শনিবার ০২ আগস্ট ২০২৫
সম্পূর্ণ খবর
অভিজিৎ দাস | ২৮ জুলাই ২০২৫ ১৭ : ২৪Abhijit Das
শোভেন ব্যানার্জি
জাতিসঙ্ঘ উন্নয়ন কর্মসূচি দ্বারা ২০২৫ সালে প্রকাশিত মানব উন্নয়ন প্রতিবেদনের মানব উন্নয়ন সূচকে ভারতের অবস্থান ১৯৩টি দেশের মধ্যে ১৩০তম স্থানে। মানব উন্নয়ন মান ২০২২ সালে ০.৬৭৬ থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ২০২৩ সালে ০.৬৮৫ হয়েছে। উচ্চ মানব উন্নয়ন সীমার (০.৭০০) কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছে।
"মানব উন্নয়ন সূচকে ভারতের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতির জন্য আমরা অভিনন্দন জানাই, যা ১৩৩ থেকে ১৩০-এ উন্নীত হয়েছে। এই অগ্রগতি মানব উন্নয়নের মূলমাত্রা গুলিতে, বিশেষ করে বিদ্যালয় শিক্ষার গড় বছর এবং মাথা পিছু জাতীয় আয়ের ক্ষেত্রে স্থায়ী উন্নতির প্রতিফলন ঘটায়। সূচকটি শুরু হওয়ার পর থেকে ভারতের গড় আয়ু সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছেছে" বলেছেন ইউএনডিপি ইন্ডিয়ার প্রতিনিধি অ্যাঞ্জেলা লুইজি।
জাতীয় আয়, স্বাস্থ্য, শিক্ষাক্ষেত্রে ভাল ফল করলেও লিঙ্গ অসাম্য এবং লিঙ্গ বৈষম্যের কারণে ভারতের অবস্থান মানব উন্নয়ন সূচকে ৩০.৭% পেয়েছে। পুরুষদের তুলনায় ভারতে নারীরা শ্রমবাজার এবং রাজনৈতিক প্রতিনিধিত্বে পিছিয়ে আছে। (ভারতীয় সংসদে মহিলা প্রতিনিধিত্ব ১৪.৭ থেকে কমে ১৩.৮ হয়েছে)। লিঙ্গ বৈষম্য বলতে মূলত লিঙ্গের উপর ভিত্তি করে ব্যক্তিদের মধ্যে অধিকার, সুযোগ,ক্ষমতা ও সম্পদের ব্যবহারের পার্থক্যকেই বোঝায়। সূদুর অতীতকাল থেকে, পিতৃতান্ত্রিক ভারতীয় সমাজ ব্যবস্থায়, নারীরা সামাজিক-সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে রীতিমতো বৈষম্যের শিকার।
নারী-পুরুষের মধ্যে এই বৈষম্য, কোনওটা লিঙ্গ অনুপাত, কন্যাভ্রুণ হত্যা, নিম্ন সাক্ষরতার হার, নিম্ন স্বাস্থ্য ও পুষ্টি সূচক, মজুরির পার্থক্য, বাড়ি/জমি/সম্পত্তির মালিকানা, এগুলো দ্বারা স্পষ্ট পরিমাপ করা যায়। কিন্তু কিছু বৈষম্য মানসিকতায় মিশে আছে। আমাদের প্রাত্যহিকতায়, যাপিত জীবনে এগুলো এতটাই স্বাভাবিক যে আর আলাদা কোনও অর্থ বহন করে না, যেগুলি কোনও পরিসংখ্যানে প্রকাশ করাও যায় না। পিতৃতন্ত্র নিয়ন্ত্রিত ও পরিচালিত আর্থ সামাজিক সাংস্কৃতিক ব্যবস্থায় সমাজ , ধর্ম, পরিবার, রীতিনীতি, সংস্কৃতিতে লীন হয়ে রয়েছে এই চরম বৈষম্য। ধর্ম, সমাজ, সিনেমা, সাহিত্য, সংস্কৃতির সবক’টি ক্ষেত্রেই, ‘সতীত্ব’, ‘পতিব্রতা’, ‘পতি পরম গুরু’, ‘সংসার সুখের হয় রমণীর গুণে’, ‘লজ্জা নারীর ভূষণ’ এইসব চলতি কথা, মিথ্যা ছলনার আড়ালে ক্ষমতার অসম বন্টন, সম্পদ ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের উপর অসম নিয়ন্ত্রণ, প্রতিপদে পুরুষ নির্ভরতা, সাংসারিক কাজ, পরিশ্রম, এমনকি খাদ্যেরও অসম বণ্টনে প্রতিদিন পারিবারিক বৈষম্যের শিকার নারীরা। নারী জানে, নারী হয়ে জন্মালে অনেক কিছুই মেনে নিতে হয়। ভারতীয় নারী যুগ যুগান্তরের অসহনীয় বঞ্চনার মূর্ত প্রতীক।
আরও পড়ুন: কৃষি এবং গাড়ি শিল্পই কি ভারত-মার্কিন বাণিজ্য চুক্তিতে বাধার সৃষ্টি করছে?
গ্রামীণ ভারতীয় সমাজে ধর্ম, দারিদ্র্য, পণপ্রথা, নারী সুরক্ষা-সহ বিবিধ কারনে বাল্য বিবাহের প্রাদূর্ভাব রয়েছে (২৩. ৩% তথ্য ইউনিসেফ)। বাল্যবিবাহের কূপ্রভাবে অকালে গর্ভবতী হওয়া, প্রসবকালীন জটিলতা, কম ওজনের শিশু জন্ম দেওয়া, জন্মদাত্রী ও নবজাতকের মৃত্যু হারও সেই কারণেই উদ্বেগের। সমাজের প্রচলিত ধারণাই এই যে, কন্যাসন্তানকে পণ দিয়ে বিয়ে দিতে হবে. আর সে পরের ঘরে চলে যাবে। আর সেই কারণেই পড়াশোনায় ইতি দিয়ে উপযুক্ত শারীরিক গঠন সম্পূর্ণ হওয়ার আগেই সন্তান ধারণের বিপদ মা ও শিশু উভয়ের ক্ষেত্রেই অতীব বিপজ্জনক (১৫-১৯ বয়সী গর্ভধারনের হার ৪৩%NFHS5) রূপ নিচ্ছে। রাষ্ট্র আইন করে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়েছে এই কূ-প্রথা নিরসনে ( Dowry Prohibition Act, 1961)। সম্ভবত আর্থিক-সহ আর অন্যান্য সামাজিক কারণে বাল্য বিবাহ নিরসনে কিছু রাজ্যে আকাঙ্খিত ফল লাভ করা যায়নি, যদিও কয়েকটি রাজ্যে উল্লেখযোগ্য সাফল্য পাওয়া গিয়েছে ( The Prohibition of Child Marriage Act, 2006 )।
এই পুরুষতান্ত্রিক সমাজে কোনও গোত্র, বংশধারার উত্তরাধিকার একমাত্র পুত্র সন্তানের, সুতরাং সেই বহু আকাঙ্খিত পুত্র সন্তান কামনায় কন্যাভ্রূণ হত্যার গভীর লজ্জা নিয়ে আমরা বেঁচে আছি (ভারতের ১০০০ পুরুষ প্রতি নারী অনুপাত ৯৩৩)। শিশুকন্যা হত্যা বিরোধী আইন ভারতে ১৮৭০ সালে পাশ হয়েছিল। এই আইন চালু হওয়ার দশ বছরের মধ্যে ৩৩৩টি মামলা রুজু হয়। বিচারে ১৬ জন মায়ের মৃত্যুদন্ড আর ১৩৩ জনের যাবজ্জীবন-সহ অন্যান্য কারাদন্ড হয় (পি. কে. শ্রীবাস্তব, ২০১৪)। বলা যেতে পারে দেড়শো বছরে আমাদের মানসিকতা এক জায়গায় দাঁড়িয়ে, প্রযুক্তির কল্যাণে পরিবর্তন শুধু শিশুকন্যা থেকে কন্যাভ্রুণ। জন্মের আগে থেকেই নারী বৈষম্যের এই নগ্ন প্রকাশ প্রকৃত শিক্ষা ও চেতনার অভাবের অভিব্যক্তি। ভারতের উত্তর অঞ্চলে এই প্রবনতা অনেক বেশি, যেখানে দক্ষিণ প্রান্তে অনেকটাই কম। মূলত শিক্ষা, সামাজিক-সাংস্কৃতিক চেতনা এই ক্ষেত্রে ঢাল হয়ে দাঁড়িয়েছে। রাষ্ট্র এই অন্যায় নিরসনে আইন তৈরী করেছে (PCPNDT Act,1994)। সরকারি প্রচেষ্টায় কিছুটা সাফল্য অবশ্যই এসেছে, কিন্তু দীর্ঘলালিত সামাজিক অসমতার যূপকাষ্ঠে নির্যাতিতা নারীদের মুক্তি বহু আলোকবর্ষ দূরেই থেকেছে।
