আজকাল ওয়েবডেস্ক: এআই যে আগামীদিনে আর কী করবে তা নিয়ে এবার চিন্তায় পড়ে গেল বিজ্ঞানীরা। সুপারবাগ সমস্যার সমাধান করে দিল এআই। সময় নিল মাত্র ৪৮ ঘন্টা। কীভাবে এত জলদি করে এই কাজটি করল সেটাই এখন ভেবে দেখছেন সকলে।
মাইক্রোবায়েলজিস্টরা বহুদিন ধরে এবিষয়ে কাজ করছিলেন। তবে তাদের সমস্যা অতি সহজে শেষ করে দিল এআই। লন্ডন কলেজের প্রফেসর জন পেনাডেস এবিষয়ে কাজ করছিলেন। তিনি এআইয়ের এই কীর্তি দেখে একেবারে অবাক হয়ে গিয়েছেন।
সুপারবাগ হল এমন ব্যাকটেরিয়া বা ছত্রাক যা একাধিক অ্যান্টিবায়োটিককে অতি সহজে হারিয়ে দিয়েছে। এই জীবানুকে অতি সহজে শেষ করা কঠিন। যদি আপনি অতিরিক্ত অ্যান্টিবায়টিক নিয়ে থাকেন তাহলে আপনার দেহে এই সুপারবাগের জন্ম নিজে থেকেই হয়ে যাবে। একে সহজে ওষুধ দিয়ে নষ্ট করা যায় না। এর ক্ষমতা এতটাই বেশি যে একে নিয়ে বহুদিন ধরেই চিন্তায় ছিলেন বিজ্ঞানীরা।
তবে সকলকে অবাক করে দিয়েছে এআই। তারা অতি দ্রুত এই সুপারবাগের ওষুধের ফর্মুলা বাতলে দিয়েছে। তাকে সমস্ত তথ্য দিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তারপর মাত্র ৪৮ ঘন্টার মধ্যেই এই সুপারবাগকে কীভাবে কাবু করা যাবে সেবিষয়ে রাস্তা বলে দেয় এআই।
এবার বিজ্ঞানীরা এই সমস্যার সমাধান অতি সহজেই করতে পারবে বলে মনে করা হচ্ছে। যদি এটি দ্রুত তৈরি করা যায় তাহলে পৃথিবী থেকে চিরতরে বিদায় নেবে এই সুপারবাগ। এটি এমন একটি জীবানু যাকে সকলে শেষ করা যায় না। অতি দ্রুত এটি দেহের বিভিন্ন অংশে ছড়িয়ে পড়ে। সেখান থেকে দেহের নানা অংশকে ধ্বংস করতে শুরু করে সুপারবাগ।
তবে অন্য একদল বিজ্ঞানী মনে করছেন এআই-য়ের উপর এতটা ভরসা করা যাবে না। সে যে রাস্তা বলেছে তাকে পরীক্ষা করে দেখা যেতে পারে। তবে একেবারে এই কোড সঠিক হবে সেটা এখনই জোর দিয়ে বলা যাচ্ছে না। যে সুপারবাগ নিয়ে কাজ করা হচ্ছে সেটি অতি ভয়ানক। ফলে সেখানে এর কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন থেকে যাবে।
