শনিবার ১৯ এপ্রিল ২০২৫
সম্পূর্ণ খবর
Sampurna Chakraborty | ১২ এপ্রিল ২০২৫ ২২ : ১৪Pallabi Ghosh
সম্পূর্ণা চক্রবর্তী
মোহনবাগান - ২ (কামিন্স-পেনাল্টি, ম্যাকলারেন)
বেঙ্গালুরু এফসি - ১ (অ্যালবার্তো -আত্মঘাতী)
অবশেষে দ্বিমুকুট। গত ফাইনালের শাপমুক্তি। ভাঙল মিথ। আবার ভারতসেরা। শনিবাসরীয় রাতে যুবভারতীর শ্বাস-প্রশ্বাসে মোহনবাগান। গ্যালারির রং সবুজ মেরুন। ম্যাচের বয়স ৯৬ মিনিট। চিংলেনসানার ভুল জাজমেন্টে বল পান স্টুয়ার্ট। বাকিটা ইতিহাস। গোল করলেন ম্যাকলারেন, মিথ ভাঙল মোহনবাগান। প্রথম দল হিসেবে ঘরের মাঠে আইএসএল চ্যাম্পিয়ন হয়ে ইতিহাসে সবুজ মেরুন। নব্বই মিনিটে একাধিক সুযোগ মিস করেছেন। কিন্তু ওস্তাদের মার শেষ রাতে। স্টুয়ার্টের থেকে বল পেয়ে ডান পায়ের শটে গুরপ্রীতের দুই পায়ের ফাঁক দিয়ে বল গোলে ঠেললেন জেমি ম্যাকলারেন। এক গোলে পিছিয়ে থেকে অতিরিক্ত সময়ে ২-১ গোলে জয় মোহনবাগানের। জেমির গোল হওয়া মাত্র উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়ে ষাট হাজারির স্টেডিয়াম। প্রিয় দলের জয় দেখতে মাঠ ভরিয়েছিল ৫৯,১১২ সমর্থক। এক্সট্রা টাইমে জেমির গোলের পর যুবভারতীর গ্যালারিতে জ্বলল মোবাইল জোনাকি।
ঠিক দু'বছর আগের পুনরাবৃত্তি মনে হয়েছিল। গোয়ার মতো ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। নব্বই মিনিটে ১-১ গোলে ড্র। কিন্তু শেষপর্যন্ত টাইব্রেকার পর্যন্ত গড়ায়নি। এই বয়সেও পুরো ১২০ মিনিট খেলেন সুনীল ছেত্রী।
মুম্বই এফসির পর প্রথম দল হিসেবে দ্বিমুকুট। তাও আবার ইতিহাস বদলে। টুর্নামেন্টের এগারো বছরের ইতিহাসে এর আগে ঘরের মাঠে আইএসএল কাপ চ্যাম্পিয়ন হয়নি কোনও দল। এই তালিকায় রয়েছে এফসি গোয়া, কেরল ব্লাস্টার্স, বেঙ্গালুরু এফসি এবং মোহনবাগান। ২০১৫, ২০১৬, ২০১৭ আইএসএলে যথাক্রমে ঘরের মাঠে ফাইনাল হারে গোয়া, কেরল এবং বেঙ্গালুরু। গতবছর এই গেরো থেকে বেরোতে পারেনি মোহনবাগানও। গত মরশুমে ঘরের মাঠে ফাইনালে মুম্বইয়ের কাছে জঘন্য হার। কিন্তু এবার ইতিহাসে নাম তুলল কলকাতার প্রধান। ঘরের মাঠে ওড়িশা এফসিকে হারিয়ে দুই ম্যাচ বাকি থাকতেই লিগ শিল্ড জয় নিশ্চিত করে মোহনবাগান।
২০২০-২১ মরশুমে ফাইনালে মুম্বই সিটির কাছে হেরে রানার্স হয় মোহনবাগান। পরের বছর হায়দরাবাদের কাছে হেরে সেমিফাইনাল থেকে বিদায়। ২০২২-২৩ মরশুমে বেঙ্গালুরুকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন। গতবছর লিগ শিল্ড জিতলেও ফাইনালে মুম্বইয়ের কাছে হার। এবছর লিগ শিল্ড জেতার পর এল দ্বিমুকুট। জোড়া আইএসএল জয়ে আন্তোনিও লোপেজ হাবাসকে ছুঁয়ে ফেললেন হোসে মোলিনা। ২০১৪ সালে হাবাসের নেতৃত্বে উদ্বোধনী আইএসএল জেতে অ্যাটলেটিকো দ্য কলকাতা। এরপর ২০২০-২১ সালে চ্যাম্পিয়ন হয়। গতবছর হাবাসের হাত ধরেই লিগ শিল্ড জেতে। এবার বর্ষীয়ান কোচকে ছুঁয়ে ফেললেন হোসে মোলিনা। ২০১৬ সালের পর আবার আইএসএল চ্যাম্পিয়ন।