নারীদের প্রতি পরিবারের মধ্যে বৈষম্য ছাড়াও হিংসা আরও এক কলঙ্কজনক অধ্যায়। অনুচ্চারিতও বটে। সহ্যের মাত্রা অতিক্রম না করলে অধিকাংশ ক্ষেত্রে পুলিশের কাছে অভিযোগ পর্যন্ত হয় না। তা সত্বেও পরিবারের নিকটজন কর্তৃক লাঞ্ছনার সংখ্যা ৩১.৪%( NCRB 22,)। The Protection of Women from Domestic Violence Act, 2005 আইনের মাধ্যমে এই অন্যায় প্রতিরোধ করার চেষ্টা হয়েছে।
মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধ মূলত যৌন হয়রানি, ধর্ষণ প্রতিদিন হয়েই চলেছে। এক্ষেত্রে অপরাধী তালিকায় ধনী, দরিদ্র, শিক্ষিত, অশিক্ষিত, কিশোর থেকে বৃদ্ধ কেউ বাদ নেই। আবার শিকারের তালিকায় কয়েক দিনের শিশুকন্যা থেকে বৃদ্ধা, কারওর নিস্তার নেই। পুরুষতান্ত্রিক সমাজে একটি নারীর প্রতি যৌন নির্যাতন বা ধর্ষণ তো কেবল ক্ষণিকের বিচ্যুতি নয়, এটা এক ধরনের প্রভুসুলভ মানসিকতার উৎকট প্রকাশ। পক্ষান্তরে লালসার শিকার সেই অসহায় নারী বাকি জীবন ধর্ষিতা পরিচয়ে অসন্মানের জীবন যাপন করেন (ভারতে নারীদের বিরুদ্ধে অপরাধ - 445226 NCRB '22)। নারী পাচার নিবারণে কঠোর আইন প্রণয়ন করা হয়েছে (Immortal Traffic (prevention) Act, 1956)। এমনকী উত্তরাধিকার সূত্রে সম্পত্তির অধিকার থেকে বঞ্চিত নারীদের সম্পত্তির অধিকার রাষ্ট্র আইন করে সুনিশ্চিত করেছে (The Hindu Succession Act, 1956)। কর্মক্ষেত্রে নারীদের সমকাজে সমবেতন নিশ্চিত করতে আইন হয়েছে। অসংগঠিত ক্ষেত্রে পুরুষ ও নারীদের বেতনের অসাম্য চরম সত্য (The Equal Remuneration Act. 1976)। মাতৃত্বকালীন নারী অধিকারকে স্বীকৃতি দিয়ে আইন প্রণয়ন করা হয়েছে (The Maternity Benefit Act, 1961)। কর্মক্ষেত্রে যৌনলাঞ্ছনা নিবারণে, নারী সুরক্ষায় (Sexual Harassment of Women at Workplace Act, 2013) আইন পাশ করা হয়েছে।
১৯৪৭ সালে স্বাধীনতা পাওয়া তৃতীয় বিশ্বের একটি দরিদ্র দেশের যাত্রা শুরু হয়েছিল গণতান্ত্রিক, প্রজাতান্ত্রিক, কল্যাণকামী রাষ্ট্র হিসাবে। বহু বিপর্যয়, দুর্যোগ, যুদ্ধের মোকাবিলা করে আজ ভারত পৃথিবীর বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশ। পৃথিবীর বৃহত্তম জনসংখ্যার দেশ। ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার-সহ রাজ্য সরকারগুলো গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক কাঠামোর মধ্যে বৈষম্য দূরীকরণ, সমানাধিকার, নারী ক্ষমতায়ন, নারী সুরক্ষা ও অগ্রগতির লক্ষ্যে বিভিন্ন আইন প্রণয়ন, উন্নয়ন পরিকল্পনা ও কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
