সোমবার ২১ এপ্রিল ২০২৫
সম্পূর্ণ খবর
Riya Patra | ৩১ জানুয়ারী ২০২৫ ২২ : ৩৩Riya Patra
রিয়া পাত্র
৬নম্বর গেটের পাশে হালকা একটা জটলা। 'কী হচ্ছে? ঝামেলা কোনও?' ভ্রু কুঁচকে এগিয়ে গেলেন বছর ২৬ এর যুবক। বাড়ি উত্তর দিনাজপুর। ছোট থেকে কলকাতা বইমেলার কথা শুনেছেন বহু। বড় হয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি দেখেছেন। এবারের বইমেলায় এসেছেন। ইতিমধ্যে প্রায় মুখস্থ মেলার কোনদিকে কী রয়েছে। টানা ১৩দিন থাকবেন কলকাতা বইমেলায়, সেকথা জানিয়েছেন সেখানকার বন্ধুদেরও। তবে ঘুরবেন কতটা? সেটা জানেন না। বরং সেসব নিয়ে ভাবছেন না ততটা। মাথায় ঘুরছে, এই বড় দায়িত্ব, পালন করতে হবে নিষ্ঠার সঙ্গে। ওই যুবকের মতোই প্রথমবার কলকাতা বইমেলায় এসেছেন, এমন রয়েছেন আরও কয়েকজন। তাঁরা সবাই পুলিশকর্মী। বইমেলার ১৩দিন তাঁরা সামলাবেন পরিস্থিতি। বই আর পাঠকের ভিড়ে তাঁদের নজর থাকবে কড়া।
আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন করতে বদ্ধপরিকর পুলিশ, প্রশাসন। কতজন পুলিশ রোজ থাকছেন বইমেলা চত্বরে? কীভাবে সামলাচ্ছেন পরিস্থিতি? আজকাল ডট ইন-কে জানালেন ডিসি বিধাননগর অনীশ সরকার।
বইমেলার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রতিদিন মেলা প্রাঙ্গণে থাকছেন অন্তত আড়াই হাজার পুলিশ। পরিস্থিতি, ভিড়ের বিচারে সপ্তাহের শেষের দিনগুলি অর্থাৎ শনি রবিবার, ছুটির দিন অর্থাৎ সরস্বতীপুজোর দিন আরও বেশি পুলিশ মোতায়েন করা হতে পারে।
মেলায় রয়েছে ৯টি দরজা। ডোর ফ্রেম ডিটেক্টর রয়েছে সব দরজায়। প্রত্যেকের ব্যাগ পরীক্ষা করা হচ্ছে মেলায় প্রবেশের আগে। দরজায় থাকছেন ইউনিফর্মড পুলিশ। একজন করে ইন্সপেক্টর থাকছেন প্রতি দরজায়। মেলা কয়েকটি জোনে বিভক্ত। সেসব জোনের দেখভালের জন্য দায়িত্বে রয়েছেন একজন করে ডিএসপি, থাকছেন অ্যাসিস্টেন্ট এসপি কিংবা ইন্সপেক্টর। তাঁদের অধীনে থাকছেন পুলিশ কর্মীরা। তাঁরা টহল দিচ্ছেন মেলা প্রাঙ্গণ। এবারের মেলায় চারটি ওয়াচ টাওয়ার রয়েছে। সেখান থেকে নজরদারি চলছে মেলার উপর। সিপি বিধাননগর, জয়েন্ট সিপি বিধাননগর মাঝে মাঝেই ঘুরে দেখছেন মেলাপ্রাঙ্গন। পরিস্থিতির উপর নজর রাখতে বহু জায়গায় রয়েছে সিসিটিভি। ১২টা থেকে ৯টা পর্যন্ত নজরদারিতো চলছেই, তার আগে পরে, অর্থাৎ রাত্রি ৯টা থেকে পরের দিন ১২টা পর্যন্তও পুলিশ থাকছেন মেলায়। নজরদারি চালাচ্ছেন সর্বত্র, সর্বক্ষণ।
এত বড় দায়িত্ব পালন। তার মাঝেও কী কী বই কিনবেন তার তালিকা প্রস্তুত। পকেটে এক টুকরো কাগজে লেখা রয়েছে। ফুরসৎ মিললেই, কিনে ফেলছেন একে একে।