শুক্রবার ১০ জানুয়ারী ২০২৫

সম্পূর্ণ খবর

Popular Bengali director mainak bhaumik talks about his new movie bhaggyolokkhi and Bengali movie industry

বিনোদন | Exclusive: সিনেমা কোনও প্রোডাক্ট নয়, আমি সাবান বিক্রি করতে আসিনি: মৈনাক ভৌমিক

Reporter: নিজস্ব সংবাদদাতা | লেখক: Rahul Majumder | Editor: Syamasri Saha ১০ জানুয়ারী ২০২৫ ২০ : ০৩Rahul Majumder


এই সাক্ষাৎকারটা নেওয়া যখন শুরু হয়, ঘড়ির কাঁটা তখন রাত্রি বারোটা বেজে সাত মিনিট। মধ্যবিত্ত ভদ্রতায় লালিত মন খানিক খচখচ করছিল। সেসব অস্বস্তি নিমেষে হাওয়া যখন অপর প্রান্ত থেকে দিলখোলা হাসির সঙ্গে ভেসে এল কয়েকটা কথা –“আরে, এই সময়ে কথা বলাই আমার জন্য সবথেকে আরামের। সুবিধার।” যিনি এই কয়েকটি কথা বললেন, তাঁর পরিচালিত ছবিগুলো তাঁর মেজাজের মতোই স্পষ্ট, ফুরফুরে, ফ্রেশ এবং একইসঙ্গে ভাবায়। তিনি, পরিচালক মৈনাক ভৌমিক। 


প্রশ্ন: প্রথম থেকেই যে মানুষটি ছবির গল্প নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে গিয়েছে নিরন্তর, তিনি  ছবির ক্ষেত্রে ঠিক কোথায় রক্ষণশীল?

মৈনাক: শুধুই গল্পের জন্য কিন্তু সিনেমা নয়। একটা পুরনো, প্রচলিত ধারণা রয়েছে যে সিনেমা মানে শুধুই একটা গল্প শুনতে যাচ্ছি। আমার মতে, সিনেমা ব্যাপারটা কিন্তু শুধুই গল্প বলা ও শোনা দিয়েই শেষ হচ্ছে না। এটা অডিও-ভিস্যুয়াল অভিজ্ঞতাও। ছোটপর্দায় খেলা চলছে না ধারাবাহিক, সেটা কিন্তু চোখে না দেখে শুধু আওয়াজ শুনেই বোঝা যায়। আমি কিন্তু পুরো বিষয়টার উপর জোর দিই। অর্থাৎ অডিও-ভিস্যুয়াল দিয়ে কীভাবে ট্রিট করে গল্পটা বলছি, সেটা আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ আমি তো গল্প কেমন লিখতে আসিনি, সেটা করতে চাইলে তো সাহিত্য করতাম, ছবি বানাতাম না। 

 

প্রশ্ন: তাহলে কি মৈনাক ভৌমিক নিজেকে স্টোরিটেলার বলবেন না?

মৈনাক: আপনি মনে হয় ভুল বুঝলেন। একটু বুঝিয়ে বলি। দেখুন, এখন আর নতুন করে কোনও গল্প তৈরি করা সম্ভব নয়। হাজার হাজার বছর ধরে পৃথিবীতে গল্প বলা হচ্ছে। সব গল্প বলা হয়ে গিয়েছে। আমি যদি আমার ছবি ভাগ্যলক্ষ্মী'র উদাহরণ টেনেই বলি তাহলে বুঝবেন।  লাল স্যুটকেস ভর্তি টাকা, মৃতদেহ পাওয়া যাচ্ছে -এগুলো তো প্রথম আমি দেখাচ্ছি না। আমার আগে কোনও না কোনও ছবিতে অন্যভাবে দেখানো হয়েছে। তবে এটা কিন্তু টোকা নয়। বলতে চাইছি, অরিজিনাল গল্প বলা আর সম্ভব নয়। তাহলে প্রতিটি ছবি কীভাবে আলাদা হচ্ছে? আলাদা হচ্ছে স্রেফ বলার ধরনে। বলার ধরনে কী নতুনত্ব যোগ হচ্ছে। আর সেখানেই অডিও-ভিস্যুয়ালের একটা মারাত্মক দায়িত্ব থাকে।  তাই, আমাদের বলার ধরনটাই আদতে হয়ে যাচ্ছে গল্প!(হাসি)  

