
বুধবার ২৮ মে ২০২৫
আজকাল ওয়েবডেস্ক: বৈশাখী বঙ্গে এখন গ্রীষ্মের প্রখর দাবদাহ। এই পরিস্থিতি ক্রমেই বাড়ছে হিট স্ট্রোক হওয়ার প্রবণতা। যখন শরীর তার তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে এবং দ্রুত গরম হতে শুরু করে (সাধারণত ১০৪° ফারেনহাইট বা ৪০° সেলসিয়াসের বেশি), তখন হিট স্ট্রোক হয়। এর প্রধান কারণ দীর্ঘক্ষণ ধরে উচ্চ তাপমাত্রা বা আর্দ্রতাপূর্ণ পরিবেশে থাকা এবং অতিরিক্ত শারীরিক পরিশ্রম করা, যার ফলে শরীর পর্যাপ্ত ঘাম তৈরি করতে পারে না এবং ভেতরের তাপ বাইরে বের করতে ব্যর্থ হয়। এই রোগে আক্রান্ত রোগীর দ্রুত চিকিৎসা না করালে মস্তিষ্ক, হৃৎপিণ্ড, কিডনি এবং পেশীর মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে, এমনকি মৃত্যুও ঘটতে পারে। পাশাপাশি হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে এবং শরীরকে ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করতে পারে এমন খাবার খাওয়াও এই সময় অত্যন্ত জরুরি।
১. তরমুজ: তরমুজে প্রচুর পরিমাণে জল (প্রায় ৯২%) এবং প্রয়োজনীয় ইলেক্ট্রোলাইটস থাকে। এটি শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে এবং গরমে শরীর ঠান্ডা রাখতে সহায়ক। এছাড়াও, এতে লাইকোপিন নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা সূর্যের ক্ষতিকারক রশ্মি থেকে ত্বককে রক্ষা করতে পারে।
২. শসা: শসাতেও প্রচুর পরিমাণে জল থাকে এবং এটি শরীরকে ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে। তাছাড়া শসা দামেও কম, খেতে হালকা এবং সহজে হজমযোগ্য, যা গরমে পেটের জন্য আরামদায়ক। শসাতে প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও খনিজ পদার্থও থাকে ।
৩. ডাবের জল: গরমে শরীরের ইলেকট্রোলাইটসের ভারসাম্য বজায় রাখা খুব জরুরি। ডাবের জলে প্রাকৃতিক ইলেক্ট্রোলাইটস (যেমন পটাসিয়াম) এবং অন্যান্য খনিজ পদার্থ থাকে যা শরীরকে দ্রুত রিহাইড্রেট করতে সাহায্য করে এবং হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়।
৪. লেবুর শরবত: রাস্তায় যদি জল তেষ্টা পায়, তবে ঠান্ডা পানীয় না খেয়ে লেবু জল খান। লেবুতে ভিটামিন সি এবং অন্যান্য অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। লেবুর শরবত শুধু শরীরকে সতেজই করে না, এটি শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে। সামান্য লবণ মেশালে লেবুজল শরীরের ইলেকট্রোলাইটসের ভারসাম্য বজায় রাখতে আরও কার্যকর হয়ে ওঠে।
৫. পেঁয়াজ: কাঁচা পেঁয়াজে কিছু যৌগ থাকে যা শরীরকে ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে বলে মনে করা হয়। গ্রীষ্মকালে স্যালাডে বা অন্য খাবারের সঙ্গে কাঁচা পেঁয়াজ খাওয়া হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে সহায়ক। তবে এর তীব্র গন্ধ অনেকের কাছে অপছন্দের হতে পারে।
এই খাবারগুলি সরাসরি হিট স্ট্রোক নিরাময় না করলেও, নিয়মিতভাবে এগুলি খেলে শরীর ঠান্ডা থাকে, ডিহাইড্রেশন এড়ানো যায় এবং ইলেক্ট্রোলাইটসের ভারসাম্য বজায় রাখা সম্ভব, যা হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তবে, হিট স্ট্রোকের লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
ফিরে আসছে করোনার অন্ধকার? দেশে কোভিড ঝড়ের মধ্যেই হাড়হিম করা ভবিষ্যদ্বাণী হিমাচলের ‘বাবা ভাঙ্গা’-র
জীবন নিয়ে খেলবেন না, র্যাকেট নিয়ে খেলুন! এ জীবনে হৃদরোগ ছুঁতে পারবে না, কেন জানেন?
রক্ত সংকটের দিন শেষ! কৃত্রিম রক্ত তৈরি করলেন জাপানি বিজ্ঞানীরা, কবে থেকে পাওয়া যাবে?
আমের নামে বিষ খাচ্ছেন না তো? অসময়ে শেষ হবে কিডনি-লিভার, কেনার সময়ে সতর্ক হবেন কোন বিষয়ে?
গলে পচে যাচ্ছে লিভার, জানান দেয় ৫ লক্ষণ! অবহেলা করলেই মারা পড়বেন!
গায়ের রং নীল হয়ে যায়, রোজের ব্যবহৃত এই ধাতুর প্রভাবে, অসাবধান হলেই ঘটে যেতে পারে মারাত্মক বিপদ
প্রোস্টেট ক্যানসারে আক্রান্ত বাইডেন! জানেন প্রস্রাবের ধারা দুর্বল হওয়াও এর লক্ষণ? কীভাবে সময় মতো চিনবেন এই রোগ?
টানা তিনদিন একটি কাজ করলেই নতুন কোষ গজাবে মস্তিষ্কে! কমবে মানসিক চাপ! যুগান্তকারী গবেষণায় নতুন আলো