শনিবার ১৯ এপ্রিল ২০২৫
সম্পূর্ণ খবর
Kaushik Roy | ০১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ ১৯ : ৩৮Pallabi Ghosh
আজকাল ওয়েবডেস্ক: অবসর সময়ে উপন্যাস নাকি মোবাইল ফোনে এক মিনিটের রিল? বর্তমান যুগে এগিয়ে কে? শর্ট ভিডিও বা রিলের জন্য কি কদর কমে যাচ্ছে উপন্যাসের? কলকাতা বইমেলায় ডাকবাংলা ডট কমের তরফে এই বিষয়েই আয়োজন করা হয়েছিল এক বিতর্ক সভার। বিষয়ের পক্ষে বক্তা ছিলেন ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায়, ইন্দ্রনীল স্যানাল এবং দেবযানী বসু কুমার। বিপক্ষে বক্তা ছিলেন সহিত্যিক প্রচেত গুপ্ত, রেডিও জকি সোমক ঘোষ এবং শ্রীজাত বন্দ্যোপাধ্যায়। অনুষ্ঠানের সঞ্চালনায় ছিলেন সঞ্চারী মুখোপাধ্যায়। এক ঘণ্টা দু'পক্ষই নিজেদের স্বপক্ষে বিভিন্ন যুক্তি দিয়ে কথা বললেন।
গিল্ডের সভাপতি এবং প্রকাশক ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায় জানালেন, 'যত দিন যাচ্ছে বড় উপন্যাস পড়া কমিয়ে দিচ্ছে সাধারণ মানুষ। ফলে, আমরাও ছাপা কমিয়ে দিচ্ছি। একটা উপন্যাস ছাপার আগে তা এডিট করতে হয়। কিন্তু তার জন্য অনেক কম সময় মানুষের হাতে।' সাহিত্যিক শ্রীজাত আবার সোজা ব্যাটে খেললেন। জানালেন, 'দুটো বড় বিশ্বযুদ্ধ উপন্যাস সরাতে পারল না, রিল কী করে উপন্যাস সরাবে? রিলের ফলে যে উপন্যাস ক্রমশ পিছিয়ে পড়ছে তার স্বপক্ষে যুক্তি দিলেন দেবযানী বসু কুমারও। জানালেন, 'বর্তমান প্রজন্ম খুব দ্রুত জীবন কাটাতে পছন্দ করে। উপন্যাস পড়ার সময় কই? আমি নিজেও রিল দেখি, কম সময়ের বিনোদন। উপন্যাস পড়তে অনেকটা সময় লাগে যেটা বর্তমান প্রজন্মের কাছে নেই।' অন্যদিকে, সাহিত্যিক প্রচেত গুপ্তের মতে, 'কদর আসলে কী? কদর কিন্তু লাইক, শেয়ার, কমেন্ট দিয়ে হয় না। কদরের একটা মান আছে। সাহিত্য, উপন্যাসের কদর আলাদা। সভ্যতা যত বাড়বে উপন্যাসের তত কদর বাড়বে।' রেডিও জকি সোমকের মতে, 'মানুষের কাছে উপন্যাস পৌঁছে দেওয়া অত্যন্ত জরুরি। তার জন্য যদি সোশ্যাল মিডিয়ার সাহায্য নিতে হয়, হোক। কিন্তু তাতে করে মানুষ আরও বেশি উপন্যাস পড়বেন।'
সাহিত্যিক ইন্দ্রনীল স্যানাল আবার জানালেন, 'অবসরের জন্য যদি কারোর কাছে দু'ঘণ্টা থাকে সেই সময় সব কিছু ছেড়ে মানুষ রিল দেখে। এমনকী, রেডিওকেও মানুষের কাছে পৌঁছতে হলে এখন অডিও ভিজ্যুয়াল মাধ্যমের সাহায্য নিতে হয়।' তবে এদিন মঞ্চে যাঁরা ছিলেন, সকলেই চান সবকিছুর মাঝে প্রযুক্তি যতই উন্নত হোক, বেঁচে থাকুক সাহিত্য, মানুষের হাতে পৌঁছে যাক উপন্যাস।