সোমবার ২০ অক্টোবর ২০২৫
সম্পূর্ণ খবর
অভিজিৎ দাস | ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৭ : ৫১Abhijit Das
বুড়োশিব দাশগুপ্ত
বাংলাদেশের পর নেপাল। তরুণ প্রজন্মের প্রতিবাদ ক্রমে সহিংস হয়ে উঠল এর ফলে সরকারে পতন হল। পর্যবেক্ষকরা একটি ধাঁচ লক্ষ করেছেন, প্রথমে শ্রীলঙ্কা, তার পর বাংলাদেশ এবং এখন নেপাল- প্রতিবেশী ভারতের জন্য একটি সতর্কবার্তা।
আচমকা ২৬টি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মকে নিষিদ্ধ করার ঘোষণা আগুনে ঘি ঢেলেছিল। যে আগুন ধিকিধিকি করে জ্বলতে শুরু করেছিল ওলি সরকারের ‘দুর্নীতি’তে। সোশ্যাল মিডিয়ার আসক্তি তরুণ প্রজন্মের মধ্যে প্রবল। নেপালের তরুণরাও ব্যতিক্রম নন। সরকারি নিষেধাজ্ঞাকে তাঁরা ব্যক্তি স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ বলে মনে করে সহিংস প্রতিবাদ করতে শুরু করে। ইন্টারনেট পরিষেবা ফিরিয়ে আনতে দেরি করে ফেলেছিল সরকার। ততক্ষণে প্রতিবাদ অন্যদিকে মোড় নিয়ে নিয়েছে। বেশ কিছু বিক্ষোভকারীদের মৃত্যু, সংসদ ভবনে আগুন ধরিয়ে দেওয়া, মন্ত্রীদের বাড়িতে আগুন ধরানো এবং কিছু মন্ত্রীদের মারধর, কোনও কিছুই বাদ যায়নি। আপাতশান্ত নেপালিরা উস্কানিতেই হিংস্র হয়ে ওঠে। এবং অনিবার্য ঘটনাটি ঘটে গেল। সরকারের প্রতি দীর্ঘদিনের অসন্তোষ প্রকাশ্যে এল।
আরও পড়ুন: আমেরিকার বাজারের বিকল্প খুঁজতে হবে ভারতকে
নেপাল সরকার ছিল ক্ষমতাসীন বামপন্থী এবং কংগ্রেসের মধ্যে একটি জোট। প্রথমে কংগ্রেসের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পদত্যাগ করেন যা ইঙ্গিত দেয় যে জোট ভেঙে যাচ্ছে। তারপর অবশেষে চীনপন্থী প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলিকে পদত্যাগ করতে হয়। চীন এখনও পর্যন্ত পুরো ঘটনাটি নিয়ে নীরবতা বজায় রেখেছে। বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রকাশ্যে তাঁর সরকার পতনের জন্য বিরোধীদের প্রতি মার্কিন সমর্থনকে দায়ী করেছিলেন। নেপালে মার্কিন হস্তক্ষেপের সন্দেহ উড়িয়ে দেওয়া যায় না। যদিও পদত্যাগকারী প্রধানমন্ত্রী এমন কোনও দাবি করেননি। চীনের প্রতি ওলির প্রকাশ্য প্রস্তাবে আমেরিকা আসলে অসন্তুষ্ট ছিল। ভারত কড়া নজর রাখছিল। প্রকৃতপক্ষে, ওলি সরকারের পতন তাঁর ভারত সফরের কয়েকদিন আগেই ঘটল।