ভারতীয় সংবিধান প্রনেতারাও রাষ্ট্র পরিচালনার অভিমুখ নির্ধারণ করে দিয়েছেন। সংবিধানের প্রস্তাবনা থেকে মৌলিক অধিকার, নির্দেশমূলক নীতি, মৌলিক কর্তব্য সর্বত্রই সমানাধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে। এমনকি ভারতীয় সংবিধান, ভারতে নারীর প্রতি দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা অসাম্য, বৈষম্য প্রতিরোধ, নারী ক্ষমতায়ন এবং অগ্রগতির লক্ষ্যে ইতিবাচক বৈষম্য মূলক ব্যবস্থা গ্রহণের ক্ষমতা দেয় (Article 15(3)।
নির্দেশমূলক নীতি অনুচ্ছেদ ৩৯-এ বলা হয়েছে রাষ্ট্র তার নীতিগুলো এমন ভাবে পরিচালনা করবে যেখানে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে প্রত্যেক নাগরিক তার জীবিকার সংস্থান করতে পারবে ; স্ত্রী পুরুষ উভয়েই সমান কাজের জন্য সমান মজুরি পাবে। অনুচ্ছেদ ৪২ বলছে, বেঁচে থাকার মতো মজুরি, কাজ করার মতো সুস্থ পরিবেশ, সন্তানসম্ভবা নারীর জন্য ছুটি দেওয়ার ব্যবস্থার কথা। রাজনৈতিক কার্যক্রমে নারীদের অংশগ্রহণ সুনিশ্চিত করতে পঞ্চায়েত এবং পুরসভায় নূন্যতম এক তৃতীয়াংশ আসন সংরক্ষণ (অনুচ্ছেদ ২৪৩ ডি ৩, ২৪৩ টি ৩), এবং পঞ্চায়েত ও পুরসভার নূন্যতম এক তৃতীয়াংশ প্রধানের পদ সুনিশ্চিত করা হয়েছে (অনুচ্ছেদ ২৪৩ ডি ৪, ২৪৩ টি ৪)। সম্প্রতি নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়নে ভারতের সংসদে, বিধানসভায় এক তৃতীয়াংশ সংরক্ষণ অনুমোদিত হয়েছে( Constitution(106 Amendment Act, 2023 )।
সংবিধানিক নির্দেশনা অনুযায়ী রাষ্ট্র সমানাধিকার নিশ্চিত করতে, সামাজিক অসাম্য, বৈষম্য এবং বিভিন্ন ধরনের হিংসা ও নৃশংসতা মোকাবিলায় বিশেষ করে নারীদের রাষ্ট্রীয় সহায়তা দেওয়ার জন্য বিভিন্ন আইন প্রনয়ণ করেছে। নারীদের বিরুদ্ধে সংগঠিত হওয়া অপরাধগুলোকে বিশেষ ভাবে চিহ্নিত করে কঠোর শাস্তির প্রবিধান করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: কত দিন আর নিরপেক্ষ থাকবে ভারত, এখন সময় অবস্থান স্পষ্ট করার
ভারতীয় ন্যায় সংহিতা ২০২৩ সালে নারীর বিরুদ্ধে অপরাধের জন্য কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করে, ধর্ষণ ও যৌন নির্যাতনের শিকারদের ন্যায় বিচার প্রদানের উপর জোর দেয়। অপরাধী এবং অপরাধের শিকার উভয়ের ক্ষেত্রেই বিভিন্ন যৌন অপরাধকে লিঙ্গ নিরপেক্ষ করা হয়েছে।
নারী অধিকার সংক্রান্ত অভিযোগের ক্ষেত্রে তদন্ত ও পরীক্ষা, বর্তমানে চালু আইনগুলির পর্যালোচনা ও প্রয়োজনীয় সংশোধনী, নারী অধিকার লঙ্ঘনের, নারী অধিকারের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ এলে বা স্বতঃপ্রণোদিত পদক্ষেপ করতে, নারীস্বার্থ বিরোধী, নারীস্বার্থ সহায়ক সদর্থক ভূমিকা পালনে, নারীস্বার্থবাহী নীতি নির্ধারণে সরকারকে পরামর্শ দেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য স্তরে স্বয়ংশাসিত নারী কমিশন (১৯৯২) গঠিত হয়েছে।
