রবিবার ২০ এপ্রিল ২০২৫
সম্পূর্ণ খবর
Sourav Goswami | ০২ মার্চ ২০২৫ ০০ : ১০Sourav Goswami
আজকাল ওয়েবডেস্ক: কলকাতা, একসময়ের পূর্ব ভারতের ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, বর্তমানে দেশের অন্যতম প্রধান আইটি চাকরির কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। আইটি খাতে চলমান প্রসার এবং বিভিন্ন বহুজাতিক সংস্থার বিনিয়োগের কারণে শহরটি এখন হাজার হাজার আইটি পেশাদারের জন্য অন্যতম গন্তব্য হয়ে উঠেছে।
কলকাতার আইটি পার্কগুলিতে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন চাকরির সুযোগ তৈরি হচ্ছে। এই শহরে মূলত ডাটা সায়েন্স, ক্লাউড কম্পিউটিং, এবং সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্টের মতো হট টেকনোলজির ওপর ভিত্তি করে প্রচুর চাকরির সুযোগ তৈরি হয়েছে।
শহরের প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছেন দেশ-বিদেশের পেশাদাররা
কলকাতার আইটি খাতে চাকরির জন্য শুধু বাংলার তরুণরাই নন, পশ্চিমবঙ্গের বাইরের রাজ্যগুলি থেকেও প্রচুর মানুষ আসছেন। দক্ষিণ ভারত, বিশেষ করে বেঙ্গালুরু, হায়দ্রাবাদ, এবং চেন্নাই থেকে অনেক পেশাদার কলকাতায় কাজের সুযোগ খুঁজছেন। শুধু তাই নয়, দিল্লি ও মুম্বাই থেকেও অভিজ্ঞ আইটি কর্মীরা এখন কলকাতার সম্ভাবনাকে গুরুত্ব দিচ্ছেন। কলকাতার তুলনামূলকভাবে কম জীবনযাত্রার খরচ, উন্নত পরিবহন ব্যবস্থা এবং নানাবিধ সামাজিক সুযোগ-সুবিধা, অনেক পেশাদারকে এই শহরে টানছে।
কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানগুলির প্রসার
এই শহরের সল্টলেক, নিউটাউন, এবং রাজারহাটের মতো এলাকাগুলিতে একের পর এক আইটি কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান তৈরি হচ্ছে। বিশেষ করে টিসিএস, উইপ্রো, আইবিএম, কগনিজ্যান্ট সহ বিভিন্ন বড় কর্পোরেট কোম্পানির কলকাতায় বড় বড় ক্যাম্পাস এবং অফিস রয়েছে। স্থানীয় ট্যালেন্টদের সঙ্গে কাজ করতে গ্লোবাল কোম্পানিগুলোও শহরে বিনিয়োগ করছে। সম্প্রতি সংবাদ মাধ্যম বলছে কলকাতা ক্রমশ চাকরির কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হচ্ছে। ওড়িশা, আসাম, বিহার এবং উত্তর প্রদেশ থেকে কলকাতায় কাজ করতে আসা মানুষের সং্খ্যা ক্রমশ বাড়ছে।
কলকাতার বুকে নতুন নতুন তৈরি হচ্ছে ঝাঁ চকচকে অফিস
২০০৩ সালের পর ২০১২ সালে পশ্চিমবঙ্গে নতুন করে তথ্য প্রযুক্তি আইন সংশোধন করা হয়। ইলেকট্রনিক সিটি তৈরি করার পরকল্পনা করা হয় সেক্টর ফাইভকে। এরপরে ২০১৩ সাল থেকে আইটি সেক্টরগুলি পশ্চিমবঙ্গে বাসা বাঁধতে শুরু করে। বর্তমানে ২০২৫ সালে দাঁড়িয়ে তা কতটা কার্যকর হল? পরিকাঠামোগতভাবে গ্রেড-এ বিল্ডিং, অর্থাৎ সমস্ত আন্তর্জাতিক মানের সুযোগ সুবিধা উপলব্ধ বিল্ডিং না থাকলে আন্তর্জাতিক সংস্থা আসবে না। স্বল্প কথায় বলা যায় কম খরচে বেশি মুনাফা। এক্ষেত্রে কলকাতার গ্রেড-এ পরিকাঠামো যত উন্নত হয়েছে তত আন্তর্জাতিক সংস্থার আসা বেড়েছে। অন্যদিকে মেধার অভাবও এখানে নেই। কারণ এখানকার মেধা বেঙ্গালুরু, হায়দ্রাবাদে অনায়াসেই কাজ করতে যাচ্ছে। আগামী দিনে এদের বাইরে যেতে না হয় তার জন্য এখন থেকেই উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। শহরে একের পর এক গ্রেড-এ বিল্ডিং তৈরি হচ্ছে। রিপোর্ট বলছে ২০২৩-২৪ সালে ১.৭ মিলিয়ন বর্গফুটের অফিস স্পেস বিক্রি হয়েছে কলকাতায়। ২০২৫ সালে তা ২ মিলিয়নে পৌঁছাতে পারে বলে অনুমান। ২০১৩ সালের পর থেকেই এই বৃদ্ধি উল্লেখযোগ্য। আগামী কয়েক বছরের মধ্যে ১০,০০০ কোটি টাকা বাংলায় বিনিয়োগ করতে আগ্রহ দেখিয়েছে রিয়াল এস্টেট সংস্থা মার্লিন।
এইসব কিছুই আরো অনেক আগেই হওয়া উচিত ছিল কিন্তু যথাযথ আইটি নীতি নিতে বিলম্বিত হওয়ায় এই অগ্রগতি থমকে যায়। আরেকটি প্রতিবন্ধকতা ছিল 'বনধ' সংস্কৃতি। আইবিএম-এর মতো সংস্থাকে এই বনধ সংস্কৃতির জন্য কলকাতার অফিসে ঝাঁপি ফেলতে হয়েছিল। বর্তমানে সেই সংস্কৃতি অনেকটাই কমেছে যার প্রভাব দেখা যাচ্ছে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগের বৃদ্ধি দেখে। আর সেই জন্যই হয়তো কলকাতা এই মুহূর্তে শুধুমাত্র কল সেন্টারের ওপর নির্ভরশীল নয়। এই মুহূর্তে কলকাতায় যেসব সংস্থা এসছে তাদের বেশিরভাগই রিসার্চ এ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের কাজ করছে। এই চাহিদা আগামী দিনে আরও বাড়বে বলেই মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা।
ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা
কলকাতায় আইটি খাতের প্রসার অব্যাহত রয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, আগামী কয়েক বছরে শহরটি আরও বড় পরিসরে আইটি চাকরির কেন্দ্র হয়ে উঠবে। তরুণদের জন্য এটি অত্যন্ত উৎসাহজনক খবর, যারা চাকরির বাজারে নতুন সুযোগ খুঁজছেন। আসলে বিষয়টা হচ্ছে যে ২০১৩ সালের পরে যে নতুন আইটি নীতি গৃহীত হয়েছে সেটা দেখে কোনো আন্তর্জাতিক সংস্থা চট করে বিশ্বাস করতে চাইছে না পশ্চিমবাংলা তাদের শিল্পনীতি এতটাই উন্নত করে ফেলতে পেরেছে। কারণ ২০০৩ সালের আইটি নীতির পরে বেশকিছু আইটি সংস্থা এলেও কর্মনাশা বনধ তাদের ব্যবসা গুটিয়ে চলে যেতে বাধ্য করে। বর্তমানে যে তথ্য পাওয়া যাচ্ছে তাতে স্পষ্ট যে বাংলায় এই মুহূর্তে এই ধরণের কর্মনাশা দিনের সং্খ্যা একেবারে শূন্য। ফলে, ২০১৩ সালের পর যেসব সংস্থা এসছে তারা কিন্তু জল মেপেই এসছে এবং বর্তমানে আরও বিনিয়োগ করতে উদ্যোগী। অতীতের শিল্প বিরোধী 'ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও' ভাবমূর্তি থেকে শিল্প বান্ধব ভূমিকা নিলে নতুন বিনিয়োগের ক্ষেত্র আরো সম্প্রসারিত হবে। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যবাসীকে নিজেদেরও আধুনিক শিক্ষায় নিজেদের দক্ষ করতে হবে আইটি ক্ষেত্রে কাজের জন্য। রাজ্য সরকারকেও নিশ্চিত করতে হবে কর্মনাশা বনধ একেবারে হ্রাস করে কর্মসংস্কৃতির পরিবেশ সৃষ্টি করার ক্ষেত্রে। যেসমস্ত আন্তর্জাতিক সংস্থা কলকাতার দিকে মুখিয়ে আছে তাদের আস্থা অর্জন করতে হবে যাতে আগামী দিনে কর্মনাশা দিনের সম্মুখীন তাদের না হতে হয়।
নানান খবর
নানান খবর

