শুক্রবার ১৫ নভেম্বর ২০২৪
সম্পূর্ণ খবর
Sumit | ১৫ মে ২০২৪ ১৯ : ২৭Sumit Chakraborty
আজকাল ওয়েবডেস্ক, দিল্লি : লোকসভা নির্বাচনের একের পর এক প্রচারসভায় সাম্প্রদায়িক মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। যদিও বারাণসীতে মনোয়ন জমা দেওয়ার পর তা অস্বীকার করেছেন তিনি। কখনও অনুপ্রবেশকারী, কখনও বেশি সন্তান থাকার কথা বলে দেশের সংখ্যালঘু মুসলিম সমাজকে টার্গেট করার অভিযোগ উঠেছে প্রধানমন্ত্রী মোদির বিরুদ্ধে। তবে বারাণসীতে মনোয়নের পর একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি দাবি করেছেন, কখনই হিন্দু-মুসলিমের কথা বলেননি।
প্রধানমন্ত্রী এবং বিজেপি নেতাদের সাম্প্রদায়িক বিভাজনমূলক মন্তব্যের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনের পদক্ষেপের দাবি করা হয়েছে বিরোধী দল থেকে শুরু করে দেশের বিশিষ্টজনদের তরফে। যদিও শুধুমাত্র বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডাকে নোটিশ পাঠানো ছাড়া কোনও পদক্ষেপ করেনি কমিশন। তারমধ্যেই প্রধানমন্ত্রী মোদির দাবি, "একাধিক সন্তানের কথা বললেই তা মুসলিম সমাজকে ইঙ্গিত করা হয়? কেন মুসলিম সমাজকে এমনটা মনে করা হচ্ছে? এগুলি গরীব পরিবারগুলির সমস্যা। সমাজিক অবস্থান জানার পরেও দেশের গরীব মানুষদের একাধিক সন্তান রয়েছে।" এরপরেই নিজের পক্ষে সাফাই দিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, "যেদিন হিন্দু-মুসলিম বিভাজন শুরু করব, সেদিন থেকে আমি আর জনজীবনে থাকব না। আমি হিন্দু-মুসলিম বিভাজন করি না।" প্রধানমন্ত্রীর এই দাবির সমালোচনায় সরব বিরোধীরা। কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ বলেন, "প্রধানমন্ত্রীর পুরো প্রচার সভা হিন্দু-মুসলিম বিভাজন নির্ভর। এটা সবারই জানা এবং তিনি এখন দাবি করছেন, হিন্দু-মুসলিম বিভাজন শুরু করলে জনজীবনে থাকার উপযুক্ত থাকবেন না। অবশ্যই তিনি উপযুক্ত নন।" তৃণমূল সাংসদ জহর সরকারের বক্তব্য, "বাঁশওয়ারায় প্রধানমন্ত্রী মোদি বেশিসন্তান থাকা মুসলিম সমাজের কথা বলেছিলেন। ঘৃণা সৃষ্টি করা, মিথ্যাবাদী এবং ভীতু। এবার ওঁকে ছুড়ে ফেলা দরকার।"