মঙ্গলবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪
সম্পূর্ণ খবর
Pallabi Ghosh | ২৯ মে ২০২৪ ১৯ : ০৮Pallabi Ghosh
পল্লবী ঘোষ, মেটিয়াবুরুজ: শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোড় থেকে স্বামী বিবেকানন্দের বাড়ি। মাঝে প্রায় ২১ ঘণ্টার ব্যবধান। যে রাস্তায় গতকাল নরেন্দ্র মোদি রোড শো করেছেন, আজ সেই পথেই পায়ে হেঁটে প্রচার সারলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। সেখান থেকে সোজা এলেন মেটিয়াবুরুজে। চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনে এই প্রথমবার ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল প্রার্থী অভিষেক ব্যানার্জির সমর্থনে প্রচার করলেন মমতা। এই সভা থেকে মোদির রোড শো নিয়ে চড়া সুরে আক্রমণ করে বললেন, 'আজ মোদিজির রাস্তায় মিছিল করেছি। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর যে স্ট্যাচু, সেখান থেকে বিবেকানন্দের বাড়ি পর্যন্ত গিয়েছিলাম। শুনে রাখুন, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু না থাকলে দেশ স্বাধীন হত না। তাঁর জন্মদিনে দিল্লি ছুটি দেয় না। গতকাল মোদিজি রাজনীতি করতে গিয়েছিলেন, আমি আজ প্রতিবাদ করতে গেছিলাম। নেতাজিকে স্যালুট জানাতে গেছিলাম।'
শেষ দফায় কোন কোন কেন্দ্রে বিজেপি আর সিপিএমের বোঝাপড়া রয়েছে, তাও আজ খোলসা করলেন মমতা। তাঁর কথায়, 'দমদমে সিপিএম পার্টি ঠিক করে নিয়েছে, তাদের এমপি ভোটটা বিজেপিকে দেবে। আর বরাহনগরে যে এমএলএ ভোটটা, সেটা সিপিএম বিজেপিকে দেবে।' এই কথার প্রসঙ্গেই তৃণমূল নেত্রী আবারও বলেন, কেন্দ্রে ইন্ডিয়া জোটের সঙ্গে থাকলেও, বাংলায় সিপিএম-কংগ্রেসের সঙ্গে তিনি জোট বাঁধবেন না।
গ্রেপ্তারি বিষয়ে মোদি-শাহের হুঁশিয়ারি নিয়েও আজ সরব হন মমতা। জনসভায় বলে ওঠেন, 'আমাকে, অভিষেককে গ্রেপ্তার করবে বলছে। কত জেল আছে, করে দেখাও না!' মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে দিয়ে নিজের লেখা শায়েরি পড়ালেন মমতা। তাতে লেখা, 'আপ কবর সে ডরতে হো, অউর কফন মেরা ইন্তেজার করতা হ্যায়।'
বক্তব্যের শুরু থেকে শেষপর্যন্ত ক্ষণে ক্ষণে মোদিকে কটাক্ষ করেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীর মিথ্যাচার নিয়ে তাঁর বক্তব্য, 'কী মিথ্যে বলতে পারেন! আজ কাকদ্বীপে বলেছেন পাড় বাঁধানোর টাকা দিয়েছেন। আমি খোঁজ নিয়েছি। একটা টাকাও দেননি। লজ্জা বলে কিছু আছে? মিথ্যেবাদী প্রধানমন্ত্রী। দেশ চালানো দূরের কথা, বাড়ি চালানোও সম্ভব নয়। বসন্তের কোকিল। কুকু ডাক দিয়ে চলে যান।'
গতকাল প্রচারে এসে বাংলায় সবচেয়ে বেশি ভোটে জেতার দাবি করেছেন প্রধানমন্ত্রী। তা ঘিরে তৃণমূল সুপ্রিমো চ্যালেঞ্জ ছুড়ে বললেন, 'উনি বলেছেন, উত্তরপ্রদেশের থেকেও, বিহারের থেকেও বেশি ভোটে বাংলায় জিতবেন। তবে কি সেখানে হারবেন? চ্যালেঞ্জ রইল। এখানে জুলমাবাজি চলবে না।' এদিনের সভাতেও কথায়, ভাবে, ভঙ্গিতে মমতা বুঝিয়ে দেন, বিজেপি সরকারের মিথ্যে প্রতিশ্রুতি বাংলায় কারও মন ভোলাতে পারবে না। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, কন্যাশ্রী, স্বাস্থ্যসাথীর মতো অসংখ্য প্রকল্পকে হাতিয়ার করেই সরকারে থাকবে তৃণমূল।