সামনে একা ম্যাকলারেনকে রেখে ৪-২-৩-১ ফরমেশনে দল সাজান মোলিনা। অন্যদিকে সাংবাদিক সম্মেলনে সুনীল ছেত্রীকে পরে নামানোর ইঙ্গিত দিলেও প্রথম একাদশেই রাখেন জেরার্ড জারাগোজা। বাগানের প্রথম একাদশে ফেরেন মনবীর সিং। কিন্তু প্রথম ৪৫ মিনিট হতাশ করে মোলিনার দল। ম্যাচের প্রথম কোয়ার্টার বাদ দিলে বাকিটা বেঙ্গালুরুর। সবুজ মেরুনের মাঝমাঠ অগোছালো। অনিরুদ্ধ থাপা, আপুইয়া প্রথমার্ধে সুবিধা করতে পারেনি। বল পেলেই বিপক্ষের বক্সে পৌঁছে যাচ্ছিলেন সুনীল, উইলিয়ামসরা। বুড়ো হাড়ে যথেষ্ট সক্রিয় সুনীল। বক্সের মাথায় বাগান ডিফেন্ডারদের ব্যস্ত রাখেন। শুরুতে একটা ঝাপটা দেওয়ার চেষ্টা করে বাগান। ম্যাচের ৯ মিনিটে কলকাতার প্রধানের প্রথম সুযোগ। ম্যাকলারেনের পাসে পা ছোঁয়াতে পারেনি কামিন্স। তার মিনিট দশেকের মধ্যে আরও একটি হাফ চান্স। মনবীরের ক্রসে ম্যাকলারেন পা ছোঁয়ানোর আগেই তালুবন্দি করেন গুরপ্রীত। এই দুটো ছাড়া প্রথম ৪৫ মিনিটে পুরোপুরি ব্যাকফুটে মোহনবাগান। মাঝমাঠে কোনও বাঁধুনি ছিল না। থাপা পুরো অফকালার। বরং প্রথমার্ধে গোলের দুটো নিশ্চিত সুযোগ পায় বেঙ্গালুরু। ম্যাচের ১৯ মিনিটে নোগুয়েরার কর্নার থেকে সুনীলের হেড গোলের মুখে শুভাশিসের বুকে লাগে। এডগারের ফিরতি হেড তালুবন্দি করেন বিশাল। তার পাঁচ মিনিটের মধ্যে আবার সুযোগ। নামগিয়াল ভুটিয়ার বাঁচান বিশাল। প্রথমার্ধ গোলশূন্য শেষ হয়। কোনও গোল না হলেও ম্যাচে গতি ছিল।
দ্বিতীয়ার্ধ ঘটনাবহুল। প্রথম মিনিটেই বেঙ্গালুরুকে এগিয়ে দেওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন সুনীল। কিন্তু তাঁর শট বাঁচান বিশাল। পরের মুহূর্তে কাউন্টার অ্যাটাক থেকে গোল করতে পারত বাগানও। কামিন্সের শট হেড করে নামিয়ে দেন মনবীর। বাইরে মারেন ম্যাকলারেন। তার দু'মিনিটের মধ্যেই মোহনবাগানের ভুলে এগিয়ে যায় বেঙ্গালুরু। রায়ান উইলিয়ামসের ক্রস ক্লিয়ার করতে গিয়ে বাঁ পায়ের শটে গোলে ঢুকিয়ে দেন অ্যালবার্তো রডরিগেজ। এটাই ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট। তারপরই জেগে ওঠে বাগান। আক্রমণ বাড়ে। তার আগে পর্যন্ত খেলা দেখে মনে হয়নি মোলিনার দলের দ্বিমুকুট জয়ের হাতছানি রয়েছে। তবে পিছিয়ে পড়ার পর ম্যাচে ফেরে বাগান। আশিক কুরুনিয়ন, সাহাল আব্দুল সামাদ পরিবর্ত হিসেবে নামার পর আক্রমণে ঝাঁঝ বাড়ে। ৫৭ মিনিটে শুভাশিসের পাস থেকে কামিন্সের শট বাঁচান গুরপ্রীত। যেভাবে আক্রমণ বাড়ায় বাগান, সমতা ফেরা সময়ের অপেক্ষা ছিল। পুরোপুরি গুটিয়ে যায় জারাগোজার দল। ম্যাচের ৭০ মিনিটে কামিন্সের পাস থেকে ম্যাকলারেনের শট চিংলেনসানার হাতে লাগে। হাত শরীরের বাইরে থাকায় পেনাল্টি দিতে দ্বিধা করেননি রেফারি সেনথিল নাথান। স্পট কিক থেকে গোল করেন কামিন্স। তবে শেষ মিনিটে যা সুযোগ পেয়েছিলেন ম্যাকলারেন, অনায়াসেই নব্বই মিনিটে খেলার ফয়সালা হতেই পারত। সেই প্রায়শ্চিত্ত করেন অতিরিক্ত সময়। শুভাশিসকে তুলে দীপক টাংরিকে নামিয়ে ৩-৫-২ ফরমেশনে চলে যান মোলিনা। বাকিটা ইতিহাস।
নানান খবর
নানান খবর

