শুক্রবার ২২ নভেম্বর ২০২৪
সম্পূর্ণ খবর
Riya Patra | ১৭ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৪ : ৩৮Riya Patra
মিল্টন সেন,হুগলী: রক্তদান শিবিরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে তীব্র কটাক্ষ করলেন রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কুনাল ঘোষ। রবিবার হুগলী চুঁচুড়া পুরসভার ২৯ নম্বর ওয়ার্ডে প্রিয়দর্শিনী ভবনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে কুণাল ঘোষ বলেছেন, যে কোনও রাজ্যে দুষ্কৃতীরা বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটালে বিজেপি নেতারা রাজনীতি করতে আসেন। কোটি কোটি টাকা খরচ করে সখের নতুন সংসদ ভবন তৈরি করেছেন। অথচ সেখানে জঙ্গি কায়দায় হামলা হবে, আবার ঘটনার কেউ কোনও প্রতিবাদ করতে পারবে না। এটা কোনও কাজের কথা নয়। মহুয়া মৈত্র প্রশ্নের পাসওয়ার্ড দিয়েছে বলে তাঁকে বহিষ্কার করা হল, অথচ যে বিজেপি সাংসদ সই করে দুষ্কৃতীদের পাশ ইসু করলেন তাঁকে কেন বহিষ্কার করা হবে না? অমিত শাহ এখনও চেয়ারে বসে আছেন, একই নাটক করছেন প্রধানমন্ত্রী। পুলওয়ামা কী কারণে ঘটেছিল? কাদের ব্যর্থতা আজও জানা যায়নি। একের পর এক সর্বনাশা ঘটনা ঘটাবেন তারপর নাটক করবেন। প্রধানমন্ত্রী নাটক করছেন। তাঁর বক্তৃতায় কোনও অপারেটিভ পার্ট নেই। কেন নিরাপত্তার এই বিপর্যয় হল
? তার বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়ার কথা নেই। হোম মিনিস্ট্রি লাগাতার ফেল করে যাচ্ছে, তার বিরুদ্ধে কোনও কথা নেই। বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ প্রসঙ্গে কুনাল বলেন, উনি যে বলছেন যারা সংসদে ঢুকেছিল তারা ছোটবেলায় কোথায় থাকত, কী করত? সেটা কথা নাকি, বিজেপি সংসদের পাশ নিয়ে ঢুকল, সেটাই তো বড় কথা। সে যদি অন্য কোন দলের সঙ্গে কারো ছবি থেকে থাকে তার জীবনী শুনে আমরা কি করব। তিনি আরও প্রশ্ন করেন, "আজ যদি শুভেন্দু পার্লামেন্ট থেকে ঝাঁপ দেয় মানসিক হতাশায়, তাহলে তাকে কি তৃণমূলের নেতা বলবেন নাকি বিজেপির নেতা, কী বলবেন দিলীপ ঘোষ? এটা পরিষ্কার নজর ঘোরানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। "বারুইপুরে তৃণমূল কর্মী খুনের ঘটনায় কুণাল বলেন, "তৃণমূলের ওপর একটা অ্যাটাক হচ্ছে, বিষয়টা স্থানীয় পুলিশ দেখছে।" মমতা অভিষেকের দিল্লি সফর প্রসঙ্গে তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য, দিল্লিতে দুটো ঘোষিত কাজ রয়েছে। একটা হল ১০০ দিনের কাজ সহ বকেয়া টাকার দাবী জানানো। মমতা ব্যানার্জি বলেছেন অভিষেক ব্যানার্জির নেতৃত্বে আন্দোলন হয়েছে। তাই এটা ঘোষিত কর্মসূচি।আমাদের টাকা কেন দেওয়া হবে না, এটা তো রাজনীতি হচ্ছে। দ্বিতীয়ত, ইন্ডিয়া জোটের বৈঠক রয়েছে। তিন রাজ্যে হারের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে কংগ্রেস যদি কংগ্রেস স্পিরিটটাকে অটুট রেখে যদি বৈঠকটা করে এবং মেকানিজমটা তৈরি করে, তাহলে লোকসভায় বিজেপির হার নিশ্চিত। রাহুল গান্ধীর বেকারত্ব বক্তব্য প্রসঙ্গে কুনাল বলেছেন, "প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন বছরে দুই কোটি বেকারে চাকরি দেব, অথচ দশ বছরে কুড়ি কোটি বেকার বাড়িয়েছেন। মন্দির হচ্ছে ঐতিহ্যশালী বিষয় আগেও ছিল, আগামী দিনেও থাকবে। কেন্দ্রীয় সরকারের কাজ মন্দির মসজিদ গির্জা তৈরি নয়। রুটি কাপড়া ওর মকান সুনিশ্চিত করা, দেশের মানুষের জন্য করা, দেশের সুরক্ষা, দেশবাসীকে সামাজিক সুরক্ষা দেওয়ার ক্ষেত্রে বিজেপি ব্যার্থ। সেই কারণেই ধর্মীয় উন্মাদনা সামনে আনতে চাইছে। ভারতবর্ষের রাজ্য ওয়ারী যা হিসেবে রয়েছে যদি মমতা ব্যানার্জি ও সব বর্ষীয়ান নেতৃত্বকে সামনে রেখে ইন্ডিয়া জোট হয় বিজেপি ১০০ ছাড়াবে না। দিনের শেষে দেখা যাবে মমতা ব্যানার্জির নেতৃত্বে অভিষেক ব্যানার্জির সেনাপতিত্বে এক এবং অভিন্ন তৃণমূল লড়ছে।"
ছবি পার্থ রাহা।