 

প্রশ্ন: তাহলে ‘ভাগ্যলক্ষ্মী’কে কোন ঘরানার ছবিতে ফেলা হবে? কেউ বলছেন থ্রিলার, কেউ বলছেন ডার্ক-কমেডি? 

মৈনাক: ডার্ক কমেডি? দাঁড়ান, দাঁড়ান। আমার ছবির ট্রেলারে থেকেই স্পষ্ট আমি এই ছবির মাধ্যমে কিন্তু দর্শককে হাসতে আসিনি। মানে হাস্যরস যেটা, সেটা কিন্তু নেই। বলতে চাইছি, ‘ভাগ্যলক্ষ্মী’র গল্পে কিন্তু কোনও পরিস্থিতিই হাসির নয়। বরং অসম্ভব স্ট্রেসফুল বিষয়। একটা বুড়োর গায়ে রক্ত পড়েছে, সে চমকে উঠল কিংবা তিড়িং করে লাফিয়ে উঠল, সেটা দেখে দর্শকের হাসি পেলেও পেতে পারে। কিন্তু সেই বুড়োটা কিন্তু বিরক্ত হচ্ছে, ভয় পাচ্ছে।  আরও একটু বিশদে বলি?

 

প্রশ্ন: নিশ্চয়ই! 

মৈনাক: আগে ভিডিও পার্লার কিংবা এখনকার ওটিটিতে সব ছবিকেই কোনও না কোনও ঘরানা বলে দাগিয়ে একটি নির্দিষ্ট ছবি ঘরানার মধ্যে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। এইমুহূর্তে আন্তর্জাতিক ছবিগুলোর ক্ষেত্রে যা করা হচ্ছে আমিও ঠিক সেটাই করছি। অর্থাৎ তথাকথিত এইসব ঘরানাগুলোকে ভেঙেচুরে, নাড়িয়ে-ঝাঁকিয়ে এক ছবিতে ঢুকিয়ে দিচ্ছি। আজকে যদি স্ট্রেঞ্জার থিংস সিরিজটি কেউ দেখেন, তিনি বুঝবেন সেখানে হাই স্কুলের গল্প রয়েছে, ভূতুড়ে উপাদানের পাশাপাশি কল্পবিজ্ঞানের ব্যাপার স্যাপারও রয়েছে। আবার কিছু জায়গায় হাসিও পাবে বেদম। তাহলে সেটিকে কেউ কি কোনও নির্দিষ্ট ঘরানায় ফেলা যাবে? 

 

প্রশ্ন : বেশ। নিজের ছবিমুক্তির আগে কি মৈনাক ভৌমিকের চাপ লাগে? তার উপর ঋত্বিক চক্রবর্তী?

মৈনাক: না, একেবারেই নয়। 

 

প্রশ্ন: সে কি! একটা ছবি কষ্ট করে তৈরি করলেন, এতগুলো টাকা লগ্নি। তা দর্শকের কতটা ভাল লাগবে, কেমন ব্যবসা করবে, সেটা নিয়ে কোনও চিন্তা হয় না এটা বিশ্বাসযোগ্য?

