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়, তা হলে ‘সেফ হোম’ শব্দটার মানে কী? একুশ শতকে অনেক মেয়েই তাঁদের অধিকার বুঝে নিতে পারছেন। অনেকেই এখনও নিজের অধিকার সম্পর্কে সচেতন নন। তাঁরা জানেনই না, কীভাবে অধিকার বুঝে নিতে হয়। অনেকের কাছে বিয়ে একমাত্র অপশন। এটা ঠিক নয়। আগে উপার্জনের কথা ভাবতে হবে। নিজের পায়ে দাঁড়াতে হবে। যতদিন সেটা না বুঝতে পারছে নারী তত দিন নিজের অধিকারও বুঝে নিতে পারবে না। শিক্ষার যেমন কোনও বিকল্প নেই, রোজগারেরও বিকল্প নেই। আমার বরের অনেক রোজগার। আমি কেন কষ্ট করে চাকরি করব— এই মানসিকতা বদলানো উচিত। রোদে-ঝড়ে-জলে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করতে পারলে মেয়েদের আর কোনও বাইরের সুরক্ষার প্রয়োজন হবে না। তাদের ব্যক্তিত্বই তাদের সুরক্ষিত রাখবে। বলতে পারবে, ‘আমি নারী আমি সব পারি’। নারী দিবসের উদযাপন মানে কর্মজীবনের উদযাপন হওয়া উচিত।’’


জলি চন্দ

কেবল চুলের ছাঁদ বদলে একজন মানুষ কতটা নতুন হয়ে উঠতে পারেন, শিখিয়েছেন জলি চন্দ। সকাল থেকে রাত তাঁর বিউটি পার্লার যেন শুটিং ফ্লোর। তারকাদের নিত্য আনাগোনার মাঝেই আসেন সাধারণেরাও। হেয়ার স্টাইল বদলে তারকার ‘মতো’ হয়ে উঠতে।



এত ব্যস্ততার মধ্যেও পিছন ফিরে স্মৃতি রোমন্থন জলির। বললেন, ‘‘ছোটবেলা কেটেছে আমেদাবাদে। গ্র্যাজুয়েশন কমপ্লিট করার আগেই চাকরি করতে শুরু করি। তারপরই হঠাৎ আমার বিয়ে হয়ে যায়। ছোটবেলা থেকেই কিছু করব কারও কাছে হাত পাতব না এই ইচ্ছেটা ছিল। নিজেকে পুরুষদের থেকে কোনও অংশেই কম মনে করতাম না। বিয়ের পর কলকাতায় চলে আসি। চাকরি করতে চাই, এই কথা যখন শ্বশুরবাড়িতে বলেছিলাম, শ্বশুরমশাই বলেছিলেন, ‘‘কলকাতায় মানুষ বাসেট্রামে ঝুলে কীভাবে কাজে যায় তোমার কোনও ধারণা নেই। চাকরি করতে হবে না। বাড়িতে বুটিক খুলতে পার।’’ সেদিন আমার ক্রিয়েটিভিটি বোঝার চেষ্টা কেউ করেনি।

আমার অ্যাম্বিশন আমাকে বসে থাকতে দেয়নি। একদিন শাশুড়িকে পার্লারে নিয়ে গেলাম ফেসিয়াল করাতে। তখনও পার্লার কী জানতাম না। সেদিন ওই পার্লারে বসে কাজ দেখছিলাম। তখনই যাঁরা কাজ করছিলেন তাঁদের কাজের ভুলগুলো আমার চোখে পড়ল। ওই জায়গায় একটাই পার্লার ছিল। তখনই ঠিক করলাম, এই কাজটাই আমাকে করতে হবে। তখন শাহনাজ হুসেনের খুব নাম। কোর্স জয়েন করলাম। দিল্লি চলে গেলাম। একটা গ্যারেজে পেয়িং গেস্ট হিসাবে থাকার জায়গা পেয়েছিলাম। খুব তাড়াতাড়ি কাজ শিখেও গেলাম। ফিরে একটা ছোট ঘরে প্রথম বিউটি পার্লার খুলেছিলাম। একটা চেয়ার, বাড়ির একটা ড্রেসিং টেবল আর সোফা— এই দিয়ে শুরু। এই ইন্টিরিয়ার দেখে আমার প্রথম ক্লায়েন্ট পালিয়ে গিয়েছিল। আর এখন অ্যাপয়েন্টমেন্ট দিতে পারি না।

মহিলারা যদি নিজের অধিকার বুঝে নিতে পারে তা হলে সফল হবেই। এখানে পরিবারের ভূমিকা সব থেকে আগে। প্রত্যেক পরিবারে পুত্র বা কন্যা সন্তানকে সমান অধিকার দেওয়া উচিত। মাকে তার দুই সন্তানকে সমান জায়গা দিতে হবে। সারা পৃথিবীর দৃষ্টিকোণ বদলাতে শুরুটা করতে হবে নিজের ঘর থেকেই।’’




বিশেষ খবর

নানান খবর

Advertise with us

নানান খবর

Eye Care: পরার আগে জেনে নিন কন্ট্যাক্ট লেন্সের খুঁটিনাটি ...

Health Benefits: বয়স কমাতে পারে এই অভ্যাস? কী তথ্য প্রমাণ দিচ্ছেন জনৈক চিকিৎসক?...

Lifestyle: সব কাজ করতেই দেরি হয় আপনার? প্রোক্র্যাসটিনেশনের সমস্যা নয় তো? ...

Health care: কন্ট্যাক্ট লেন্স ব্যবহার করছেন? চোখের ক্ষতি এড়াতে সতর্ক থাকুন, রইল চিকিৎসকের পরামর্শ ...

Child Health: সন্তানের ঘন ঘন অসুস্থ হয়ে পড়া আটকাবেন কোন উপায়ে? কী পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসক? ...

R.Madhaban Weight Loss: বয়স বাড়লে ওজন কমানো চ্যালেঞ্জিং? জানুন, মাত্র ২১ দিনে কীভাবে ওজন কমিয়েছেন ৫৪ বছরের এই অভিনেত...

Skin Care: সুস্বাস্থ্য থেকে উজ্জ্বল ত্বক! ফল পাবেন এই এক ফলেই! ...

Anti Ageing Hacks: বয়সের ছাপ পড়বে না, যদি রোজ অভ্যাস করেন এই ৭ টি কাজ...

Psychological Facts: সফল ও সুখী জীবনের রহস্য! গোপনে রাখুন এই কয়েকটি তথ্য! ...



রবিবার অনলাইন

সোশ্যাল মিডিয়া