Reporter: নিজস্ব সংবাদদাতা | লেখক: Rahul Majumder | Editor: শ্যামশ্রী সাহা ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৯ : ১৫Rahul Majumder

 সংবাদ সংস্থা মুম্বই: রাখি গুলজারকে প্রেমপত্র লিখবেন বলে বাংলা লিখতে শিখেছিলেন গুলজার। সেই রাখির সঙ্গে বিয়ে হওয়ার মাত্র বছর দুয়েকের মাথায় আলাদা হয়ে যান তাঁরা। শোনা যায়, অভিনেত্রী সুচিত্রা সেনের জন্য নাকি রাখির গায়ে হাত তুলেছিলেন অস্কারজয়ী এই গীতিকার-পরিচালক! 

সেটা ১৯৭৫ সাল।‌ কাশ্মীরে 'আঁধি' ছবির শুটিং চলছে।পরিচালক গুলজার। গোটা শুটিং ইউনিটের সঙ্গে ছিলেন তাঁর স্ত্রী রাখি গুলজারও। একদিন শুটিং শেষে রাতে জমিয়ে পার্টি চলছে। চলছে মদ্যপান। পার্টি শেষে ততক্ষণে নাকি নেশায় চুর 'আঁধি'র নায়ক সঞ্জীব কুমার। মদ্যপ অবস্থায় সুচিত্রা সেনকে পিছন থেকে আচমকা জাপটে ধরেন তিনি। এবং নিজের দিকে টানতে থাকেন। শুরু হয় চিৎকার চেঁচামেচি। হল্লা কানে যাওয়ামাত্রই হাজির হন গুলজার। কোনওরকমে দু'জনকে টেনে আলাদা করেন। সঞ্জীবের হাত থেকে ছাড়া পেয়েই নাকি কোন কথা না বলে হোটেলে নিজের কামরায় এক দৌড়ে ঢুকে পড়েন সুচিত্রা। অবস্থা বেগতিক বুজে নায়িকার পিছন পিছন তার ঘরে ছুটে যান গুলজার। শোনা যায়, এরপর 'মহানায়িকা'র ঘরে দরজা বন্ধ করে ঘন্টা দুয়েক কথা চালিয়েছিলেন তাঁরা। সুচিত্রার মান ভাঙানোর দায়িত্ব নাকি‌পরিচালক হিসাবে নিজের হাতে তুলে নিয়েছিলেন গুলজার। সেসব মান অভিমানের পালা চুকে যাওয়ার পর দরজা খুলে বেরোতে গুলজার দেখেন দরজার বাইরে দাঁড়িয়ে রয়েছেন রাখি!

সুচিত্রা সেনের ঘর থেকে গুলজার কে বের হতে দেখে নাকি চিৎকার শুরু করেন রাখি গুলজার। শোনা যায় গলার আওয়াজ বাড়তে থাকে 'আঁধি'র পরিচালকেরও।‌ একটা সময় পর মেজাজ হারিয়ে রাখির গালে সপাটে চর বসিয়ে দেন গুলজার। বলিউডের অন্দরের খবর সেইমুহূর্ত থেকে ফাটল ধরেছিল তাঁদের দাম্পত্যে। স্বামীর হাতে চড় খাওয়ার পর পরদিনই যশ চোপড়ার 'আঁধি' ছবির জন্য চুক্তিবদ্ধ হন রাখি। ‌ অভিনেত্রী জানতেন তার এই পদক্ষেপ এতটুকুও পছন্দ করবেন না তাঁর স্বামী।‌ কারণ পুরনো চিন্তাধায় বিশ্বাসী ছিলেন গুলজার। তিনি একেবারেই চাইতেন না যে বিয়ের পরেও অভিনয় চালিয়ে যাক রাখি। ক্যারিয়ারের শিখরে থাকতে গুলজার কে বিয়ে করে সেই শর্ত মেনে নিয়েছিলেন রাখি নিজেও। কিন্তু স্বামীর হাতে অপমানিত হওয়ার পর সেই সব শর্তের বাঁধন ভেঙ্গে দিয়েছিলেন তিনি। বক্স অফিসে অসম্ভব জনপ্রিয় হয় 'কভি কভি'। অভিনেত্রী হিসেবে ফের যাত্রা শুরু করেন রাখি গুলজার।

এরপর থেকেই সুর কেটে যায় রাখি ও গুলজারের দাম্পত্যে। তবে মেয়ে মেঘনার মুখের দিকে তাকিয়ে কোনদিন আইনত বিচ্ছেদের পথে হাঁটেননি তাঁরা।