মৈনাক: ভাল প্রশ্ন। আমি স্পষ্ট করে কিছু কথা বলতে চাই। আমার কাছে ছবি কোনও প্রোডাক্ট নয়, একটা আর্ট-ফর্ম। আমি সাবান বিক্রি করছি না। দিনের শেষে আমরা আজকাল ব্যবসা ছাড়া কোনও কথা বলি না, তাই সিনেমা আজকাল ‘প্রোডাক্ট’ হয়ে গিয়েছে। কাউকে জিজ্ঞেস করুন, শোলে কত আয় করেছিল বক্স-অফিসে? বলতে পারবে না। কিন্তু সে বলবে, ‘শোলে’ ভাল ছবি। ওইটাই আসল! ইদানিং, প্রোডাক্ট- কন্টেন্ট এইসব সবগুলো ব্যবহৃত হচ্ছে। আমরা সবকিছুকে সাবান আর জুতো বানিয়ে দিচ্ছি! সিনেমাটা একটা শিল্প আজও। আর আমি তো এই লক্ষ্য নিয়ে ছবি বানাইও না যে প্রথম সপ্তাহে এত কমাতে হবে, দ্বিতীয় সপ্তাহে এত, ইত্যাদি। তাছাড়া আমি আরও একটা ব্যাপার উপলব্ধি করেছি। ২০০৬-এ আমার প্রথম পরিচালিত ছবি আমরা। প্রথম এক মাস  দর্শক খুব রেগে গিয়েছিল। তুলোধোনা করেছিল। কিন্তু সেই ছবি কিন্তু মুক্তির বছর পাঁচেক পর থেকে লোকজন ডিভিডি, ছোটপর্দায় দেখা শুরু জোরাল। গ্রো করতে করতে এখনও অনেকের মুখেই ফেরে কী অন্য ধরনের কাজ ছিল আমরা! তাহলেই বুঝুন। আসলে, বলতে চাইছি একটা ছবির ফলাফল কিন্তু এক সপ্তাহে পাওয়া যায় না। চার-পাঁচ বছর লাগে। এটা ফ্যাক্ট! কারণ সিনেমা তো আর খেলা নয়, একটা শিল্প।  


প্রশ্ন:  তাহলে ‘ভাগ্যলক্ষ্মী’ থেকে কেমন আশা আপনার? 

মৈনাক: 'ভাগ্যলক্ষ্মী'তে এমন অনেক কিছু আছে যা নতুন। ভারতীয় ছবিতে এমন ট্রিটমেন্ট আগে দেখা যায়নি। অনেকটা নতুন খাবারের মতো। যা হয়তো চট করে মানুষের হজম হবে না। কিন্তু এই স্বাদটার সঙ্গে দর্শক পরিচিত তো হবে! এই যে ‘পুশ’করা...এটা করার আগে ভাবতে হবে সেই পুশ পেলে তাঁদের সবসময় ভাল লাগতে না-ও পারে। আমার কাছে এইমুহূর্তে গুরুত্বপূর্ণ কীভাবে তরুণ প্রজন্মকে প্রেক্ষেগৃহে ফিরিয়ে আনা যায়। আমি যখন, মাছ মিষ্টি অ্যান্ড মোর বানাচ্ছি, সৃজিত হেমলক সোসাইটি তৈরি করছে তখন তরুণ প্রজন্ম ছবি দেখতে যেত। এখনকার তরুণ প্রজন্ম বাংলা ছবি দেখতে যায় না। আমার কাছে ভাগ্যলক্ষ্মী তাই ইয়ুথ কন্টেন্ট।  এই তরুণ প্রজন্মের জন্য বাংলা ছবি বানানোই আমার লক্ষ্য। এইমুহূর্তে এর থেকে গুরুত্বপূর্ণ কিছু হতে পারে না। আমরা সবাই মিলে চেষ্টা করলে, এমন ছবি বানানো চলবে, আস্তে আস্তে করে হলেও তরুণ প্রজন্ম ফিরবে প্রেক্ষাগৃহে। সিনেমার দর্শক তাহলে প্রধানত কারা? ২০-২৫ বয়সটাই সিনেমা দেখার বয়স। তারপর জীবনে নানা দায়িত্ব আসে, চাপ আসে। সিনেমাটা দেখার আগ্রহ, খিদে থাকে না। তাই আজকের পৃথিবীর বেশিরভাগ সিনেমা-ই তৈরি হচ্ছে ওই তরুণদের জন্য।   


প্রশ্ন: তাহলে এইমুহূর্তে দাঁড়িয়ে এই বাংলা ইউথ কন্টেন্টের ভবিষ্যৎ কী মনে হচ্ছে? কতটা আশাবাদী?

