বিদেশ | কাঁধে চাপিয়ে মহিলাদের নিয়ে যেতে হবে পাহাড়ের উপর, আয় বার্ষিক ৩৬ লক্ষ টাকা! করবেন না কি?

AD | ২১ মার্চ ২০২৫ ১৮ : ২৪Abhijit Das

আজকাল ওয়েবডেস্ক: আপনি যদি প্রয়াত অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের কেদারনাথ সিনেমাটি দেখে থাকেন, তাহলে আপনার হয়তো একজন কুলি হিসেবে তাঁর ভূমিকার কথা মনে থাকবে। এই কুলিরা বৃদ্ধ, শিশু এবং মহিলাদের পিঠে করে পাহাড়ে ওঠার কাজে সহায়তা করে এবং এই প্রক্রিয়ায় অর্থ উপার্জন করে। সম্প্রতি, চীনের এক ব্যক্তি জানিয়েছেন, তিনি দিনে দু'বার পাহাড়ে ওঠার এই কাজটি করে বার্ষিক ৩৬ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয় করেন।

নিউ ইয়র্ক পোস্টের এক প্রতিবেদন অনুসারে, ২৬ বছর বয়সী জিয়াও চেন চীনের শানডং প্রদেশের মাউন্ট তাই-তে কাজ করেন। তিনি পর্যটকদের পাহাড়ে উঠতে সাহায্য করেন। মহিলাদের তাঁর পিঠে চাপিয়ে পাহাড়ের চূড়ায় অবস্থিত একটি পর্যটনকেন্দ্রে নিয়ে যান। পর্যটনকেন্দ্রটি ৫০২৯ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান। তাঁর বেশিরভাগ গ্রাহকই যাত্রার শেষ একহাজার ধাপের জন্য তাঁর সাহায্য চান।

প্রথমে, চেন তাঁর গ্রাহকদের হাত ধরে সাহায্য করেন। যখন তাঁরা ক্লান্ত হয়ে পড়েন, তখন তিনি তাঁদের কাঁধে চাপিয়ে সিঁড়ি বেয়ে উপরে ওঠেন। এই কাজ করে চেন প্রায় ৪২ হাজার মার্কিন ডলার আয় করেন। যা ৩৬ লক্ষ টাকারও বেশি। তিনি দিনে দুটবার পাহাড়ে আরোহণ করেন। দিনের কাজের জন্য সাত হাজার টাকা এবং রাতের কাজের জন্য ৪৬০০ টাকা পর্যন্ত নিয়ে থাকেন।

কপাল ভাল থাকলে চেন কোনও কোনও মাসে সাড়ে পাঁচ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয় করেন। শেষ হাজার সিঁড়ি বেয়ে উঠতে তাঁর প্রায় আধ ঘণ্টা সময় লাগে। তাঁর পরিষেবার চাহিদা বেশি থাকায়, চেন তাঁকে সহায়তা করার জন্য সদস্য নিয়োগ করা শুরু করেছেন। ক্রীড়া স্নাতক চেন সাধারণত ২৫ থেকে ৪০ বছর বয়সী মহিলাদের এই পরিষেবা দিয়ে থাকেন।

Porter China UNESCO Job

আগের খবর

আর মাত্র ৩৫ বছর, বিশ্বের বৃহত্তম ধর্ম হবে ইসলাম, কী হবে খ্রিষ্টান ও হিন্দুদের অবস্থা?

পরের খবর

বৃদ্ধা মহিলার ফোনে 'যৌনগন্ধী' মেসেজ! এআই-এর কীর্তিতে শোরগোল