রবিবার ২০ এপ্রিল ২০২৫
সম্পূর্ণ খবর

KM | ১১ জানুয়ারী ২০২৫ ২১ : ২৫Krishanu Mazumder
মোহনবাগান-১ ইস্টবেঙ্গল-০
(ম্যাকলারেন)
আজকাল ওয়েবডেস্ক: ডার্বি জিতে মোহনবাগান ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে গেল। ইস্টবেঙ্গল যে তিমিরে ছিল সেই তিমিরেই। বেঙ্গালুরুর সঙ্গে সবুজ-মেরুনের ব্যবধান শনিবারের পর আট পয়েন্টের। বাকিদের পক্ষে মোহনবাগানকে ধরা কার্যত অসম্ভব।
এই গুয়াহাটিতে ইতিহাস গড়েছিল ইস্টবেঙ্গল। মোহনবাগানের কাছে আই লিগের ডার্বিতে পাঁচ গোল হজম করে, গুয়াহাটিতে গিয়ে ফেডারেশন কাপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল লাল-হলুদ। তাও আবার একটিও গোল হজম না করে। তখন অবশ্য অন্য সময়। অন্য দল। সেই ছেলেদের মধ্যে আগুন ছিল। জেতার স্পৃহা ছিল। বেলজিয়ান কোচ ফিলিপ ডি রাইডারের হাত ধরে এই গুয়াহাটিতেই ইস্টবেঙ্গল ফেডারেশন কাপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। হারিয়েছিল মোহনবাগানকেও। পাঁচ গোলের লজ্জা ধুয়েমুছে গিয়েছিল এই গুয়াহাটিতেই।
কিন্তু সেই ইস্টবেঙ্গল আর এই ইস্টবেঙ্গলের অনেক পার্থক্য। পাঁচ গোল হজম করার পরেও সেই ইস্টবেঙ্গল চ্যাম্পিয়ন হতে পারত। এই লাল-হলুদের সেই জোশ নেই। এই ইস্টবেঙ্গল ক্রমাগত পিছিয়েই পড়ে। বেশ কয়েক বছর ধরে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর কাছে হারটাই দস্তুর হয়ে গিয়েছে। দশটা আইএসএল ডার্বির মধ্যে ৯টিতেই হার লাল-হলুদের।
এদিন খেলার ২ মিনিটেই মোহনবাগান এগিয়ে যায়। মুম্বই সিটির বিরুদ্ধে হিজাজি মাহেরের মারাত্মক ভুলে ইস্টবেঙ্গল ম্যাচ হেরেছিল। এদিনও আশিস রাইয়ের বাড়ানো বলটা হিজাজির নাগাল এড়িয়ে গেল ম্যাকলারেনের কাছে। আরেক ডিফেন্ডার হেক্টর ইউস্তে তখন ম্যাকলারেনের পিছনে। অজি তারকা দুরন্ত প্লেসে ১-০ করেন। এত শ্লথ ও মন্থর ডিফেন্ডার যদি কোনও দলের রক্ষণভাগকে পাহাড়া দেন, তাহলে সেই দলের জেতার আশাই করা উচিত নয়।
আইএসএলে টপ সিক্সে যাওয়ার আশা ইস্টবেঙ্গলের ক্রমশ ক্ষীণ থেকে ক্ষীণতর হচ্ছে। এদিন হারের পরে সেই রাস্তা আরও কঠিন হয়ে গেল। ধারে ও ভারে এই মোহনবাগান চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ইস্টবেঙ্গলের থেকে অনেকটাই শক্তিশালী। মাঠেও তা প্রমাণিত হয়েছে বাংরবার।
ডার্বিতে শুরুতেই যদি কোনও দল গোল পেয়ে যায়, সেই দলই অ্যাডভান্টেজ পায়। বহু প্রত্যাবর্তন দেখেছে ডার্বি। কিন্তু ম্যাকলারেনের গোলে এগিয়ে যাওয়ার পরে ইস্টবেঙ্গলের খেলায় সেই কামড় কোথায়! মোহনবাগান বরং আরও গোল করতেই পারত। ইস্টবেঙ্গল গোলকিপার গিলের সঙ্গে করমর্দনের দূরত্বে দাঁড়ানো মনবীর সিং তাঁর হাতে বল তুলে দিলেন। একটা সময়ে খেলার গতি মন্থর করে দিয়ে নিজেদের উপরে চাপ বাড়িয়ে ফেলেছিল মোহনবাগান। কিন্তু মোলিনার ছেলেরা জানেন ম্যাচ কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হয়। প্রতিপক্ষকে নিজেদের ডিফেন্সিভ থার্ডে ভয়ঙ্কর হতেই দেয়নি সবুজ-মেরুন। দিয়ামান্তাকোস গোলের সুযোগ তৈরি করতে পারেননি। সব সময়ে মোহনবাগানের দীর্ঘ চেহারার দুই ডিফেন্ডার তাঁকে বশ করে গিয়েছেন।
আইএসএলের অন্যান্য ম্যাচে দেখা গিয়েছে পিছিয়ে পড়েও লাল-হলুদ লড়াই করে ম্যাচ ফিরে এসেছে। গোল করে সমতা ফিরিয়েছে। কিন্তু এদিন অস্কার ব্রুজোঁর ছেলেদের শরীরী ভাষাও ঝিমিয়ে পড়া। সমতা ফেরানোর দারুণ সুযোগ প্রথমার্ধে পেয়েছিল ইস্টবেঙ্গলও।
ডেভিড আর ক্লেটন ওয়ান-টু খেলে মোহনবাগানের রক্ষণে কাঁপুনি ধরিয়ে দিলেও গোল করতে পারেনি ক্লেটন। শেষ মুহূর্তে অলড্রেড ব্রাজিলীয় তারকার পা থেকে বল বিপন্মুক্ত করেন। ওই একবারই সবুজ-মেরুনের রক্ষণ কেঁপেছিল। লাল-হলুদ খেলোয়াড়দের মধ্যে নজর কাড়লেন কেবল বিষ্ণু।
প্রতিটি ম্যাচে ইস্টবেঙ্গল রেফারিং নিয়ে অভিযোগ করে। এদিন বিরতির আগে পেনাল্টি বক্সের ভিতরে আপুইয়ার হাতে বল লাগলেও রেফারি ইস্টবেঙ্গলকে পেনাল্টি দেননি। পেনাল্টি পেলে ম্যাচের ফলাফল কী হত বলা মুশকিল। পেনাল্টি কেন যে দিলেন না রেফারি, তা তিনিই ভাল বলতে পারবেন। এই ধরনের ম্যাচে একটা পেনাল্টি খেলার ভাগ্য গড়ে দেয়। ম্যাচের গোড়ার দিকে মোহনবাগানকে কর্নার দেওয়া হয়নি। তা নিয়ে ম্যাকলারেন কটাক্ষও করেন লাইন্সম্যানকে। সৌভিক চক্রবর্তীকে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখানোটাও কি সঠিক সিদ্ধান্ত ছিল? প্রথম হলুদ কার্ড দেখানোটাও কি ঠিক ছিল? এই ধরনের বড় ম্যাচে, আইএসএলের মতো দেশের একনম্বর টুর্নামেন্টে রেফারি যদি এক ভুল করেন, তাহলে কী করে চলে?
আগের ম্যাচগুলোয় বিরতির পর বদলে যাওয়া ইস্টবেঙ্গলকে দেখা গিয়েছিল। এদিন দ্বিতীয়ার্ধে ইস্টবেঙ্গলের পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়। এই মোহনবাগান ধারে ও ভারে বহু শক্তিশালী। প্রতিটি বিভাগে রয়েছেন দুর্দান্ত সব খেলোয়াড়। খেলার ৬৫ মিনিটে সৌভিক চক্রবর্তী দ্বিতীয় হলুদ কার্ড (লাল কার্ড) দেখে ইস্টবেঙ্গলকে আরও সমস্যায় ফেলে দেন। ১০ জনে নেমে যায় লাল-হলুদ। ১০ জনের ইস্টবেঙ্গল মোহনবাগানের জালে বল জড়াবে এমন দিবাস্বপ্ন মনে হয় অতি বড় ইস্টবেঙ্গল সমর্থকও দেখেননি।
ভাগ্য ভাল ইস্টবেঙ্গল কোচ অস্কার ব্রুজোঁর দলের। এক গোলেই জিতেছে মোহনবাগান। একাধিক বার সাহাল, ম্যাকলারেনরা ইস্টবেঙ্গল রক্ষণের পরীক্ষা নিয়েছিলেন। যে কোনও সময়ে মোহনবাগান ব্যবধান বাড়াতেই পারত। ইস্টবেঙ্গল শেষ আধ ঘণ্টা ১০ জন নিয়ে খেলে যে আর গোল হজম করেনি, তার জন্য এখন স্বস্তি পেতেই পারেন অস্কার ব্রুজোঁ।
এই করুণ দশা ইস্টবেঙ্গলের কবে কাটবে, সেটাই প্রশ্ন। এদিনের ম্যাচের পরে ১৫ ম্যাচে মোহনবাগানের পয়েন্ট ৩৫। ১৫ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে ইস্টবেঙ্গল সেই এগারোতেই।
নানান খবর
নানান খবর

আউট হওয়ার ভিডিও দেখিয়ে এ কী ধরনের রসিকতা! বাবর আজমকে তুমুল ট্রোল আইসল্যান্ড ক্রিকেটের, নেটপাড়ায় হাসির রোল

হায়দরাবাদের স্টেডিয়াম থেকে সরে যাচ্ছে তারকা ক্রিকেটারের নামাঙ্কিত স্ট্যান্ড, আইনি লড়াইয়ে ক্রিকেট বিশ্ব তোলপাড়

সাত গোলের ম্যাচ জিতে উঠে দুঃসংবাদ বার্সার জন্য, কী হল স্পেনের ক্লাবের?

অভিষেকেই তিন-তিনটি রেকর্ড, স্বপ্নের শুরু ১৪ বছরের সূর্যবংশীর

স্টার্ক নন, ভাল আবেশ খান হয়েই থাকতে চান, ম্যাচ জিতিয়ে স্বীকারোক্তি লখনউয়ের তারকা বোলারের

মেয়েদের বিশ্বকাপ খেলতে ভারতে যাবে না পাকিস্তান দল, জানিয়ে দিলেন পিসিবির চেয়ারম্যান

শুরুতেই বাজিমাত, আই লিগ টু-তে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন ডায়মন্ড হারবার

কোচের মেয়ের সঙ্গে প্রেম, মাঝে বিচ্ছিন্ন যোগাযোগ, বিশ্বকাপের সময়ে তারকা ক্রিকেটার জানতে পারেন বিয়ে স্থির করে ফেলেছেন মা

ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশে তিন ভাই, খেলছেন ক্রিকেট

তীব্র গরমে দুপুরে ম্যাচ, মোদি স্টেডিয়ামে দর্শকদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করল গুজরাট ফ্রাঞ্চাইজি

'হয় ওর ইগো আছে, বা সিনিয়রদের থেকে পরামর্শ নিতে লজ্জা পায়', পাকিস্তানের প্রাক্তন অধিনায়কের নিশানায় বাবর

ভারতসেরা ইস্টবেঙ্গলের মেয়েরা, পুরস্কার তুলে দেওয়া হল ক্রীড়ামন্ত্রীর হাতে

সরাসরি সুপার কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে মোহনবাগান, বেড়ে গেল ডার্বির সম্ভাবনা

ভারতে অনুষ্ঠিত এই মেগা ইভেন্টের যোগ্যতা অর্জন করল পাকিস্তান, কোথায় হবে ম্যাচ?

অসুস্থ ফুটবলার শুভর পাশে ময়দান, সাহায্যের হাত বাড়ালেন সৌরভও