'হয় ওর ইগো আছে, বা সিনিয়রদের থেকে পরামর্শ নিতে লজ্জা পায়', পাকিস্তানের প্রাক্তন অধিনায়কের নিশানায় বাবর

ভারতসেরা ইস্টবেঙ্গলের মেয়েরা, পুরস্কার তুলে দেওয়া হল ক্রীড়ামন্ত্রীর হাতে

সরাসরি সুপার কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে মোহনবাগান, বেড়ে গেল ডার্বির সম্ভাবনা

ভারতে অনুষ্ঠিত এই মেগা ইভেন্টের যোগ্যতা অর্জন করল পাকিস্তান, কোথায় হবে ম্যাচ?

অসুস্থ ফুটবলার শুভর পাশে ময়দান, সাহায্যের হাত বাড়ালেন সৌরভও

নায়ার শুধুই বলির পাঁঠা, ভারতীয় দলে অন্তর্দ্বন্দ্বের গন্ধ

বৃষ্টিতে ভেস্তে গেল ম্যাচ, চন্দননগরে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে হাজির সৌরভ

লিভারপুলই শেষ কথা, সাত বছর পূর্ণ হওয়ার দিনেই চুক্তি বাড়ালেন ভ্যান ডাইক, কতদিন থাকছেন ক্লাবে?

রোনাল্ডো, বেঞ্জিমা নয়, প্রত্যাবর্তনের ম্যাচে রিয়ালের রক্ষাকর্তা হতে পারতেন একজনই, জানেন তাঁর নাম?

রিয়াল পর্বের অবসান? আর্সেনালের কাছে হারের অ্যান্সেলত্তির ভবিষ্যৎ কী? জবাব দিলেন কার্লো নিজেই

এবারের আইপিএলে প্রথম সুপার ওভার, রক্তের গতি বাড়িয়ে দেওয়া ম্যাচে রাজস্থানকে হারাল দিল্লি

টেস্টে রোহিতের ভবিষ্যৎ কী? আইপিএলের মধ্যেই তাঁকে নিয়ে জল্পনা দূর করলেন হিটম্যান

রহস্য মৃত্যু ফুটবলারের, এগারো তলা থেকে পড়ে প্রাণ হারালেন গ্যাবন জাতীয় দলের স্ট্রাইকার

কেকেআর-পাঞ্জাব ম্যাচে অদ্ভুত ঘটনা, ভেঙ্কটেশ আইয়ার নিলেন এক রান, স্কোরবোর্ডে যোগ হল পাঁচ রান, কিন্তু কেন?

একই দলের হয়ে এবার খেলবেন মেসি ও রোনাল্ডো, কোন ক্লাবের জার্সিতে দেখা যাবে দুই মহাতারকাকে?