তবে পরোক্ষভাবে, প্রাক্তন নেপালি প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগের পর অনুতপ্ত হয়েছিলেন যে অযোধ্যায় রাম মন্দিরের সমালোচনা করার জন্য তাঁকে মূল্য দিতে হচ্ছে। তাই এই বিদ্রোহের কারণ হিসেবে ভারত সন্দেহের বাইরে নয়। প্রকৃতপক্ষে, কেপি শর্মা ওলির সম্ভাব্য উত্তরসূরি হিসেবে নেপালের সুপ্রিম কোর্টের একজন মহিলা বিচারপতি সুশীলা কারকি-কে বেছে নিয়েছেন নেপালি ‘জেন জি’-রা। সুশীলার নাম ঘোষণা হওয়ার পরই এক সাক্ষাৎকারে তিনি ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা করেছিলেন।
তবে নেপালের বিদ্রোহে ভারতের উপর বেশ কিছু প্রভাব পড়বে। নেপাল যদি অস্থির থাকে, তাহলে ভারত এবং চীন শাসিত তিব্বতের মধ্যে নেপালের কৌশলগত অবস্থান ভারতের সীমান্তের জন্য উদ্বেগের কারণ হবে। চীনের প্রতি নেপালের ঝোঁকের কারণে ভারক এতদিন সতর্কই ছিল। পরবর্তী সরকার যা করবে তা দক্ষিণ এশিয়ার ভূ-রাজনৈতিক বিন্যাসকেও পরিবর্তন করতে পারে। নেপাল সর্বদা ভ্রমণকারীদের পছন্দের। এই আন্দোলন আটকে পড়া পর্যটকদের জন্য অনেক সমস্যা তৈরি করেছে। কলকাতা বন্দর (বর্তমানে শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি বন্দর নামে পরিচিত) নেপালের সঙ্গে ভারতের বাণিজ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। দীর্ঘস্থায়ী অস্থিরতা নেপালে পণ্য পরিবহনের উপর প্রভাব ফেলবে। পূর্ববর্তী সরকারের চীনের সঙ্গে বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ স্বাক্ষরের ফলে ভারতের সঙ্গে সম্পর্কে টানাপোড়েন দেখা দিয়েছে। নেপাল-ভারত সীমান্ত সর্বদা চোরাচালানের জন্য একটি স্বর্গরাজ্য ছিল। যদিও উদারীকরণের পরে যখন বিদেশী পণ্য, বিশেষ করে ইলেকট্রনিক্স পণ্য আরও অবাধে পাওয়া যেতে শুরু করে তখন অবৈধ বাণিজ্য বন্ধ হয়ে যায়। তবে এটি এখনও অনেক অন্যান্য পণ্যের ক্ষেত্রে অব্যাহত রয়েছে যার উপর নজরদারি প্রয়োজন। একটি নতুন সরকার এবং ভারতের সঙ্গে একটি উন্নত বাণিজ্য চুক্তি ভারত-নেপাল সীমান্ত বাণিজ্যে আরও স্বচ্ছতা আনতে পারে।
ভারতের মাওবাদী শক্তিগুলি প্রায়শই নেপালের সীমান্তের ওপারে একটি নিশ্চিত ঠিকানা খুঁজে পায়। নেপাল ভারতের ‘লাল করিডোরের’ সঙ্গে যুক্ত। ভারতের অভ্যন্তরীণ শান্তির জন্য নেপালে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনা অত্যন্ত জরুরি।
নেপালে বর্তমান গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা মাঝে মধ্যেই রাজতন্ত্রপন্থী শক্তির দ্বারা হুমকির সম্মুখীন হয়। যদিও পূর্ববর্তী রাজপরিবারের সঙ্গে ভারতের সুসম্পর্ক ছিল, তবুও নেপালকে রাজতন্ত্রের দিকে ফিরিয়ে আনা ভারতের পক্ষে অবাঞ্ছিত হবে। নেপালে সামরিক শাসনও ভারতের জন্য কোনও উপকারে আসবে না।

