মঙ্গলবার ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪
সম্পূর্ণ খবর
Kaushik Roy | ১০ মে ২০২৪ ১৯ : ৫১Kaushik Roy
মিল্টন সেন: বাবা বিদেশে, ঠাকুমা শয্যাশায়ী। ঘরে একা একরত্তি। মাকে ছাড়া থাকতে পারেনা সে। কিন্তু সরকারি ফরমান, ভোটের কাজে যেতেই হবে। ছোট্ট সন্তানকে নিয়েই ভোটের কাজে বেরিয়ে পড়লেন হুগলির দাদপুরের সাটিথান গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দা ইসমাতারা খাতুন। ইসমাতারা বৈঁচীর পোটবা প্রাথমিক স্কুলের প্যারা টিচার। নির্বাচনে তাঁর ভোটের কাজ পড়েছে ধনিয়াখালী বিধানসভা এলাকায়। রবিবার চুঁচুড়ায় হুগলি মহসীন কলেজে ছিল চরম ব্যস্ততা। ভোটকর্মীরা ডিসি আরসি থেকে ইভিএম নিয়ে নিজ নিজ বুথের উদ্দেশে রওনা দিচ্ছিলেন। ওই ডিসি আরসি থেকে শুধুমাত্র ধনিয়াখালি বিধানসভা কেন্দ্রের ভোটকর্মীরাই ইভিএম সংগ্রহ করছিলেন।
সেখানেই দেখা যায় তিন বছরের সন্তান শেখ সাহিলের হাত ধরে নির্বাচনের কাজে যোগ দিতে যাচ্ছেন ইসমাতারা। আপাতত তাকে রিজার্ভে রাখা হলেও যেতে হচ্ছে ধনিয়াখালি। ইসমতারা জানিয়েছেন, ছোটো ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করতে হয়তো কিছুটা অসুবিধা হবে। তবে এই অভিজ্ঞতা তাঁর আগেও হয়েছে। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনেও কাজ করেছেন তিনি। বাড়িতে তাঁর ছেলেকে দেখার কেউ নেই। শ্বাশুড়ি মায়ের বয়স হয়েছে। তিনিও অসুস্থ, শয্যাশায়ী। স্বামী শেখ সামিম আখতার কর্মসূত্রে দুবাইতে থাকেন। পান্ডুয়ায় তাঁর বাপের বাড়ি। ছেলেকে সেখানে রাখতে পারলেও ছেলে তাঁকে ছেড়ে থাকতে চায় না। তাই তিনি ঠিক করেছেন ছোট্ট সাহিলকে সঙ্গে নিয়েই ভোটের কাজ করবেন। আগেও করেছেন, অভিজ্ঞতা আছে।
ছবি: পার্থ রাহা