মৈনাক: সময় লাগবে। অন্তত ১০ বছর! আজকে বানালাম আর কালকেই তরুণরা ভিড় করে চলে এল দেখতে, এমনটা হবে না। পরিষ্কার কথা। কারণ বাংলা ভাষা নিয়ে শুধু লড়াইয়ের জায়গা নেই। সেটাকে ইউনিভার্সাল করে দিতে হবে। একটু বুঝিয়ে বলি।১২-১৩ বছর আগে কোনও বাঙালি ঠিক করে বাংলা বলতে না পারলে, আমরা আওয়াজ দিতাম। আজকে সেই জায়গাটা নেই। কারণ অনেক বাঙালি-ই বাংলা ঠিক করে জানে না। আর ভাষা ব্যাপারটা শুধু প্রকাশ করা নিজের অভিব্যক্তিকে। যে বাঙালিরা এত রবীন্দ্রনাথ-রবীন্দ্রনাথ  করে লাফালাফি করে, তাদের মধ্যে ক'জন রবি ঠাকুরের সব গল্প-উপন্যাস পড়েছে? খোঁজ করলেই দেখা যাবে, রবীন্দ্রনাথের গানগুলো-ই তারা শুনেছে। কেন গান? কারণ গান, ইউনিভার্সাল। মিষ্টি সুর, সব কথা না বুঝলেও চলবে! মানে, এখন বাঙালির কাছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হয়ে গিয়েছেন মিউজিক ডিরেক্টর এবং সত্যজিৎ রায় গোয়েন্দা গল্পের লেখক!    

 

প্রশ্ন: মৈনাক ভৌমিক কি সিক্যুয়েলে বিশ্বাস করেন?

মৈনাক: না। ‘চিনি’র ক্ষেত্রে আগে থেকে কমিটমেন্ট ছিল, তাই করেছি। যদি বুঝি, কোনও গল্পকে ঠিকমতো আঁটাতে পারছি না একটি ছবির মধ্যে, তাহলে নিশ্চয়ই সিক্যুয়েল। কিন্তু কোনও ছবি জনপ্রিয়তা পেয়েছে তার জন্য সেটার সিক্যুয়েল তৈরি করব, ওইসব আমার বিশ্বাস নেই। কারণ সব গল্পের সিক্যুয়েল হয় না! 

 

প্রশ্ন: ট্রোলিং নিয়ে কখনও তেমনভাবে কিছু  বলতে শোনা যায় না কেন আপনাকে?

মৈনাক: কারণ ওটাকে আমি পাত্তাই দিই না। ওটা নিয়ে যত বলব, যারা করছে তারা তত প্রচারে আসবে। আর এই বয়সে পৌঁছে বুঝে গিয়েছি, সবথেকে দ্রুত ছড়ায় নেতিবাচক প্রচার। সেটাই বেশিরভাগ মানুষজন সেলিব্রেট করে। সমাজমাধ্যমের কথা ছেড়েই দিচ্ছি, সংবাদমাধ্যম-ও তো এই ট্রোলিং নিয়ে প্রচুর কথা বলছে। কেন বলছে? যত বলবে ততই তো জলঘোলা হবে, প্রচার পাবে নেতিবাচক মনোভাবে মানুষগুলো। আল্লু অর্জুন এক ভক্তকে বাড়িতে ডেকে মিষ্টিমুখ করালেন, এটা কতবার সংবাদমাধ্যমে দেখানো হয়েছে? সেখানে পদপিষ্ট হয়ে মারা গিয়েছে যা অত্যন্ত দুঃখের, কষ্টের। কিন্তু ক্রমাগত সেটাই দেখানো হল...সেখানেও নেতিবাচক। 

প্রশ্ন: তাহলে নেতিবাচক মনোভাব ছড়ানোর দায় কি সংবাদমাধ্যমের? 


মৈনাক: না! একদমই না। দায় তাদের উপর বর্তায় যারা নেতিবাচক মনোভাব উদ্‌যাপন করছে! 


#mainakbhaumik#bhaggyalakkhi#ritwickchakrraborty



বিশেষ খবর

নানান খবর

নানান খবর

'উমরাও জান ২'-এ জাহ্নবী কাপুর? রেখার জুতোয় পা গলাচ্ছেন শ্রীদেবী-কন্যা!...

‘ফতেহ’র পরেই শাহরুখের সঙ্গে জুটি বেঁধে কোন ছবিতে আসছেন সোনু? বড় ঘোষণা অভিনেতার! ...

শুধু গভীর প্রেম নয়, শাহিদের জন্য এই অভ্যাস ছেড়েছিলেন করিনা, বিচ্ছেদের এত বছর পর গোপন কথা ফাঁস করলেন অভিনেত্রী...

‘শাশুড়ি-বৌমার ঝগড়াঝাঁটি...’ কোন ধরনের ছবিতে, কেমন চরিত্রে করণকে পরিচালনা করতে চান কঙ্গনা?...

বনশালির ছবিতে এবার আল্লু অর্জুন? রণবীর-আলিয়া-ভিকির সঙ্গে পর্দা ভাগ করবেন ‘পুষ্পা’? ...

সুইমস্যুটে সমুদ্রে উষ্ণতা ছড়ানো থেকে সৈকতে গল্পের বইয়ে ডুবে থাকা, কেমন কাটল আলিয়ার ছুটি?...

রহমান একেবারেই মিশুক নন, তার উপর…’ অভিজিতের পর অস্কারজয়ী সুরকারকে নিয়ে বিস্ফোরক সোনু নিগম!...

বড়সড় চুরি পুনম ধিলোঁর বাড়িতে, ঘর রং করতে এসে হিরে, টাকা হাতিয়ে পালাল মিস্ত্রি! ...

'আরণ্যক'কে ছেড়ে চিরকালের মতো চলে গেল 'রোশনাই'! গল্পের নতুন মোড়ে কী পরিণতি হতে চলেছে নায়িকার?...

ফারহানের সঙ্গে দেখা করার আগে তারিখ চাইতে হয় জাভেদ আখতারের! খ্যাতির বিড়ম্বনা না সম্পর্কে ফাটল? ...

প্রয়াত বিখ্যাত সাংবাদিক তথা ছবি নির্মাতা প্রীতিশ নন্দী, বন্ধুর উদ্দেশ্যে কলম ধরলেন শোকস্তব্ধ অনুপম...

‘আশিকি ৩’ থেকে বাদ তৃপ্তি, পিছোল ছবির শুটিং! অভিনেত্রীর ‘অপরাধ’ কী? ...

দীপিকাকে বিয়ে করার ইচ্ছেপ্রকাশ করে ফের বড়সড় বিতর্কে সঞ্জয় দত্ত! নিন্দায় সরব নেটপাড়া ...

হবু স্ত্রীকে এই কাজ করতে দিতে চান না বলেই বিয়ে হচ্ছে না সলমনের? খুল্লাম খুল্লা সেলিম খান!...

দ্বিতীয় বিয়ের অনুভূতি কেমন? বাংলাদেশের নাগরিকদের কোন স্বভাবকে কটাক্ষ করে প্রকাশ্যে জবাব তাহসানের? ...



সোশ্যাল মিডিয়া



01 25