নানান খবর

বিশ্বকাপে হারের হ্যাটট্রিক, জেতা ম্যাচ মাঠে ফেলে শেষ চারের রাস্তা আরও কঠিন হল স্মৃতি মান্ধানাদের

নিরামিষের বদলে আমিষ বিরিয়ানি দেওয়ার অভিযোগ! হোটেল মালিককে গুলি করে খুন, তুমুল উত্তেজনা রাঁচিতে

ভূতদেরও ছুটি মেলে! আসানসোলের হাড়হিম করা ভূত চতুর্দশীর গল্প

জামা ছেঁড়া, রাস্তায় বসে হাউ হাউ করে কান্না, লালু প্রসাদের বাড়ির সামনে আরজেডি নেতার কাণ্ড চমকে দেবে

EXCLUSIVE: বড়পর্দায় ‘পাখিওয়ালা’ হয়ে ফিরছেন ঈশান মজুমদার, জীবনের খাঁচা ভাঙার গল্প বলবে ‘পিঞ্জর’

দীপাবলির মুখে বড়সড় অস্ত্রপাচার রুখল পুলিশ, গ্রেপ্তার ৬৫ বছরের মহিলা, উদ্ধার বিপুল আগ্নেয়াস্ত্র

‘…এই ইন্ডাস্ট্রি আমার জন্য নয়’ বাধ্য হয়ে ছাড়লেন ধারাবাহিক! কান্নায় ভেঙে পড়ে আর কী বললেন তুলিকা বসু?

দেখতে সুস্বাদু মিষ্টি, কিন্তু আগুন জ্বাললেই ম্যাজিক, দীপাবলিতে নয়া চমক ‘মিষ্টি-মোমবাতি’ কলকাতার কোথায় মিলছে জানেন?

জগদ্ধাত্রী আহ্বানে বৃহৎ আলপনার ব্যবস্থা! আবেদন জানানো হলো গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে

ক্ষতিগ্রস্ত সবজি পুনরুদ্ধারে কৃষকদের পাশে কল্যাণী কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা

আর কবে কমবে সোনার দাম? পড়ুুন এইচএসবিসি ব্যাঙ্কের পূর্বাভাস

সিঙাড়ার টাকা দেওয়ার আগেই ছেড়ে দিল ট্রেন, যাত্রীকে টেনেহিঁচড়ে নামিয়ে বেমক্কা মার রেল হকারের

দীপাবলি ও ছটপুজো উপলক্ষে উত্তর পশ্চিম রেলওয়ের বিশেষ ব্যবস্থা, চলবে কত জোড়া বিশেষ ট্রেন

ভারতের কোন শহরে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক সবচেয়ে বেশি? অনেকটাই পিছিয়ে কলকাতা, মুম্বই, দিল্লি বা চেন্নাই!

১৭৬.৫ কিমি বেগে বল স্টার্কের! ইতিহাসের দ্রুততম ডেলিভারিটাই কি রোহিতকে করলেন অজি পেসার?

পৃথিবীতে গাছের জন্ম রয়েছে ওদের হাতে, অবহেলা নয়-যত্নে রাখুন

ভূবনেশ্বর ভয়ঙ্কর! প্রকাশ্য রাস্তায় গণলালসার শিকার নাবালিকা! অটোচালকদের তৎপরতায় উদ্ধার

সল্টলেকে চাঞ্চল্য, রাতের অন্ধকারে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ! গ্রেফতার দুই

বধূর গর্ভে কার সন্তান তা নিয়ে খুনোখুনি প্রেমিক ও স্বামীর মধ্যে! জোড়া খুনে উত্তপ্ত রাজধানী

ঘুমিয়ে ছিল ৪৬ হাজার বছর, এরপরই ‘জীবিত’ প্রত্যাবর্তন, বিজ্ঞানীরা হতবাক

২৫ বার ২৫ জনের সঙ্গে পালিয়ে 'রেকর্ড' গৃহবধূর! 'খুব ঘরোয়া মেয়ে...সবার ঘরেই যায় কাউকে মানা করে না' বিদ্রুপ পাড়াপড়শিদের

ব্যর্থ রো-কো জুটি, ভারতকে সবক শেখাল অস্ট্রেলিয়া, সিরিজে এগিয়ে গেলেন মার্শরা

'মেয়েরা অ-হিন্দুদের বাড়ি গেলে মেরে ঠ্যাং ভেঙে দিন', আজব নিদান প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ প্রজ্ঞা ঠাকুরের