অসাম্য, বৈষম্য দুরীকরণ ও নারী সশক্তিকরণে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য স্তরে বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। মহিলা সহায়তা ফোন নম্বর ১৮১, স্বধর গৃহ, উজ্জ্বলা, কর্মরতা মহিলাদের জন্য হোস্টেল নির্মাণ, বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও, মহিলা শক্তি কেন্দ্র, প্রধানমন্ত্রী মাতৃ্ বন্দনা যোজনা, মিশন শক্তি ইত্যাদি শুরু হয়েছে।
আমাদের রাজ্য পশ্চিমবঙ্গ। ভারতের নবজাগরণের এই প্রাণকেন্দ্রে ঐতিহাসিক কারনেই সচেতনতা অনেক বেশি। জাত, ধর্ম, বর্ণ, লিঙ্গ ভেদাভেদ দেশের অন্য অংশগুলোর তুলনায় তুলনামূলক অনেক কম। এই রাজ্যেও নারী সশক্তিকরনে বিভিন্ন জনমুখি উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। রাজ্য সরকার শুরু করেছে, কন্যাশ্রী, রুপশ্রী, শক্তি সদন, সবলা, মুক্তির আলো, সবুজ সাথী, লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের মতো প্রকল্প।
এত আইন, এত উদ্যোগ, এত প্রচেষ্টা যেমন সত্য, এত অসাম্য, এত বৈষম্য, এত অন্যায়, এত হিংসাও সমান সত্য। আমরা প্রথাগত যে শিক্ষা দিয়ে চলেছি, শুধু নাম লিখতে পারলেই সাক্ষর, মুখস্থ করে উগড়ে দিতে পারলেই ডিগ্রি, গোড়ায় গলদ হচ্ছে না তো? আমাদের সন্তানদের আমরা কি শিখিয়েছি স্বাধীনতা আর স্বেচ্ছাচারিতার সীমারেখা? আমরা কি শিখিয়েছি মহিলাদের সন্মান করতে, প্রাপ্য মর্যাদা দিতে? শিশুদের সামাজিকীকরণের প্রাথমিক পাঠ তো পরিবারে। বড় হয়ে ওঠার আঁতুর ঘরে কোন ফাঁক থেকে যাচ্ছে? আমাদের সাধারণ পাঠক্রমে আমরা কখনও অন্তর্ভূক্ত করেছি আমাদের সংবিধানের প্রস্তাবনা থেকে মৌলিক অধিকার, কর্তব্য, নির্দেশমূলক নীতির অধ্যায়গুলিকে? আইন অনুযায়ী ন্যায়-অন্যায় সম্পর্কে ওয়াকিবহাল করতে? যে কোনও সভ্য দেশের আইনের শাসনের মূল ভিত্তি এবং সাংবিধানিক গনতন্ত্রের টিকে থাকার জন্য অপরিহার্য আইনগত সাক্ষরতা। রাষ্ট্রের কেন্দ্র থেকে প্রান্ত সীমায় বসবাসকারী সহনাগরিকদেরকে কি জানিয়েছি তাঁর আইনি অধিকার? আইনি সাক্ষরতা মানুষের মধ্যে মর্যাদার সঙ্গে বেঁচে থাকার শক্তি যোগায়। অধিকার, ন্যায় বিচার, স্বাধীনতা, সাম্যের জন্য রাষ্ট্র প্রদত্ত আইনের সম্পর্কে জ্ঞান থাকা অতীব প্রয়োজন। কারণ, কেবল মাত্র আইনি সাক্ষর মানুষই কোন সভ্য সমাজে তাঁর নিজের, সমাজের, জাতির সামগ্রিক উন্নয়ন, অগ্রগতির পক্ষে, বৈষম্য, অসাম্যের বিপক্ষে সভ্যতার পতাকা বহন করে চলতে পারেন। একবিংশ শতাব্দীতে নারী অসাম্য, বৈষম্যর এই দায় তাই আমার, আপনার সবার লজ্জা।
নানান খবর