ভালবাসার নিজস্ব সময় এবং লয় আছে, দিলীপ ঘোষকে শুভেচ্ছা জানিয়ে পোস্ট অভিষেকের

'শুধু মর্নিংওয়াক করলে সারাজীবনেও ভালবাসা হবে না', বিয়ের পরের দিনই স্বমহিমায় দিলীপ

দিলীপ ঘোষের প্রেম, বিয়ে আর ‘এন্ট্রি ফি’! ইকো পার্কে মর্নিং ওয়াক করতে গেলে কত খসাতে হয় জানেন?

প্রতিভার প্রকাশ, চিত্র শিল্পীদের উৎসাহিত করতে গ্যালারি গোল্ড-এ বিশেষ প্রদর্শনী

প্রথম স্ত্রীর অনুমতিতে বিয়ে করেছিলেন বান্ধবীকে, অরুণলাল দিলীপকে বলছেন 'তোয়াক্কা নয়'

‘আমাদের ডাল-ভাত বলেছিলেন, এবার ওঁরও ডাল জুটল’, দিলীপ বিয়েতে শুভেচ্ছা বৈশাখীর

রাজনৈতিক মতাদর্শকে সরিয়ে রেখে সৌজন্যের নজির, দিলীপ ঘোষকে শুভেচ্ছাবার্তা মুখ্যমন্ত্রীর

কাজের ঢালাও প্রশংসা, কলকাতায় নতুন প্রজন্মের ক্যাডেটদের সংবর্ধনা দিলেন এনসিসি-র ডিরেক্টর জেনারেল

বিয়ে বাড়ি থেকে ফেরার পথে লেদার কমপ্লেক্স এলাকায় বাইক দুর্ঘটনা, মৃত্যু যুবকের

শহর কলকাতায় ফের অস্বাভাবিক মৃত্যু, সরশুনায় ঝুলন্ত ব্যক্তির দেহ উদ্ধার!

অটিজম শিশুদের নিয়ে চিন্তা? একাধিক সংগঠনকে সঙ্গে নিয়ে পাশে দাঁড়াল এনআরএস হাসপাতাল

সরকারি-বেসরকারি সম্পত্তি নষ্ট করলে ক্ষতিপূরণ আদায় করতে হবে, কড়া হতে বললেন মমতা

দুই বাসের রেষারেষি, অল্পের জন্য বড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা

সপ্তাহের শুরুতেই বাংলাজুড়ে ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস, কেমন থাকবে পয়লা বৈশাখের আবহাওয়া?