Soma Majumdar | | Editor: শ্যামশ্রী সাহা ২১ মার্চ ২০২৫ ১৪ : ৪৫Soma Majumder

আজকাল ওয়েবডেস্ক: শরীরের অপরিহার্য পুষ্টি উপাদান প্রোটিন। পেশি শক্তিশালী করা থেকে ওজন নিয়ন্ত্রণ, সার্বিক সুস্থতার জন্য প্রোটিন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার রাখা প্রয়োজন। এতে যেমন দীর্ঘ সময় পেট ভর্তি থাকে, তেমনই বারে বারে খাওয়ার প্রবণতাও কমে যায়।

দৈনিক কতটা প্রোটিন খাওয়া উচিত তা নির্ভর করে কোনও ব্যক্তির ওজন, উচ্চতা, শারীরিক পরিস্থিতি, বয়সের উপর। কারণ নিয়ম না মেনে প্রোটিন খেলে হিতে বিপরীতও হতে পারে। হিসেব অনুযায়ী, একজন সুস্থ ও স্বাভাবিক ওজনের প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ রোজ ৫০-৬০ গ্রাম প্রোটিন খাওয়া উচিত। অন্যদিকে, মহিলাদের প্রোটিন থেকে হবে ৭০-৮০ গ্রাম। নিয়মিত যাঁরা শরীরচর্চা করেন কিংবা শারীরিক দুর্বলতা রয়েছে তাঁদের সঠিক পরিমাণে প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। আবার অন্তঃসত্ত্বা কিংবা সন্তানকে স্তন্যপান করালে বেশি পরিমাণে প্রোটিন খাওয়া জরুরি।

গবেষণা বলছে, অতিরিক্ত প্রোটিন জাতীয় খাবার খেলে কিডনি বা বৃক্কের সমস্যা হতে পারে। আসলে কিডনি আমাদের শরীরে ফিল্টারের কাজ করে। বেশি প্রোটিন খেলে অ্যামোনিয়া, ইউরিয়ার পরিমাণ বেড়ে যায়। তা ফিল্টার করতে চাপ পড়ে কিডনির উপর। বেশি প্রোটিন জাতীয় খাবার শরীরে ডিহাইড্রেট করতে পারে। কারণ প্রোটিন জাতীয় খাবার হজম করতে বেশি জলের দরকার পড়ে। তাই এই ধরনের খাবার খেলে বেশি করে জল খাওয়া প্রয়োজন। না হলে ডিহাইড্রেটের সমস্যা হতে পারে। অতিরিক্ত প্রোটিন খেলে হাড়ের স্বাস্থ্য দুর্বল হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এছাড়াও দেখা দিতে পারে হজমের সমস্যা।

প্রোটিন হার্টের স্বাস্থ্য ভাল রাখে। এটি পেশি গঠনে সাহায্য করে। তবে রোজকার খাবারের মধ্যে ২২ শতাংশের বেশি প্রোটিন থাকা ঠিক নয়‌। এতে হার্টেরই বিপদ হতে পারে। গবেষকরা ব্যাখ্যা করেছেন, আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার কিছু কোষও প্রোটিন দিয়ে তৈরি। ২২ শতাংশের বেশি মাত্রায় প্রোটিন শরীরে গেলে সেই কোশগুলি সক্রিয় হয়ে ওঠে। তাদের অতিসক্রিয়তার কারণে হার্টের রোগ হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে।