সোমবার ২৮ এপ্রিল ২০২৫

সম্পূর্ণ খবর

dead body and electric furnace

কলকাতা | ১৯ বছর বয়সেই ডোমের কাজে! বাবার মৃত্যুর পর সংসার সামলাতে কী করলেন বারুইপুরের টুম্পা

Rajat Bose | ২৫ নভেম্বর ২০২৪ ১৬ : ১২Rajat Bose


তীর্থঙ্কর দাস:‌ সবকিছুর শেষ সেখানে তা হল শ্মশান। প্রত্যেকের জীবনের অন্তিম গন্তব্য শ্মশান। শ্মশানে জমিনের কথা আমরা প্রত্যেকে শুনেছি। কিন্তু আজ যার কথা আপনাদের শোনাবো সেই ডোম বাকিদের থেকে অনেকটাই আলাদা। পুরো শ্মশানে মানুষ বলতে এক জন। নাম নথিভুক্ত করা থেকে শুরু করে চুল্লিতে ঢোকানো পর্যন্ত সবটাই নিজ দায়িত্বে পালন করে আসছে বারুইপুরের এই তরুণী। বারুইপুরের বাসিন্দা টুম্পা দাস (‌২৯)‌।

 


গত ১০ বছর ধরে বারুইপুরের পঞ্চায়েত এলাকা পুরন্দরপুর মহাশ্মশানের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন তিনি। কল্যাণপুর পঞ্চায়েত অঞ্চলের পুরন্দরপুর এলাকার পাশেই তাঁর বাড়ি। বাড়িতে রয়েছে ছোট বোন, মা এবং ভাই। বাবার মৃত্যুর পর শ্মশানে ডোমের কাজ নির্দ্বিধায় নিজের কাঁধে তুলে নেন তিনি। ১৯ বছর বয়স থেকে ডোমের কাজ করে চলেছে এই তরুণী। এটা ঘটনা ডোমের কাজে আমরা সাধারণত পুরুষদের দেখতে পাই, তাহলে কেন টুম্পা? উত্তরে জানান ২০১৪ সালের হঠাৎ করে তাঁর বাবার মৃত্যু হয়। বড় মেয়ে হিসেবে তার কাঁধে সংসার সামলানোর গুরুদায়িত্ব এসে পড়েছিল। তাই কিছু না ভেবেই বাবার চাকরিতেই যোগ দেয় টুম্পা। পেরিয়ে গিয়েছে প্রায় দশ বছর। কোনও ভয়ভীতি ছাড়াই নিজের কর্তব্যে অবিচল টুম্পা। সকাল আটটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত অগণিত দেহ সৎকার করেন তিনি। প্রথমে নাম নথিভুক্ত। তারপর চুল্লিতে দেহ ঢুকানো সমস্তটাই সাড়ে তিন হাজার টাকার মাসিক বেতনে তিনি করছেন। এখন অবশ্য ৫ হাজার টাকা বেতন পান। ২০১৯ সালে শ্মশানে ইলেকট্রিক চুল্লি বসেছে। তার আগে কাঠের চুল্লিতেই শেষকৃত্য করা হত। 


টুম্পা জানায়, তিনি নিজেও কোনওদিন ভাবতে পারেননি এই কাজ তিনি করতে পারবেন। কিন্তু পরিস্থিতি এবং সময় তার ভাবনা বদলে দিয়েছে। ওখানে ১২ ঘন্টা থাকতে ভয় লাগার কথা শুনে টুম্পা মৃদু হেসে বলেন, ‘‌মরা মানুষের থেকে জীবিত মানুষের ভয় বেশি। প্রথমে ভয় লাগত কিন্তু এখন সমস্তটাই মানিয়ে নিয়েছি।’‌
মানুষের দম্ভ, অহংকার, টাকা, এমনকি গায়ের কাপড় সব কিছুই ৪৫ মিনিটে শেষ হয়ে যায়। নিজেকে শ্মশানের ভেতরেই বেশি সুরক্ষিত বলে মনে করেন টুম্পা। 

বিয়ে করার প্রসঙ্গে তিনি জানান, একাধিক সম্বন্ধ এসেছে বাড়িতে। কিন্তু যখনই তারা টুম্পার কাজ সম্বন্ধে অবগত হন তখনই প্রত্যেকে পিছু পা হয়ে যায়। যদিও তাতে একদমই কষ্ট নেই টুম্পার। কারণ দিনের শেষে নিজের পরিবারকে সামলাতে পারছেন তিনি। এর থেকে বড় আর কী হতে পারে। টুম্পা গত দশ বছরে প্রায় পাঁচ হাজারেরও বেশি মৃতদেহ পুড়িয়েছে। এবং হাজারো দুঃখ, কষ্ট চুপ করে নিজের চোখে দেখেছেন।

 


Aajkaalonlinedeadbodyelectricfurnace

নানান খবর

নানান খবর

ডগ-স্কোয়াড: তদন্তকারি আধিকারিকরা কীভাবে শিখছেন তদন্তপ্রক্রিয়া, কোন পদ্ধতি অনুসরণ করতে হয় তাঁদের

কসবায় সিপিএমের পার্টি অফিসে তুমুল মারামারি, কামড়াকামড়ি, রক্তাক্ত হল বৈঠক

রক্ত ও চামড়ার মাধ্যমে অ্যালার্জি পরীক্ষা, রাজ্যে প্রথম গবেষণামূলক পরীক্ষাকেন্দ্র চালু হচ্ছে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে

হ্যাকফেস্ট ২০২৫: টেকনো ইন্ডিয়া গ্রুপ ও সিস্টার নিবেদিতা বিশ্ববিদ্যালয়ে উদ্ভাবনের এক মহোৎসব

ধাপায় আগুন, কালো ধোঁয়াতে ঢাকল গোটা এলাকা

এক মাস ধরে প্রতিদিন সাত ঘণ্টা করে বন্ধ থাকবে মা উড়ালপুল, কবে থেকে কোন বিকল্প পথে যান চলাচল?

দিঘাগামী পুণ্যার্থীদের জন্য সুখবর, কলকাতা থেকে চলবে একগুচ্ছ ট্রেন

শিশু থেকে কৈশোর 'রক্তাল্পতা' রোগে আক্রান্তের কারণ কি খাদ্যাভ্যাস, না কি এর নেপথ্যে বড় কোনও সমস্যা?

খাস কলকাতায় পাল্লা দিয়ে বেড়েছে বাইক চুরি, তদন্তে নেমেই চরম পদক্ষেপ গোয়েন্দা বিভাগের

বিবাহ বহির্ভূত প্রেম! সন্দেহের বশে স্ত্রীকে খুন করলেন স্বামী, খাস কলকাতায় ভয়াবহ ঘটনা

কলকাতার কম্যান্ড হাসপাতালে নার্সিং ক্যাডার নিযুক্তিকরণ অনুষ্ঠান

সপ্তাহান্তে চলবে না ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো, সোমবারেও বন্ধ পরিষেবা, কারণ কী?

যুবকের দেহ উদ্ধারে সাতসকালে চাঞ্চল্য ছড়াল কলকাতায়

পহেলগাঁওয়ে নিহত কলকাতার পর্যটক,পরিবারের পাশে মুখ্যমন্ত্রী

আমরা দ্রুত রিভিউ পিটিশনে যাচ্ছি, আশ্বস্ত করে বললেন ব্রাত্য

মুখে সেলোটেপ, খাস কলকাতার রাস্তায় ট্রলির ভিতর মহিলার দেহ

সোশ্যাল মিডিয়া