Reporter: নিজস্ব সংবাদদাতা | লেখক: Rahul Majumder | Editor: শ্যামশ্রী সাহা ২২ আগস্ট ২০২৪ ১২ : ২৬Rahul Majumder

সংবাদ সংস্থা মুম্বই: সময়টা একেবারেই ভাল যাচ্ছে না বনি কাপুরের। বছর তিনেক আটকে থেকে, নানা ঝামেলা পেরিয়ে চলতি বছর তাঁর প্রযোজনায় মুক্তি পেয়েছিল 'ময়দান'। বড় বাজেটের সেই ছবির ভরাডুবি হয় বক্স অফিসে। বড়সড় লোকসানের মুখোমুখি হন বনি। সে রেশ কাটতে না কাটতেই ছবির শুটিংয়ে এক সরবরাহকারী মামলা দায়ের করেন জাহ্নবী কাপুরের বাবার বিরুদ্ধে। অভিযোগ ছিল, গত দু'বছর ধরে 'ময়দান'-এর শুটিংয়ে ওই নানা জিনিসপত্র সরবরাহকারীর ১কোটি টাকা দু'বছর ধরে ঝুলিয়ে রেখেছিলেন বনি। অভিযোগ সত্যি প্রমাণিত হয়। ৯৬ লক্ষ টাকা দিতে অভিযোগকারীকে, এই মর্মে রায় শোনায় আদালত।

সেই খবর পুরনো হওয়ার আগেই বনি কাপুরের বিরুদ্ধে এবার বোমা ফাটালেন আরশাদ ওয়ারসি। 'সার্কিট'-এর কথা থেকেই স্পষ্ট ইঙ্গিত পাওয়া যায় যে কাজ করিয়ে শিল্পী, কর্মীদের ঠিকঠাক পারিশ্রমিক না দেওয়া বহু পুরনো স্বভাব এই প্রযোজকের। আরশাদের অভিযোগ, তাঁকে কাজ করিয়ে পুরো পারিশ্রমিক দেননি বনি!

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে 'সার্কিট' জানালেন, ১৯৯৩ সালে অনিল কাপুর-শ্রীদেবী অভিনীত 'রূপ কী রানি চোরো কা রাজা' ছবির একটি গানের কোরিওগ্রাফি করার জন্য প্রস্তাব দেওয়া হয় তাঁকে। সেই সময় নৃত্য পরিচালক হিসাবে কাজ করতেন আরশাদ। ওই ছবি প্রযোজনার দায়িত্বে ছিলেন বনি কাপুরের প্রযোজনা সংস্থা। যাই হোক, চিত্রনাট্য বুঝে নিয়ে সব হিসেব নিকেষ কষে আরশাদ বনির প্রযোজনা সংস্থাকে জানান, ওই গানের দৃশ্যের শুটিং শেষ করতে মোট চার দিন লাগবে আর পারিশ্রমিক হিসাবে ১লক্ষ টাকা নেবেন তিনি। এরপর বনির প্রযোজনা সংস্থার তরফে অনুরোধ করা হয়, সময় হাতে বেশি নেই তাই আরশাদ যেন চারের বদলে তিন দিনের মধ্যে শুটিং শেষ করেন। রাজি হয়ে যান 'সার্কিট'। দিন-রাত এক করে, হাড়ভাঙা খাটুনি শেষে তিন দিনের মাথায় অভিনেতা-অভিনেত্রীকে নাচের ভঙ্গি শিখিয়ে, ছবির ওই গোটা গানের দৃশ্য শুট করে ফেলেন আরশাদ।

কিন্তু আসল চমকটা তোলা ছিল তখনও। নির্দিষ্ট দিনে পারিশ্রমিক নিতে বনির প্রযোজনা সংস্থার দফতরে হাজির হন আরশাদ। চেক আসে। আরশাদ দেখেন তাঁকে ১ লক্ষ টাকার বদলে দেওয়া হয়েছে মাত্র ৭৫ হাজার টাকা! স্বভাবতই তিনি জিজ্ঞেস করেন যে কেন ২৫ হাজার টাকা কাটা হল। জবাব আসে, যেহেতু চার দিনের বদলে তিন দিনে শুটিং শেষ করেছেন আরশাদ, তাই প্রতিদিনের ২৫ হাজারের হিসাবে তাঁকে দেওয়া হয়েছে ৭৫ হাজার টাকা। শুনে হাঁ হয়ে যান আরশাদ। কারণ বনির তরফে তাঁদের ছবির সুবিধার্থে বলা হয়েছিল তিন দিনের শুট শেষ করার জন্য। একটিবারের জন্য তখন পারিশ্রমিক কমানোর এই হিসাব আলোচনা করা হয়নি তাঁর সঙ্গে। 

আরশাদ শেষে জানালেন, যেহেতু সেই সময় ইন্ডাস্ট্রিতে বেশিরভাগ কাজ মৌখিক চুক্তি মেনে নিয়ে হতো তাই অনেকের অনেক টাকা মার গিয়েছে। এরকম চিটিংবাজি হামেশাই চলত। তবে বর্তমানে কাজের পরিসরে, প্রতিটি পদক্ষেপে উকিল, আইনি চুক্তি বিষয়গুলি থাকায় শিল্পীদের লাভ হয়েছে। অন্তত নির্ধারিত পারিশ্রমিক পাওয়ার ব্যপারে নিশ্চিন্তে থাকতে পারেন তাঁরা।