শুক্রবার ২২ নভেম্বর ২০২৪
সম্পূর্ণ খবর
Tirthankar Das | ৩১ মে ২০২৪ ১৪ : ২০Tirthankar
তীর্থঙ্কর দাস: শুরু হয়ে গিয়েছে সাইলেন্স পিরিয়ড। শনিবার শেষ দফার নির্বাচন। শেষ দফার নির্বাচনে ভোট রয়েছে খাস কলকাতার। অবাধ, সুষ্ঠ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে শহরের রাস্তায় নামছে ১৩ হাজার কলকাতা পুলিশ। এছাড়া থাকছে ২৪৬ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। বৃহস্পতিবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত শহরজুড়ে টহলদারি করছে ৭২টি নাইট পেট্রোলিং গাড়ি। কলকাতা পুলিশের আওতায় রয়েছে ৫টি লোকসভা কেন্দ্র। যার মধ্যে ১৬টি বিধানসভা কেন্দ্রের পুরোটাই লালবাজারের অধীনে এবং মেটিয়াবুরুজ ও ক্যানিং পূর্ব-এই দুটি বিধানসভা কেন্দ্রের একাংশের দায়িত্ব কলকাতা পুলিশের। লালবাজারের আওতায় রয়েছে মোট ৫১৫৮টি বুথ। ৫ থেকে ৮টি বুথ নিয়ে তৈরি হয়েছে ১টি করে সেক্টর। ৩ থেকে ৪টি সেক্টর নিয়ে গঠিত হয়েছে ১টি করে কিউআরটি। কলকাতা পুলিশের আওতায় প্রতিটি থানায় থাকবে ৩টি করে আরটি মোবাইল ভ্যান ও একটি করে হেভি রেডিও ফ্লাইং স্কোয়াড (এইচআরএফএস)। মোট সেক্টরের সংখ্যা ৩৪৭। মোট আরটি মোবাইল ভ্যানের সংখ্যা ২৪০। মোট এইচআরএফএস থাকছে ৮০টি। প্রতিটি বিধানসভা কেন্দ্রে থাকবে ৩টি করে স্ট্যাটিক সার্ভিলেন্স টিম (এসএসটি) ও ৩টি করে ফ্লাইং স্কোয়াড টিম (এফএসটি)। স্পেশ্যাল কুইক রেসপন্স টিম থাকবে, তারা উঁচু আবাসন ও ভিড় এলাকাগুলিতে নজরদারি চালাবে। রাতের শহরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে ৭২টি নাইট পেট্রোলিং গাড়ি। ৯টি ডিভিশনের প্রতিটিতে ৭টি করে নাইট পেট্রোলিং গাড়ি দেওয়া হয়েছে। ভাঙড় ডিভিশনে থাকবে ৯টি নাইট পেট্রোলিং গাড়ি। বৃহস্পতি ও শুক্রবার-এই দুদিন রাত ১০টা থেকে পরের দিন সকাল ৬টা পর্যন্ত তারা টহলদারি করবে। প্রতিটি কিউআরটি ও কিউআরটি-তে থাকবেন ৮ জন করে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান এবং একজন করে কলকাতা পুলিশের আধিকারিক। ভোটের দিন কোনও বুথ থেকে অভিযোগ এলে তৎক্ষণাৎ সেখানে পৌঁছবে কলকাতা পুলিশের দল। ঘটনাস্থলের ছবি ও ভিডিওগ্রাফি করা হবে। সেগুলি পাঠানো হবে লালবাজারের নির্বাচন সেলে। পরে সেসব তথ্য পৌঁছে যাবে নির্বাচন কমিশনের দপ্তরে। পুলিশকে প্রতিটি অভিযোগের রিপোর্ট সবসময় লালবাজারকে জানাতে হবে।
আগামিকাল, শনিবার ভোটের দিন অশান্তি সৃষ্টি করতে পারে, এমন ৫৭৫ জনকে চিহ্নিত করেছে পুলিশ। তাদের ওপর নজরদারি রাখা হচ্ছে। পুলিশ সূত্রের খবর, এই ভোটে প্রথমবার রাতের পেট্রোলিংয়ে থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী। শহরজুড়ে বিভিন্ন জায়গায় মোট ৪৫টি নাকা চেকিং পয়েন্ট করা হয়েছে। প্রতিটি নাকা তল্লাশির জায়গায় থাকবে হাফ সেকশন করে কেন্দ্রীয় বাহিনী। অন্যদিকে, এদিন থেকে শহরের প্রতিটি হোটেলে কড়া নজরদারি চালানো হচ্ছে। লালবাজারের নির্দেশ, কোনও হোটেলে যেন বাইরের লোক না থাকে, যারা কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত। এছাড়া শনিবার সকাল থেকে লালবাজারের কন্ট্রোলরুম থেকে প্রতি মুহূর্তের সিসিটিভি ফুটেজ মনিটর করা হবে। লালবাজারের এক শীর্ষ কর্তা জানান, নির্বিঘ্নে ও শান্তিপূর্ণভাবে ভোট করাতে কলকাতা পুলিশ প্রস্তুত।