দলীপ ট্রফিতে খেলতে দেখা যাবে তারকা পেসারকে, স্ট্যান্ডবাইয়ে বৈভব

দলীপ ট্রফিতে খেলতে দেখা যাবে তারকা পেসারকে, স্ট্যান্ডবাইয়ে বৈভব

দু’দিনে পড়ল ২১ উইকেট, জমে গেল ওভাল টেস্ট

একটা নয়, দুটো নয়, আটটা! গত পনেরো বছরে আটজন পুরুষকে প্রথমে বিয়ে, তারপর তাঁদের থেকে মোটা অঙ্কের অর্থ দাবি, হাতেনাতে গ্রেপ্তার অভিযুক্ত

'এই পুরস্কার ভরসা দিল...' বাংলা ছবি 'ডিপ ফ্রিজ' জাতীয় পুরস্কার পাওয়ায় আর কী বললেন অভিনেতা আবির চট্টোপাধ্যায়?

এই এক বছরে এতগুলো ট্রেন দুর্ঘটনা ভারতে! সত্যিটা প্রকাশ করেই দিল ভারতীয় রেল

বিখ্যাত অমরনাথ যাত্রা স্থগিত! প্রবল বৃষ্টির জেরে ৩ অগাস্ট পর্যন্ত বন্ধ সমস্ত রুট, জানুন...

সিরাজ ও কৃষ্ণার আগুনে বোলিংয়ে ওভাল টেস্টে কামব্যাক করল ভারত

ইস্টবেঙ্গল সম্মান দিতে জানে, জানালেন ক্রীড়ামন্ত্রী, ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ নিয়ে কী বললেন শ্রীজেশ?

আর সুইমিং পুল নয়, এবার রাস্তাতেই সাঁতার! গুরুগ্রামে একদল শিশুর ভিডিও ভাইরাল, কী বলছেন নেটিজেনরা?

ভারতে আসছেন মেসি, এবার ক্রিকেট খেলবেন ধোনি, বিরাটের সঙ্গে?

ইস্টবেঙ্গলের ডার্বি জয়ী দলকে সংবর্ধনা, ‘পরিবর্তনের বছর’ লাল হলুদ মঞ্চে দাঁড়িয়ে হুঙ্কার অস্কারের

কেন স্বামীর বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগে সরব হয়েছেন রিয়া গঙ্গোপাধ্যায়? ফের বিস্ফোরক অভিনেত্রী

মাকে হারিয়ে তৈরি হয়েছিল ‘ডিপ ফ্রিজ’, আজ তাঁর আশীর্বাদেই এল জাতীয় পুরস্কার: অর্জুন দত্ত

মধ্যরাতে উঠল জয় হিন্দ, বন্দেমাতরম ধ্বনি, ১১তম স্বাধীনতা দিবস পালন করলেন ভারতের এই অঞ্চলের বাসিন্দারা

১০ না ২০ টাকা কোন জলের বোতল কিনলে লাভবান হবেন সবচেয়ে বেশি?

ফের বাঙালি পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যু মহারাষ্ট্রে, গলায় ক্ষতের দাগ কীসের, বাড়ছে ধোঁয়াশা

মাটি নয়, শুধু জল পেলেই দিব্যি বাড়বে গাছ! জলে রাখতে পারবেন কোন কোন ইন্ডোর প্ল্যান্ট? রইল সন্ধান

ওভালে ডাকেটের সঙ্গে জোর লাগল বাংলার পেসারের, জরিমানা হবে আকাশদীপের?

'ও যখন জন্মায় তখন থেকেই ভালবাসতাম, অপেক্ষা করছিলাম বড় হওয়ার!' পঁচিশ বছর অপেক্ষা করে অবশেষে নাতনিকে বিয়ে করলেন দাদু, ঘটনায় চোক্ষু চড়কগাছ সবার