শনিবার ১২ অক্টোবর ২০২৪
সম্পূর্ণ খবর
Reporter: নিজস্ব সংবাদদাতা | লেখক: Snigdha Dey | Editor: শ্যামশ্রী সাহা ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৯ : ০৪Snigdha Dey
আজকাল ওয়েবডেস্ক: পুজোর বাকি হাতে গোনা আর কয়েকটা দিন। বাঙালি সারা বছর অপেক্ষায় থাকে পুজোর পাঁচটা দিনের জন্যে। থিমের পুজোর ভিড়ে কি ঐতিহ্য হারিয়ে ফেলছে কলকাতার বনেদি বাড়ির পুজোগুলো? এই পুজোর সঙ্গে কলকাতা শহরের দীর্ঘ ইতিহাস জড়িয়ে। তবুও কি মলিন হয়ে যাচ্ছে সেই ইতিহাস সময়ের সঙ্গে? আজকের প্রজন্মের হাত ধরে কতটা রঙিন বনেদি বাড়ির পুজো?
দক্ষিণ কলকাতার ভবানীপুরের দে বাড়ির পুজো আজও রয়েছে একই রকম। এই পুজোর সঙ্গে জড়িয়ে স্বদেশি আন্দোলনের চিহ্ন। যা এখনও স্পষ্ট। ভবানীপুরের হরিশ মুখার্জি রোডের দে বাড়ির পুজোতে ব্রিটিশরূপী অসুরকে দমন করেন দুর্গা! পরনে কোট-প্যান্ট। মুখের গড়ন ইংরেজদের মত। অসুরের মাথার চুলও সাহেবদের মতই ধবধবে সাদা।
ভবানীপুরের দে বাড়ির পুজো প্রথম থেকে আজ পর্যন্ত এই একই নিয়মে হয়ে আসছে। সালটা ১৮৭০। এই পরিবারের পুজোর সূচনা করেছিলেন রামলাল দে। তিনি জন্মগ্রহণ করেন ১৮৪৬ খ্রিস্টাব্দে, গোবরডাঙ্গায়। পরবর্তীকালে ব্যবসায়িক সূত্রে তিনি দক্ষিণ কলকাতার ভবানীপুরে আসেন এবং স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন। পারিবারিক তুলোর ব্যবসার তখন রমরমা অবস্থা। সেই ব্যবসা বংশপরম্পরায় আজও রয়েছে। এই মুহূর্তে পুজোর দায়িত্ব পরিবারের ষষ্ঠ প্রজন্মের কাঁধে।