
বুধবার ২৮ মে ২০২৫
আজকাল ওয়েব ডেস্ক: আজ বিশ্ব হাঁপানি দিবস। হাঁপানি বা অ্যাজমা হল ফুসফুসের একটি দীর্ঘস্থায়ী বা ক্রনিক রোগ। এই রোগে শ্বাসনালী অত্যন্ত স্পর্শকাতর হয়ে পড়ে এবং বিভিন্ন উত্তেজক যেমন – অ্যালার্জেন (ধুলো, পরাগরেণু), ধোঁয়া, ঠান্ডা বাতাস বা সংক্রমণের সংস্পর্শে এলে ফুলে যায়, সংকুচিত হয় ও এতে প্রদাহ হয়। এর ফলে শ্বাসনালীর পথ সরু হয়ে যায় এবং অতিরিক্ত শ্লেষ্মা বা কফ তৈরি হয়। এই কারণে রোগীর শ্বাস নিতে কষ্ট হয়, বুকে চাপ লাগে বা সাঁ সাঁ শব্দ হয়। কারও কারও ক্ষেত্রে কাশি হয় এবং সামগ্রিকভাবে শ্বাসকষ্টের মতো উপসর্গ দেখা দেয়। হাঁপানি পুরোপুরি নিরাময়যোগ্য না হলেও, সঠিক চিকিৎসা, ঔষধ গ্রহণ এবং উত্তেজক কারণগুলি এড়িয়ে চলার মাধ্যমে এটি নিয়ন্ত্রণে রেখে স্বাভাবিক জীবনযাপন করা সম্ভব।
রাতে কেন হাঁপানি বেড়ে যায়? রাতে বা ভোরের দিকে হাঁপানির উপসর্গ বেড়ে যাওয়া একটি সাধারণ ঘটনা। বিজ্ঞানের ভাষায় একে নকটারনাল অ্যাজমা বলা হয়।
১. সার্কাডিয়ান রিদম বা দৈহিক ছন্দ: শরীরের স্বাভাবিক জৈবিক ঘড়ি অনুসারে রাতে কিছু হরমোনের (যেমন কর্টিসোল ও অ্যাড্রেনালিন, যা শ্বাসনালীকে খোলা রাখতে ও প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে) নিঃসরণ কমে যায়। একই সময়ে, হিস্টামিনের মতো প্রদাহ সৃষ্টিকারী উপাদানগুলির কার্যকারিতা বাড়ে। এছাড়াও, রাতে শ্বাসনালী স্বাভাবিকভাবেই কিছুটা সংকুচিত হয়।
২. অ্যালার্জেনের সংস্পর্শ বৃদ্ধি: শোবার ঘরে, বিশেষ করে বিছানার তোশক, বালিশ, কম্বল বা কার্পেটে ধুলোর মাইট, পোষা প্রাণীর লোম এবং ছত্রাকের মতো অ্যালার্জেন বেশি পরিমাণে থাকে। ঘুমের সময় দীর্ঘক্ষণ এগুলোর সংস্পর্শে থাকার ফলে হাঁপানির উপসর্গ বেড়ে যেতে পারে।
৩. ঠান্ডা বাতাস: রাতের তাপমাত্রা সাধারণত দিনের চেয়ে কম থাকে। ঠান্ডা ও শুষ্ক বাতাস শ্বাসনালীকে আরও স্পর্শকাতর করে তুলতে পারে এবং হাঁপানির টান বাড়াতে পারে।
৪. শোয়ার ভঙ্গি: চিৎ বা উপুড় হয়ে শোয়ার ফলে ফুসফুসের উপর বাড়তি চল পরে, ফলে শ্বাসনালীর পথ আরও সরু হতে পারে। এছাড়া, এই ভঙ্গিতে সাইনাস থেকে নিঃসৃত শ্লেষ্মা গলায় নেমে এসে কাশি বা শ্বাসনালীতে অস্বস্তি তৈরি করতে পারে।
তবে যদি দিনের পর দিন এই সব সমস্যা বাড়তেই থাকে তখন অবশ্যই একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
ফিরে আসছে করোনার অন্ধকার? দেশে কোভিড ঝড়ের মধ্যেই হাড়হিম করা ভবিষ্যদ্বাণী হিমাচলের ‘বাবা ভাঙ্গা’-র
জীবন নিয়ে খেলবেন না, র্যাকেট নিয়ে খেলুন! এ জীবনে হৃদরোগ ছুঁতে পারবে না, কেন জানেন?
রক্ত সংকটের দিন শেষ! কৃত্রিম রক্ত তৈরি করলেন জাপানি বিজ্ঞানীরা, কবে থেকে পাওয়া যাবে?
আমের নামে বিষ খাচ্ছেন না তো? অসময়ে শেষ হবে কিডনি-লিভার, কেনার সময়ে সতর্ক হবেন কোন বিষয়ে?
গলে পচে যাচ্ছে লিভার, জানান দেয় ৫ লক্ষণ! অবহেলা করলেই মারা পড়বেন!
গায়ের রং নীল হয়ে যায়, রোজের ব্যবহৃত এই ধাতুর প্রভাবে, অসাবধান হলেই ঘটে যেতে পারে মারাত্মক বিপদ
প্রোস্টেট ক্যানসারে আক্রান্ত বাইডেন! জানেন প্রস্রাবের ধারা দুর্বল হওয়াও এর লক্ষণ? কীভাবে সময় মতো চিনবেন এই রোগ?
টানা তিনদিন একটি কাজ করলেই নতুন কোষ গজাবে মস্তিষ্কে! কমবে মানসিক চাপ! যুগান্তকারী গবেষণায় নতুন আলো